দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং-উনের সৎভাই কিম জং-ন্যামকে হত্যা নিয়ে রহস্য ক্রমেই ঘনিভূত হচ্ছে। কিম জং-ন্যামের শরীরে রাসায়নিক পদার্থের অস্তিত্ব পাওয়া গেছে!
সংবাদ মাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং-উনের সৎভাই কিম জং-ন্যামকে হত্যা করতে রাসায়নিক পদার্থ ব্যবহার করা হয়। শুক্রবার সকালে মালয়েশিয়ার পুলিশ এক বিবৃতিতে এ তথ্য দিয়েছে।
ওই বিবৃতিতে বলা হয়, ন্যামের চোখ ও মুখমন্ডল হতে ভিএক্স নার্ভ এজেন্ট নামে এক রাসায়নিক পাওয়া গেছে। দেশটির রাসায়নিক বিভাগ ন্যামের মরদেহ পরীক্ষা করে এই উপাদানের অস্তিত্ব পায়।
জাতিসংঘ যেসব রাসায়নিককে ব্যাপক বিধ্বংসী হিসেবে তালিকাভুক্ত করেছে তারমধ্যে ভিএক্স নার্ভ এজেন্ট হলো অন্যতম। যুক্তরাষ্ট্রের সেন্টার ফর ডিজিস কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন বিভাগের ধারণা মতে, স্নায়ুকে বিকল করতে যেসব রাসায়নিক রয়েছে তারমধ্যে সবচেয়ে শক্তিশালী হলো ভিএক্স নার্ভ এজেন্ট। দেহের চামড়ার সংস্পর্শে আসার পর এটি খুব দ্রুত ধুয়ে না ফেললে এটি প্রাণঘাতী হয়ে উঠতে পারে। কেবলমাত্র রাসায়নিক যুদ্ধেই এটি ব্যবহৃত হয়ে থাকে। সংস্থাটি আরও জানিয়েছে, বড় মাত্রায় ভিএক্সের প্রয়োগে ব্যক্তি জ্ঞান হারাতে পারে, পক্ষাঘাতগ্রস্ত কিংবা হৃদরোগে আক্রান্তও হতে পারে।
কুয়ালালামপুর বিমানবন্দরে কিম জং ন্যামের মুখে রাসায়নিক হামলা চালায় দুই নারী। এই ঘটনার পর ওই দুই নারী পালিয়ে গেছে এবং ন্যাম বিমানবন্দরের কর্মীদের কাছে অভিযোগ করেন তিনি মুখে ব্যথা অনুভব করছেন। এর কিছুক্ষণ পরই তার মৃত্যু ঘটেছিলো।
উল্লেখ্য, কিম জং-ন্যাম ১৩ ফেব্রুয়ারি কুয়ালালামপুরে খুন হন। তার মুখে বিষপ্রয়োগ করে হত্যা করা হয়।