দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ বিভিন্ন দেশে মার্কিন সহায়তার পরিমাণ প্রায় অর্ধেকে কমিয়ে আনার খবরের পর এবার আরেকটি খবর হলো বাংলাদেশকে ৬০০ কোটি টাকা সহায়তা কমিয়েছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বিভিন্ন দেশে মার্কিন সহায়তার পরিমাণ প্রায় অর্ধেকে কমিয়ে এনেছেন। চলতি বছর এই খাতে মাত্র আড়াই হাজার কোটি ডলার বরাদ্দ রেখেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। তারমধ্যে বেশির ভাগই যাবে ইসরাইল, মিসরের মতো তাদের মিত্র দেশগুলোতে। বাংলাদেশসহ অন্যান্য বহু দেশে মার্কিন সহায়তা কমে যাচ্ছে এই বছর। যুক্তরাষ্ট্রের ফরেন অ্যাসিস্ট্যান্স বিভাগের পরিসংখ্যানে উঠে এসেছে এমন তথ্য।
ট্রাম্প প্রশাসনের তরফ থেকে বাংলাদেশের জন্য নির্দিষ্ট করে কোনো হুমকি-হুশিয়ারি যদিও আসেনি তবে অর্থসহায়তা কমছে বাংলাদেশের জন্যও। ২০১৭ সালে ২২ কোটি ডলার (প্রায় ১ হাজার ৭০০ কোটি টাকা) বরাদ্দ ছিল বাংলাদেশের জন্য। ২০১৮ সালে ৪০ শতাংশ (প্রায় ৬০০ কোটি টাকা) কমে তা দাঁড়িয়েছে মাত্র ১৩ কোটি ৮৪ লাখ ডলারে। এবারও অবশ্য মার্কিন সহায়তা প্রাপ্তির তালিকায় ২৫ নম্বরে রয়েছে বাংলাদেশ।
দীর্ঘদিন ধরে এককভাবে বিশ্বের সবচেয়ে বড় দাতা দেশ হলো যুক্তরাষ্ট্র। প্রায় ১৫০টি দেশে বিভিন্ন খাতে বার্ষিক অর্থসহায়তা দিয়ে থাকে যুক্তরাষ্ট্র। পররাষ্ট্র, প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় বা ইউএসএআইডির মাধ্যমে বছরজুড়ে বণ্টন হয় এইসব বরাদ্দকৃত তহবিল।
ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব নেওয়ার পর আন্তর্জাতিক উন্নয়ন বাজেট তিন ভাগের এক ভাগ কমিয়ে আনার ঘোষণা দিয়েছিলেন। তবে নতুন বছরের পরিকল্পনায় দেখা যাচ্ছে যে, যুক্তরাষ্ট্রের বিদেশী সহায়তা কমে প্রায় অর্ধেকে এসে দাঁড়িয়েছে। গত কয়েক বছরে এই খাতে গড়ে প্রায় সাড়ে চার হাজার কোটি ডলার বরাদ্দ ছিল যুক্তরাষ্ট্রের। এই বছর তা নেমে এসেছে মাত্র আড়াই হাজার কোটি ডলারে।
উল্লেখ্য, গত ডিসেম্বরে জেরুজালেম ইস্যুতে জাতিসংঘে ভোটাভুটির সময় প্রকাশ্যে বিভিন্ন দেশে অর্থসহায়তা কমানোর হুমকি দিয়ে আসছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। সবশেষ সে হুমকি পায় পাকিস্তান এবং ফিলিস্তিন।
পরিসংখ্যানে দেখা যায় যে, সন্ত্রাসবিরোধী লড়াইয়ে একসময়ের মিত্র পাকিস্তানে কয়েক বছর ধরেই সহায়তা কমছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের। তিন বছর পূর্বেও শতকোটি ডলার পাওয়া ইসলামাবাদের জন্য এই বছর বরাদ্দ মাত্র ৩৪ কোটি ডলার।
সামগ্রিকভাবে বিদেশী সহায়তা কমানো হলেও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যপ্রাচ্যের দুই প্রধান মিত্র ইসরাইল এবং মিসরের ক্ষেত্রে মার্কিন নীতি আগের মতোই রয়েছে। ২০১৮ সালেও এই দুটি দেশের জন্য শতকোটি ডলার অর্থ বরাদ্দ রেখেছে যুক্তরাষ্ট্র। এই অর্থের বড় অংশই চলে যাবে সামরিক খাতে!