দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ আমরা হয়তো অনেকেই দেখেছি জাদুকররা একজনকে শূন্যে ভাসিয়ে রাখে। আমরা এমন দৃশ্য দেখে সত্যিই আশ্চর্য হয়ে যায়। কিন্তু এমন দৃশ্য কিভাবে তৈরি করা হয়েছে সেটি জানলে আপনিও আশ্চর্য হবেন। শূন্যে ভাসিয়ে রাখার জাদুর গোপন রহস্য জেনে নিন আজ।
জাদুকরের একটি মন্ত্রে মুহূর্তেই শূন্যে ভাসতে শুরু করলো একটি মেয়ে। মেয়েটি শূন্যে ভাসছে সেটি প্রমাণের জন্য বিশাল একটি বৃত্ত মেয়েটির মাথা হতে পা পর্যন্ত নিয়ে যাওয়া হলো। দেখা গেলো যে, কোনো দড়ির সাহায্যে মেয়েটিকে আসলেও ঝুলিয়ে রাখা হয়নি। তবে কি আসলেই মেয়েটিকে মন্ত্রের সাহায্যেই শূন্যে ভাসিয়েছেন জাদুকর?
কখনও নয়, এই জাদুতে মেয়েটিকে শূন্যে ভাসিয়ে রাখার জন্য ব্যবহার করা হয়েছে সূক্ষ্ম একটি কূট কৌশল।জীবনধারাবিষয়ক ওয়েবসাইট ব্রাইটসাইডের সৌজন্যে থাকছে ‘লেভিটেট’ জাদুর গোপন রহস্যের সেই কথা।
এই জাদু করার জন্য জাদুকর যে মেয়ে সহকারীকে ডাকেন, যার পরনে লম্বা কোনো পোশাক পরা থাকে। পোশাকটি এতোটাই লম্বা হয়, যা টেবিল হতে মাটি পর্যন্ত ঢেকে রাখে। এরপর মেয়েটিকে ওই টেবিলে ওঠানো হয় এবং কিছু তন্ত্র-মন্ত্র পড়ে টেবিলটিকে সরিয়ে নেওয়ার পর দেখা যায় যে মেয়েটি শূন্যের উপর ভাসছে।
এমন দৃশ্য দেখে আমরা অনেকেই ভেবে বসি যে, মেয়েটিকে দড়ি বা অন্য কিছুর সাহায্যে হয়তো ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে। চোখে ধুলো দেওয়ার জন্য জাদুকর একটি বৃত্তকে মাথা হতে পা পর্যন্ত নিয়ে যান ও আবার ফিরিয়েও নিয়ে আসেন।
ওই যাদু দেখানোর সময় যে জিনিসটা আড়াল হয়ে থাকে সেটি হলো, মেয়েটিকে ধরে রাখার মতো একটি লাঠি বা দণ্ড। যা আড়াল হয়ে থাকে মেয়েটির লম্বা পোশাক এবং জাদুকরের হাতের কৌশলের কারণে। লাঠি বা দণ্ডের মাথায় যথেষ্ট পরিমাণে জায়গাও থাকে, যাতে করে মেয়েটি কোমরে ভর দিয়ে সুবিধাজনকভাবে ওই সময়টি শুয়ে থাকতে পারে। আর জাদুটিকে বিশ্বাসযোগ্য করে তোলার জন্য বৃত্তটিকে নিয়ে যাওয়া হয় মাথা হতে পা পর্যন্ত।
শূন্যে ভাসিয়ে রাখার এই জাদু যখন শেষ হয় তখন টেবিলটিকে আবার ফিরিয়ে এনে মেয়েটিকে শূন্য হতে ওই টেবিলের ওপর স্থাপন করা হয়। অবশেষে জাদু শেষে টেবিল হতে মেয়েটিকে মঞ্চে নামিয়ে আনেন জাদুকর।
একটি জিনিস লক্ষ করার বিষয় হলো, জাদুকর কখনই শূন্যে ভাসমান অবস্থা হতে তার সহকারীকে মাটিতে নামিয়ে আনেন না। কারণ তাতেই ফাঁস হয়ে যেতে পারে জাদুকরের কেরামতি। তাই মেয়েটিকে শূন্য হতে ওই টেবিলের ওপর স্থাপন করা হয় তারপর মাটিতে নামিয়ে আনা হয়।