দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ কুকুরের ভাগ্য এতো ভালো হতে পারে তা বোধহয় কেও চিন্তাও করেননি। কিন্তু সত্যিই তাই ঘটেছে। যাকে বলে রাজকীয় কুকুর! পশুদের আশ্রয়স্থল হতে ভাগ্যবান এই কুকুরকে পোষ্য হিসেবে গ্রহণ করেছেন দক্ষিণ কোরিয়ার নতুন প্রেসিডেন্ট মুন জে-ইন!
বিবিসি অনলাইনের প্রতিবেদনে এক তথ্যে জানানো হয়েছে, দক্ষিণ কোরিয়ার রাজধানী সিউলে অবস্থিত প্রেসিডেন্টের সরকারি বাসভবন ‘ব্লু হাউস’ হতে এই বিষয়ে একটি ঘোষণা দেওয়া হয়েছে।
ব্লু হাউসের ফেসবুক পেজে টোরি নামের একটি কালো রঙের কুকুর উপস্থাপন করা হয়েছে। ওই কুকুরটিকে দেশটির নতুন ‘ফার্স্ট ডগ’ হিসেবে পরিচয় করিয়ে দেওয়া হয়েছে!
নির্বাচনী প্রচারের সময় প্রাণী অধিকারের বিষয়ে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন মুন জে-ইন। এই কুকুরকে গ্রহণের মাধ্যমে সেটি বাস্তবায়নের পথ সুগম হলো বলে মনে করা হচ্ছে।
জানা গেছে, কোএগজিসটেন্স অব অ্যানিমেল রাইটস অন আর্থ (কেয়ার) নামে একটি গোষ্ঠীর নিকট হতে চার বছর বয়সী এই কুকুরটিকে পোষ্য হিসেবে গ্রহণ করেন দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট।
দেশটির রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা ইয়োনহ্যাপ বলেছে, কোনো পশু আশ্রয়স্থলে থাকা কোনো কুকুর এই প্রথমবারের মতো দেশটির ‘ফার্স্ট ডগ’ হলো।
কেয়ার এশিয়ার বিভিন্ন দেশের কুকুরের মাংস খাওয়ার বিরুদ্ধে সোচ্চার ভূমিকা রাখছে সব সময়। এই কুকুর টোরিকে পোষ্য হিসেবে গ্রহণের মাধ্যমে প্রেসিডেন্ট মুন কুকুরের মাংস ব্যবসায়ীদের একটি কড়া বার্তা দিয়েছেন বলেই মনে করা হচ্ছে।
জানা গেছে, প্রায় দুই বছর পূর্বে কুকুরের মাংস উৎপাদনের একটি খামার হতে টোরিকে উদ্ধার করে কেয়ার। তার জন্য কোনো মালিক খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না। এর কারণ হলো দক্ষিণ কোরিয়ায় কালো কুকুর নিয়ে ধর্মীয় সংস্কার রয়েছে।
উল্লেখ্য, আশ্র্যয়স্থল হতে পোষ্য হিসেবে প্রেসিডেন্টের কুকুর গ্রহণের বিষয়টিকে দেশটির প্রাণী অধিকারের প্রতি ক্ষমতাসীন সরকারের জোরালো সমর্থন হিসেবেই দেখা হচ্ছে।