দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ এক রুশ তরুণ দাবি করেছেন যে, তিনি মঙ্গলে জন্মেছেন আর পৃথিবীতে এসেছেন বেড়াতে। তার দাবি হলো, গত জন্মে মঙ্গলের বাসিন্দা ছিলেন তিনি!
মঙ্গলগ্রহ নিয়ে মানুষের গবেষণার শেষ নেই। দীর্ঘ কয়েক দশক ধরে মঙ্গলগ্রহে বসতি স্থাপনের স্বপ্ন দেখে আসা হচ্ছে। এই বিষয়টি নিয়ে অনেকদূর এগিয়েও গেছেন গবেষকরা। নাসার লক্ষ্য হলো ২০৩০ সালে মঙ্গলের মাটিতে মানুষ পাঠাবে তারা। তবে তার আগেই চাঞ্চল্যকর দাবি করে বসলেন এক রুশ তরুণ। তার দাবি হলো, গত জন্মে মঙ্গলের বাসিন্দা ছিলেন তিনি। এখন তিনি পৃথিবীতে বেড়াতে এসেছেন!
২০ বছর বয়সী বরিস্কা কিপ্রিয়ানোভিচের পরিবার দাবি করেছে, জন্মের কয়েক মাসের মধ্যেই সবাইকে চমকে দিয়ে কথা বলতে শুরু করে সে। সেই থেকেই ভিনগ্রহীদের সভ্যতা এবঙ জীবন নিয়ে নানা কথা বলছে বরিস্কা। পরিজনরা জানিয়েছেন যে, বরিস্ক এমন সব কথা বলেন, যা তার সামনে আলোচনা হয়নি কখনও।
পরিবারের তরফ থেকে দাবি করে বলা হয়েছে, ২ বছর বয়সের মধ্যে পড়তে, লিখতে এবঙ ছবি আঁকতে যায় বরিস্কা। পেশায় চিকিৎসক বরিস্কার মা জানিয়েছেন যে, ছেলের যে বিশেষ প্রতিভা রয়েছে তা তাঁরা বুঝতে পারেন জন্মের মাত্র কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই। তখন থেকেই কারও সাহায্য ছাড়া মাথা উঁচু করতে পারতো সে।
তার দাবি হলো, মঙ্গলের পৃষ্ঠে সভ্যতা বিলুপ্ত হলেও মঙ্গলবাসীরা বর্তমানে বসবাস করছেন মাটির নীচে। অক্সিজেন নয়, কার্বন ডাই অক্সাইডে শ্বাস নেন তারা। এমনকী মঙ্গলগ্রহের মানুষের উচ্চতা ৭ ফুট বলে জানিয়েছে বরিস্কা। বরিস্কার দাবি হলো, মঙ্গলগ্রহের বাসিন্দারা অমর। ৩৫ বছরের পর তাদের আর বয়স বাড়ে না। এমনকী মঙ্গলের বাসিন্দাদের সঙ্গে মিশরের মানুষদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ ছিল বলে দাবি করেছে বরিস্কা। তার দাবি হলো, মঙ্গলগ্রহের বাসিন্দাদের মহাকাশযানের পাইলট হিসাবে ইতিপূর্বে একবার পৃথিবীতেও এসেছিল বরিস্কা।
তবে রুশ তরুণের এই দাবির পর বিজ্ঞানীদের কোনও মন্তব্য এখনও মেলেনি। মনোবিদরা বলেছেন, বিশ্বের বিভিন্ন অংশে অনেকেই নিজেকে জাতিস্মর বলে দাবি করে থাকেন। বিশেষ করে যে সব ধর্মে পুনর্জন্মে বিশ্বাস করা হয়, সেখানেই বেশি দেখা যায় জাতিস্মরের। তবে এই রুশ তরুণের দাবি সত্যিই বিস্ময়কর।