দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ আমরা জানি হিমালয়ের কোলে বসবাস করেন বহু সাধু। ওইসব এলাকায় গেলেই চোখে পড়বে, তাঁদের শরীরে কাপড়ের টুকরো প্রায় নেই বললেই চলে। অথচ সেখানেই দাঁড়িয়ে সোয়েটার পরেও থরথর করে কাঁপতে হয় সকলকে।
এই বিষয়টি জানার জন্য হার্ভার্ড হতে তিব্বতে গিয়েছিলেন একদল গবেষক। তাঁরা সাধুদের অলৌকিক ক্ষমতা দেখে রীতিমত বাকরুদ্ধ হয়ে পড়েন। ১৯৮০ সালে সেখানে তিব্বতে যান হার্ভার্ডের মেডিসিন বিভাগের প্রফেসর হারবার্ট বেনসন। তাঁরসঙ্গে ছিলো গবেষকদের একটি দল। তারা এসব সাধুদের আজব কাণ্ড-কারখানা দেখে তাজ্জব বনে যান।
জানা যায়, ওখানকার সাধুরা তাদের শরীরের মেটাবলিজম রেট কমিয়ে একেবারে ৬৪ শতাংশে নিয়ে যেতে পারেন। আবার কোনও কোনও সাধু নিজের শরীরে জড়িয়ে নিচ্ছেন বরফ ঠাণ্ডা পানিতে ভেজানো কম্বল! শরীরের উত্তাপে মুহূর্তে শুকিয়ে যাচ্ছে সেসব কম্বল। মাত্র ৩০ মিনিটের মধ্যেই কম্বল একদম শুকনো!
সাধুরা নাকি এক বিশেষ ধরনের যোগের মাধ্যমে এই কাজ করে থাকেন। তিব্বতের সেই যোগকে বলা হয় ‘g Tum-mo’। প্রত্যেকদিন কঠোর যোগ সাধনা এবং ধ্যানের মাধ্যমে এই শক্তি তারা অর্জন করেছেন বলে জানানো হয়েছে।
সাধুদের বক্তব্য হলো, যে কোন মানুষ চেষ্টা করলেই এইসব কাজ করতে পারবেন। অর্থাৎ এসব চিকিৎসক, ওষুধ কিছুই না। শুধুমাত্র যোগ ও ধ্যানের মাধ্যমেই সব রোগ হতে মুক্তি পাওয়া সম্ভব!