দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের ধ্বংসযজ্ঞ ও অ্যাডলফ হিটলারের সম্পর্ক অনেকটাই জনক এবং সন্তানের মতোই। নিলামে উঠছে হিটলারের সেই ‘ধ্বংসের যন্ত্র’ হিসেবে খ্যাত ফোন সেটটি!
সিএনএন’র খবরে বলা হয়েছে, হিটলার পরিচালিত বর্বরতা ও নির্যাতন ইতিহাসে তাকে প্রকৃতপক্ষে একজন নিকৃষ্ট নেতারই পরিচয় দিয়েছে। সে কারণে যুদ্ধ পরবর্তী সময় জার্মানী তাকে ভুলতে চেয়েছে। নিষিদ্ধ হয়েছে তার দল এবং আদর্শের প্রচার।
যুদ্ধকালীন ধ্বংসযজ্ঞ চালাতে হিটলার সে সময় যে ফোনটি ব্যবহার করতেন সেটির নাম দেওয়া হয় ‘ডিভাইস অব ডেসট্রাকশন’ বাংলায় যার অর্থ হলো ‘ধ্বংসের যন্ত্র’! ইতিহাসবিদদের মতে, এই ফোনের মাধ্যমেই লাখ লাখ মানুষের মৃত্যুর পরোয়ানা জারি করেছেন হিটলার। চলেছে সে সময় ধ্বংসযজ্ঞ।
প্রশ্ন আসতেই পারে, হঠাৎ হিটালারের ফোন নিয়ে এতো মাথাব্যাথা কেনো? কারণ অন্য কিছুই না, কুখ্যাত ফোনটি যে এই মাসের শেষের দিকে নিলামে উঠবে। ধারণা করা হচ্ছে যে, হিটলারের ‘ধ্বংসের যন্ত্র’র দাম উঠতে পারে ৩ লাখ ডলার পর্যন্ত!
যুক্তরাষ্ট্রের মেরিল্যান্ডের ‘আলেক্সান্দার হিস্টোরিক্যাল অকশন্স’র ধারণা মতে, ফোনটি সর্বকালের সর্ববৃহৎ অস্ত্র যা গোটা বিশ্বকে এক চরম পরিণতির দিকে নিয়ে যাচ্ছিল। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে শেষ দুই বছর এটি ব্যাপকভাবে ব্যবহার করেছিলেন হিটলার।
তবে সবচেয়ে আশ্চর্যের বিষয় হলো হিটলারের ওই ফোনটি দেখতে একেবারেই সাদা-সিদে। লাল রংয়ের ফোনটিকে দেখলেই মনে হয় যেনো কোনো অশনি সংকেত বহন করতে প্রস্তুত ফোনটি! রং চটা ফোনটির ভেতরের কালো অংশও বেরিয়ে এসেছে। তবে ফোনটির একটি ঐতিহ্য অবশ্য রয়েছে। আর তা হলো ফোনটির পেছনের দিকে খোদাই করা রয়েছে হিটলারের নাম। সেইসঙ্গে খোদাই করা রয়েছে নাৎসিদের প্রতীক চিহ্নও।
উল্লেখ্য, জার্মানীর এই নাৎসী নেতা হিটলারের ফোনটি বানিয়েছিলো বিখ্যাত পণ্য প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান সিমেন্স।