দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ এবার এমন এক রহস্যময় ঝর্ণার খবর পাওয়া গেছে যে ঝর্ণার পানিতে ঝরছে রক্ত! কিন্তু এর রহস্য কী? আজ বিষয়টি জেনে নিন।
খুব সুন্দর একটি পরিবেশ। চারিদিকে হিম শীতল আবহাওয়া। বরফে ঢাকা এক জলপ্রপাত। সেই বরফের মাঝেই যেনো রক্তের ছাপ। দ্বীপের হিমবাহ হতে অঝোরে নির্গত হচ্ছে যেনো তাজা রক্ত। অ্যান্টার্কটিকার এই জলপ্রপাতকে বলা হয়ে থাকে রক্তের জলপ্রপাত । এই জলপ্রপাতের প্রকৃত রহস্য এখনও খুঁজে পাওয়া যায়নি। বিজ্ঞানীরা এখনও এর রহস্যের সন্ধানে প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছেন।
গবেষকদের ধারণা, সেখানকার মাটিতে থাকা আয়রণ ও সালফারের পরিমাণ অনেক বেশি হওয়ার কারণেই পানির রঙ লাল হয়। এই লাল পানিই বরফের মাঝে রক্তের মতো দেখায়। অস্ট্রেলিয়ান ভূতাত্তিক গ্রিফিথ টেলর ১৯১১ সালে অ্যান্টার্কটিকার এই রক্তের নদীকে প্রথমবার আবিষ্কার করেছিলেন। প্রথমে তিনি মনে করেন যে এই লাল রঙ আণুবীক্ষণিক লাল শেত্তলাগুলি জন্যই হয়েছে। যদিও এই তত্ত্ব ২০০৩ সালে ভুল প্রমাণিত হয়।
এরপর একটি নতুন গবেষণায় পাওয়া যায় নতুন এক তথ্য, এই পানিতে আয়রণ অক্সাইডের মাত্রা বেশি ছিল। অক্সিডাইস্ড আয়রণের কারণেই এই পানির রঙ লাল। গবেষকরা আরও একবার এই রহস্যময় জলপ্রপাত হতে নির্গত লাল পানিকে নিয়ে একটি তত্ত্ব সামনে উঠিয়ে এনেছেন। কলোরাডো কলেজ ও আলাস্কা বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি নতুন গবেষণায় দেখা যায়, এই পানি একটি বিশালাকার তালাব হতে আসছে।
অপরদিকে আরেকদল গবেষক বলেছেন যে, কোন ধরনের অনুজীবের কারণে এমনটি ঘটে, যদিও শূণ্যের অনেক নিচের হিম শীতল আবহাওয়াতে কোনো অনুজীবের টিকে থাকা এক কথায় প্রায় অসম্ভব একটা ব্যাপার । বর্তমানে আরও ধারনা হয়েছে যে, সেখানকার মাটিতে থাকা অনেক পরিমাণ আয়রণ এবং সালফারের কারণে পানির রঙ লাল। এদিকে এতো ঠাণ্ডার মধ্যেও কেনো লাল পানিগুলি জমে বরফে পরিণত হচ্ছেনা সেটিও একটি রহস্যময় ব্যাপার। তবে গবেষকরা গবেষণা চালিয়ে যাচ্ছেন। হয়তো একদিন আমরা এর রহস্যই জানতে পারবো।