দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ যুক্তরাষ্ট্রের রাজনীতিতে বর্তমানে বহুল আলোচিত নাম হলো রাশিয়ার রাজধানী মস্কোতে অবস্থিত রিটজ-কার্লটন হোটেল। পতিতা ইস্যু নিয়ে হোটেলটি এখন বিশ্বের আলোচিত বিষয়।
রাশিয়ার রাজধানী মস্কোতে অবস্থিত রিটজ-কার্লটন হোটেলটিতে থাকতে হলে এক রাতের জন্য ভাড়া গুনতে হবে ১৪ হাজার পাউন্ড। ২০০৯ সালের জুলাইয়ে মস্কো সফরকালে এই হোটেলে ওঠেন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা এবং ফার্স্টলেডি মিশেল ওবামা।
২০১৩ সালের সফরের সময় এই হোটেলে উঠেছিলেন প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত ডোনাল্ড ট্রাম্প। অভিযোগ করা হয়েছে যে, ওবামা ও মিশেল ওবামা ওই হোটেলে যে স্যুটে উঠেছিলেন, তারা যে বিছানাটিতে ঘুমিয়েছিলেন তা কলুষিত করিয়েছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। তিনি নাকি একদল পতিতা ভাড়া করেছিলেন। তাদেরকে দিয়ে নাকি ওবামা দম্পতির ব্যবহার করা ওই বিছানায় মূত্র ত্যাগ করিয়েছেন! এই দৃশ্য গোয়েন্দা ক্যামেরায় ধারণও করা হয়। সেটি রয়েছে রাশিয়ার হাতে। সেই ভিডিওটি দিয়েই হয়তো ডোনাল্ড ট্রাম্পকে ব্লাকমেইল করা হতে পারে বলেও রিপোর্ট বেরিয়েছে বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে।
গত সপ্তাহে যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা কর্মকর্তারা এই বিষয়টি ডোনাল্ড ট্রাম্পের সামনে তুলে ধরেছেন বলে খবর বেরিয়েছে। যে কারণে গোয়েন্দা কর্মকর্তাদের ওপর ক্ষোভ প্রকাশ করেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। তিনি এমন খবরকে মিথ্যা বলে দাবি করেছেন। এ বিষয়ে মুখ খোলেন গোয়েন্দা কর্মকর্তারা। তারা বলেছেন, এমন কোনো কথা তারা বলেননি। তবে আলোচনায় বিষয়টি ঘুরপাক খাচ্ছে বিশ্বজুড়ে। পশ্চিমা মিডিয়ায় নিত্যদিন বিষয়টি নিয়ে লেখালেখি হচ্ছে।
লন্ডনের বহুল প্রচারিত অনলাইন ডেইলি মিরর পত্রিকায় ওই হোটেলটি সম্পর্কে একটি রিপোর্ট প্রকাশিত হয়েছে। ওই রিপোর্টে বলা হয়েছে, রিটজ কার্লটন মস্কো হোটেলটি ২৫৯০ বর্গফুটের। হোটেলটির জানালাগুলো ক্রেমলিন, রেড স্কোয়ার এবং সেন্ট বাসিল ক্যাথেড্রালমুখি। ২০১৫ সালে হোটেলটি সংস্কার করে আরও বিলাসবহুল করা হয়। এর বেডরুমে রয়েছে আধুনিক মানের আরামদায়ক কেদারা। লাউঞ্জটি ঢাকা রয়েছে ভেড়ার নরম চামড়ায়। প্রেসিডেন্সিয়াল স্যুটে হোটেলটির অতিথিরা উপভোগ করতে পারেন ৪২ ইঞ্চির টেলিভিশন। চারদিকে সাউন্ড সিস্টেম রয়েছে। রয়েছে মার্বেলের বাথ টাবসহ আরও অনেক সুযোগ-সুবিধা।
২০০৯ সালের মস্কো সফরকালে এখানেই উঠেছিলেন বারাক ওবামা ও মিশেল ওবামা। এরপর ২০১৩ সালে মস্কো সফরে গিয়ে ওই হোটেলে অবস্থান করেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। স্টার অনলাইন বলেছে যে, সেখানে তিনি এক মিস ইউনিভার্স সুন্দরীকে সঙ্গে রেখেছিলেন। ভাড়া করে নেন একদল পতিতাদের। রাশিয়ার গুপ্তচরদের সঙ্গে ট্রাম্প সমঝোতায় আসেন যে, এ বিষয়ে তারা গোপনীয়তা বজায় রাখবেন।তারই ভিত্তিতে ট্রাম্পকে পতিতা ভাড়া করতে দেওয়া হয়। তবে পতিতারা যখন সেখানে যান, তখন তাদের সঙ্গে নিয়ে যান লুকানো মাইক্রোফোন ও ক্যামেরা। মূলত ওই মাইক্রোফোন ও ক্যামেরা দিয়েই সেখানকার সবকিছু রেকর্ড করা হয়।
This post was last modified on জানুয়ারী ৩১, ২০১৭ 4:32 পূর্বাহ্ন
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ শসা আমাদের দৈনন্দিন খাদ্যতালিকায় অন্যতম পরিচিত এবং সহজলভ্য একটি সবজি।…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ অ্যাপল ও গুগল বিশ্বজুড়ে তাদের ব্যবহারকারীদের আবারও নতুন করে সাইবার…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ আমাদের দৈনন্দিন খাদ্যতালিকায় সবচেয়ে পরিচিত ও সহজলভ্য একটি সবজি হলো…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ বলিউডের দুই অভিনেত্রী কাজল-টুইঙ্কেলের ‘টু মাচ উইথ কাজল অ্যান্ড টুইঙ্কেল’…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ গত কয়েক দিন ধরে, নিউ সাউথ ওয়েলস (অস্ট্রেলিয়া) এবং দ্বীপ…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ চীনা বিজ্ঞানীরা দাবি করেছেন, তারা এমন একটি কৃত্রিম চিপ উদ্ভাবন…