দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ধনে পাতা হয়তো আপনি নিয়মিত খেয়ে থাকেন। কিন্তু এর পুষ্টিগুণ সম্পর্কে জানেন কি? বহু রকমের পুষ্টিগুণ সম্পন্ন এই ধনে পাতা নিয়মিত খেলে তা আপনার স্বাস্থ্য সুরক্ষার ক্ষেত্রে দারুন ভূমিকা রাখতে পারে।
ধনে পাতা যদি আপনার প্রিয় হয়ে থাকে তাহলে তো কথাই নেই। আর যদি ধনে পাতা খাওয়ার অভ্যাস আপনার না থাকে, তাহলে স্বাস্থ্যের কথা ভেবে আপনি নিয়মিত এই অভ্যাস গড়ে তুলতে পারেন। ধনে পাতায় বিদ্যমান বিভিন্ন অ্যাসিড, খনিজ উপাদান ও ভিটামিন শরীরের নানা ধরনের পুষ্টির ঘাটতি পূরণে সাহায্য করে।
ত্বকের প্রদাহ কমায়
ত্বকের প্রদাহ কমানোর ক্ষেত্রে ধনে পাতা বিশেষ কাজ করে। সিনেওল ও লিনেলোয়িক এসিড ধনে পাতায় থাকে। এই উপাদান দুইটি শরীরের কিছু প্রদাহযুক্ত সমস্যা কমাতে সাহায্য করে। কিডনির সমস্যার সাথে সম্পর্কযুক্ত কিছু ফুলে যাওয়ার রোগ কমাতেও ধনে পাতা সাহায্য করে থাকে। কারণ ধনে পাতায় বিদ্যমান কিছু উপাদান শরীর থেকে বাড়তি পানি বেরিয়ে দেওয়ার ক্ষেত্রে ভূমিকা রাখে।
কলেস্টোরলের মাত্রা কমায়
ধনে পাতায় থাকা লিনোলেয়িক, পালমাটিক ও অ্যাসকরবিক এসিড রক্তের কলেস্টোরলের মাত্রা কমাতে সাহায্য করে থাকে। অর্থাৎ, নিয়মিত ধনে পাতা গ্রহণ করা হলে রক্তের উপকারী কলেস্টোরলের মাত্রা বৃদ্ধি পায় এবং অপকারী কলেস্টোরলের মাত্রা কমে যায়।
ডায়রিয়া কমাতে সাহায্য করে
ডায়রিয়া কমানোর ক্ষেত্রে ধনে পাতা বিশেষ ভূমিকা রাখে। ধনে পাতায় থাকা বরনিওল ও লিনালল নামক উপাদান দুইটি হজমে সাহায্য করে, লিভারের ক্রিয়া স্বাভাবিক রাখে এবং ডায়রিয়া হলে তা নিয়ন্ত্রণ করে থাকে।
রক্ত চাপ কমায়
গবেষণায় দেখা গেছে যে, নিয়মিত ধনে পাতা খাওয়া হলে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে থাকে। তাই রক্তচাপে ভুগতে থাকা রোগীদের জন্য ধনে পাতা বিশেষভাবে উপকারী। ধনে পাতা গ্রহণ করা হলে শরীরে ক্যালসিয়াম আয়ন ও কোলিনারজিকের বিক্রিয়া ঘটে, যার ফলে রক্তনালী শিথিল হয়ে যায়। এ কারণে উচ্চ রক্তচাপ থাকলে তা অনেকটা কমে আসে।
অ্যালার্জি রোধ করে
বেশ কিছু গবেষণায় দেখা গেছে যে, ধনে পাতার কিছু উপাদান হিস্টামিনের প্রভাব প্রতিহত করতে পারে। অর্থাৎ, ধনে পাতা খাওয়া হলে অ্যালার্জির কারণে শরীরে যেসব সমস্যা দেখা দেয় সেগুলি অনেকটা নিয়ন্ত্রণে থাকে। বিভিন্ন উদ্ভিদ, পোকামাকড় ও খাদ্যের কারণে যেসব অ্যালার্জিজনিত প্রতিক্রিয়া দেখা দেয় সেগুলি কমাতে ধনে পাতার তেল খুব ভালো কাজে দেয়।