দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ মমি ও পিরামিডের জন্য বিখ্যাত মিশর সেটি আমাদের সকলের জানা। এই শহরটিকে মৃতদের শহরও বলা হয়ে থাকে। এইসব কবরস্থানে মানুষ বসবাস করছে শত শত বছর ধরে!
এখানকার কবরগুলি অনেকটা ঘরের আকৃতির মতো। এখানে জানালা, দরজা ও ছাদে পানির ট্যাংকও রয়েছে। কায়রোর উপকণ্ঠে অবস্থিত এই শহরের স্থানীয়রা এল-আরাফা নামে পরিচিত।
এখানে শত শত সমাধির মাঝখানেই ৫ লক্ষজনগণ বসবাস করে। সপ্তম শতাব্দী হতে ১৪০০ বছর পর্যন্ত তারা এই সমাধির মাঝে বসবাস করছেন। কবরগুলিকেই ঘরের আকৃতি দেওয়া হয়েছে। যেখানে একটি ছোট বাগানও আছে। শুধুমাত্র তাই নয় কবরগুলিকে সাজানোও হয়েছে খুব সুন্দরভাবে।
মৃতদের এই শহরে কবরের তত্তাবধানের জন্য একটি করে লোক থাকে। কায়রোর লোক এমনভাবে কবরগুলি নির্মাণ করেন যে, সেখানে তার পরিবারও সঙ্গে থাকতে পারে। জানা গেছে, কবরের তত্ত্বাবধায়ক মাসে প্রায় ১২৫ ডলার আয় করে থাকেন।
১৯৬০-এর দশকের কথা। নাসেরের অধ্যক্ষতা নেতৃত্বে কায়রোতে দ্রুত নগরায়ন এবং শিল্পের আধুনিকায়ন হয়েছিল। হোসনি মুবারকের শাসনামলে নির্মিত হয় দুটি স্কুল। ১৯৯২ সালে কায়রো ভূমিকম্পের সময় বহু মানুষকে তাদের পরিবারের সমাধিতে আশ্রয় নিতে বাধ্য করে। বর্তমানে এখানে অপরাধমূলক কার্যক্রমের মাত্রা বেড়েছে। সমাধির ভেতরে গোপন স্থান হতে মাদক পাচারসহ নানা অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড ঘটে থাকে।