দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ প্রতিবছর আমাদের মাঝে রোজা আসে রহমত, মাগফিরাত ও দোযখ হতে নাজাতের বার্তা নিয়ে। সারা বছর আমরা যেভাবেই পার করি রমজান এলে আমরা রোজা রাখি। তবে আমাদের অনেকের সেহরি ও ইফতারের দোয়া এবং রোজার ফজিলত সম্পর্কে ততোটা ধারণা নেই। আজ জেনে নিন।
মুসলমানদের ৫টি স্তম্ভের মধ্যে একটি অন্যতম স্তম্ভ হলো রমজান। আমরা সারাবছর যে যায়ই করে থাকি না কেনো রোজা এলে সেটি পালনের চেষ্টা করি। তবে অনেক সময় সেহরি ও ইফতারের দোয়া ও রমজানের ফজিলত সম্পর্কে আমাদের জানা থাকে না। আজ জেনে নিন রমজানের ফজিলত এবং সেহরি ও ইফতারের নিয়ত।
রমজান মাসে মহান রাব্বুল আলামিন বহু ফজিলত দিয়েছেন। এ মাসে প্রতিটি ক্ষেত্রে অর্থাৎ নামাজ, কোরআন তেলাওয়াত, জিকির আসকার সব ক্ষেত্রেই অতিরিক্ত সওয়াব পাওয়া যায়। যেমন এ মাসে এক টাকা দান করলে ৭০ গুণ সওয়াব পাওয়া যায় অর্থাৎ এ মাসে এক টাকা দান করলে ৭০ টাকা দান করার সমান সওয়াব পাওয়া যায়। এ মাসে এক রাকাত নফল নামাজ পড়লে ৭০ রাকাত নামাজের সওয়াব পাওয়া যায়। এভাবে এই রমজান মাসে মহান রাব্বুল আলামিন প্রতিটি ক্ষেত্রে রহমত দান করেছেন। বছরের অন্য এগারোটি মাসের থেকে তাই এই মাসের ফজিলত অনেক বেশি। তাই এই মাসের ফজিলতগুলো আমাদের অবশ্যই অর্জন করতে হবে।
রমজান মাসের রোজা এবং অন্যান্য রোজার নিয়তের মধ্যে কিছুটা পার্থক্য রয়েছে। রমজান মাসের ফরজ রোজার নিয়ত মধ্য দিবসের পূর্ব পর্যন্ত অর্থাৎ দুপুর ১২টার আগ পর্যন্ত সময়ের মধ্যে করা যায়। রমজান মাসের ফরজ রোজা ভিন্ন অন্যান্য রোজার নিয়ত ‘সুবহে সাদিক’-এর আগে তথা সেহরির সময়ের মধ্যে বা তার আগেই করতে হয়। কারণ, রমজান মাসের ফরজ রোজার সময় নির্ধারিত ও তা বাধ্যতামূলক; আর অন্যান্য রোজার কোনো নির্ধারিত সময় নেই বা এগুলো রমজান মাসের ফরজ রোজার মতো বাধ্যতামূলক অপরিহার্য ফরজ কর্তব্যও নয়।
রোজার আদবসমূহ
রোজার ৭টি আদব রয়েছে, যেটি রোজা কবুলে সহায়ক ভূমিকা পালন করে।
১. চোখের হেফাজত;
২. জবানের হেফাজত;
৩. কানের হেফাজত;
৪. অঙ্গপ্রত্যঙ্গের হেফাজত;
৫. অল্প সেহ্রি;
৬. স্বল্প ইফতার;
৭. আল্লাহর প্রতি অানুগত্য বজায় রাখা।
রোজার নিয়ত
‘নাওয়াইতু আন আছুমা গদাম মিন শাহরি রমাদ্বানাল মুবারকি ফারদ্বল্লাকা ইয়া আল্লাহু ফাতাক্বব্বাল মিন্নী ইন্নাকা আংতাস সামীউল আলীম’
অর্থ হলো
হে আল্লাহ! আগামীকাল পবিত্র রমযান মাসে তোমার পক্ষ হতে ফরয রোজা রাখার নিয়ত করলাম, অতএব তুমি আমার পক্ষ হতে কবুল করো, নিশ্চয়ই তুমি সর্বশ্রোতা ও সর্বজ্ঞানী।
রোজার বাংলা নিয়ত
যে কেও বাংলাতেও রোজার নিয়ত করতে পারেন। যেমন: হে আল্লাহ পাক! আপনার সন্তুষ্টির জন্য আগামীকালের রমাদ্বান শরীফ-এর ফরয রোযা রাখার নিয়ত করছি। আমার তরফ থেকে আপনি তা কবুল করুন। নিশ্চয়ই আপনি সর্বশ্রোতা, সর্বজ্ঞাত।
ইফতারের দোয়া
‘আল্লাহুম্মা লাকা ছুমতু ওয়া তাওয়াক্কালতু আ’লা রিজক্বিকা ওয়া আফতারতু বি রাহমাতিকা ইয়া আর্ হামার রা-হিমীন।’
বাংলা অর্থ: হে আল্লাহ! আমি তোমারই সন্তুষ্টির জন্য রোজা রেখেছি ও তোমারই দেয়া রিযিক্ব দ্বারা ইফতার করছি।
ইফতারের বাংলা দোয়া
হে আল্লাহ তায়ালা আমি আপনার নির্দেশিত মাহে রমাজানের ফরয রোজা শেষে আপনারই নির্দেশিত আইন মেনেই রোজার পরিসমাপ্তি করছি এবং রহমতের আশা নিয়ে ইফতার আরম্ভ করছি। তারপর “বিসমিল্লাহি ওয়া’আলা বারাকাতিল্লাহ” বলে ইফতার করতে হবে।