স্টাফ রিপোর্টার ॥ চোরের সাত দিন আর গ্রিহস্থের একদিন। এই প্রবাদ বাক্যটি আসলে বাস্তবেও সত্য। কথায় বলে বারে বারে ঘু ঘু তুমি খেয়ো যাও ধান… ঠিক এমন সত্যটিই এবার বাস্তবে সত্যতে প্রমাণিত হয়েছে। বিশ্বের নানা কর্পোরেশন ও সরকারের গুরুত্বপূর্ণ সব সাইট হ্যাক করা হ্যাকার দলের গুরু ও তার সহযোগীরা এবার গ্রেফতার হয়েছেন। মার্কিন সরকারের মোস্ট ওয়ান্টেড তালিকায় থাকা বিশ্বের সবচেয়ে ধ্বংসাত্মক ইন্টারনেট হ্যাকারদের একটি চক্রের সন্ধান পায় এফবিআই। মাসখানেক আগে পাওয়া এক গোপন সংবাদের পরিপ্রেক্ষিতে আটক হয়েছে বলে ৬ মার্চ জানায় তারা। হেক্টর জেভিয়ার মনসেগার ওরফে সাবু নামের শীর্ষ এ হ্যাকার তার ৫ সহযোগীসহ আটক হয়েছেন। এদের মধ্যে একজন শিকাগোর অধিবাসী। কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, এটাই ইন্টারনেট হ্যাকিংয়ের সবচেয়ে বড় মামলা হবে।
আদালতের বরাত দিয়ে বিদেশী এক সংবাদ মাধ্যম জানিয়েছে, ২০০৮ সালে ‘অ্যানোনিমাস’ নামে তারা তাদের কার্যক্রম শুরু করে। কোর্ট তাদের বিরুদ্ধে ইন্টারনেটে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে ভীতি সৃষ্টি, ধ্বংস ও অপরাধের অভিযোগ এনেছে। চ্যাটরুম ও টুইটারে এ নিয়ে ফেটে পড়েছে অ্যানোনিমাসের সমর্থকরা। কেও কেও সংবাদটিকে সুস্পষ্ট মিথ্যাচার বলেও অভিহিত করেছে।
অনেকে আবার ভাবছেন সাবু হয়তো সরকারের চর। তবে অ্যানোনিমাস সূত্র জানিয়েছে, তারা সবাই ভালো আছেন। টুইটারে দেয়া এক টুইটে তারা বলেছে, ‘আমাদের কর্মীরা সবাই ভালো আছে এবং কাজ চালিয়ে যাচ্ছে।’ মনসেগারের বিরুদ্ধে কুখ্যাত সব কর্মকাণ্ডের তথ্য আদালতে হাজির করা হয়েছে। কর্তৃপক্ষ বলছে, এই ব্যক্তি গত বছরের মে মাসে লুলজ নামের একটি হ্যাকিং প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠা করেছে। লুলজ এর অর্থ হচ্ছে ‘মজা’।
কর্তৃপক্ষের অভিযোগ, এমন এক নাম ধারণ করেও প্রতিষ্ঠানটি তাদের অনুসারীদের দিয়ে বিশ্বব্যাপী ব্যবসায়িক ও সরকারি প্রতিষ্ঠানের ক্ষতি সাধন করাচ্ছে। ফলে তথ্য চুরি, ফাঁস ও ব্যবসায়ী ক্ষতির সৃষ্টি হচ্ছে। সূত্র : হাফিংটন পোস্ট