দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ পানির বোতলে মেয়াদের তারিখ কেনো থাকে আপনি কী তা জানেন? যদি সত্যিই জানতে চান তাহলে আজকের এই লেখাটি পড়ুন। তাহলেই জানতে পারবেন বিষয়টি।
দোকান থেকে কোনো পণ্য কেনার পূর্বে একটা বিষয় মনে রাখতেই হয় যে পণ্যটার মেয়াদ রয়েছে কি না। পণ্যের গায়ে লেখা মেয়াদোত্তীর্ণের তারিখ ঠিকঠাক থাকলে আপনি নিশ্চিন্ত হোন। কিন্তু পানির বিষয়ে হয়তো আমরা তেমন একটা গুরুত্ব দিতে চাই না। কারণ আমরা মনে করি পানির আবার মেয়াদ কি হবে। যে কোনো সময় পানি খাওয়া যায়। কিন্তু আসলেও কী তাই? মোটেও নয়।
সবকিছুর হিসাবই পানির মতো স্বচ্ছ। তবে পানির মেয়াদের বিষয়টা অনেকের কাছেই অজানা! পানি কী তাহলে নষ্ট হয়ে যেতে পারে? উত্তর হলো, না। তবে এরমধ্যে একটা ‘কিন্তু’ রয়েছে। ১৯৮৭ সালে যুক্তরাষ্ট্রের নিউজার্সিতে একটা আইন পাস করা হয়। যেখানে বলা হয়েছে, প্রতিটা খাদ্যপণ্যের গায়ে অবশ্যই মেয়াদোত্তীর্ণের তারিখ থাকতে হবে। আর সেই মেয়াদকাল হওয়া চাই সর্বোচ্চ দুই বছর। ব্যস, আইন হয়ে গেলো। এই আইনের পর নিউজার্সির পানি বিক্রেতারা বোতলের গায়ে মেয়াদ লিখে দিলেন দুই বছর করে। তাদের দেখাদেখি অন্যরাও একই কাজ শুরু করলো। বিষয়টি নিয়ে কেও কোনো মাথাঘামালো না।
মাথা না ঘামালেও অনেকেই প্রশ্নটা তুললেন। বিশেষজ্ঞরা ব্যাখ্যা দিয়ে বললেন যে, বোতলের পানি হয়তো ঠিকই থাকবে, তবে সমস্যা ওই বোতলেই হতে পারে। পানির বোতল তৈরিতে যেসব উপাদান ব্যবহৃত হয়ে থাকে, সেগুলো একটা সময়ের পর পানির স্বাদ বদলে দিতে পারে। তাছাড়া পানির বোতলে একসময় সূক্ষ্ম ছিদ্রও তৈরি হতে পারে। এতে বাইরের পৃথিবীর গন্ধ এবং রং পানির সঙ্গে মিশে যায়। সে কারণেই পানির বোতলের মেয়াদ নিয়েও সকলকে ভাবতে হয়। তবে বোতলটি যদি পরিষ্কার জায়গায় থাকে, তাহলে সেটির মেয়াদ পার হলেও পান করা যাবে। বোতলটি যদি কোনো নোংরা স্থানে থাকে, তাহলে সেটি পান না করাই ভালো। আর তাই এসব কারণে পানির বোতলে মেয়াদ দেওয়া হয়।