দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ফেসবুক ব্যবহারে সরকারি নিয়ম-কানুন ঘোষণা করা হয়েছে। সরকারি নিয়ম অনুযায়ী ফেসবুক ব্যবহার না করলে বিপদও ঘটতে পারে। তাই বিষয়টি জানা জরুরি।
সরকার দেশে প্রথমবারের মতো সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহারের নিয়ম-কানুন ঘোষণা করেছে। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ হতে ‘সরকারি প্রতিষ্ঠানে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার নির্দেশিকা-২০১৭’ জারি করা হয়েছে।
৬ পৃষ্ঠার নির্দেশিকায় ফেসবুক ছাড়া আরও ১০টি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহারের বিস্তারিত গাইডলাইন প্রকাশ করা হয়েছে। সেইসঙ্গে বছর শেষে মূল্যায়নের ভিত্তিতে কার্যকর ব্যবহারকারীকে স্থানীয় এবং জাতীয় পর্যায়ে পুরস্কার বা স্বীকৃতি দেওয়ার কথাও বলা হয়েছে। সরকারিভাবে প্রকাশ করা এসব গাইডলাইন শুধুমাত্র সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্যই করা হয়েছে।
নির্দেশিকায় বলা হয়, কোনো সম্প্রদায়ের ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত লাগতে পারে কিংবা ধর্মনিরপেক্ষতার নীতি পরিপন্থী কোনো কনটেন্ট সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশ করা যাবে না। জনমনে অসন্তোষ কিংবা অপ্রীতিকর মনোভাব সৃষ্টি করতে পারে এমন কোনো কনটেন্ট প্রকাশ করতে নিষেধ করা হয়েছে।
বাংলাদেশে বসবাসকারী ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী কিংবা সম্প্রদায়ের প্রতি বৈষম্যমূলক বা হেয় প্রতিপন্নমূলক কোনো কনটেন্ট প্রকাশ করা যাবে না। কোনো ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান কিংবা রাষ্ট্রকে হেয় প্রতিপন্ন করে ও লিঙ্গ বৈষম্য বা এই সংক্রান্ত বিতর্কিত কোনো কনটেন্ট প্রকাশ করা যাবে না বলে নির্দেশিকায় বলা হয়েছে।
এই নির্দেশনা অনুযায়ী, দাপ্তরিক যোগাযোগ ও মতবিনিময়, সমস্যা পর্যালোচনা ও সমাধান, জনসচেতনতা ও প্রচারণা, নাগরিকসেবা সহজ করা ও উদ্ভাবন, সিদ্ধান্তগ্রহণ ও নীতি নির্ধারণী প্রক্রিয়ায় জনগণের অংশগ্রহণ, জনবান্ধব প্রশাসন ব্যবহার নিশ্চিত করা ও সেবাগ্রহীতার অভিযোগ নিষ্পত্তিতে সরকারি অফিসগুলোও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার করতে পারবে।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের অ্যাকাউন্ট পরিচালনার নির্দেশনায় বলা হয় যে, অ্যাকাউন্টে কোনো ব্যক্তিগত ছবি ব্যবহার করা যাবে না। প্রতিষ্ঠানের কোনো দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তি কিংবা ৩ হতে ৫ জনের একটি মডারেটর দল থাকবে।
সরকারের কর্মচারীদের ব্যক্তিগত অ্যাকাউন্টকে এই নির্দেশনার বাইরে রাখা হলেও ব্যক্তিগত অ্যাকাউন্ট পরিচালনায় দায়িত্বশীল আচরণ এবং অনুশাসন মেনে চলতে নির্দেশনা এসেছে।
ওই নির্দেশিকা অনুযায়ী, সরকারি প্রতিষ্ঠানকে ৩ মাসে একবার নিজ দপ্তরের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহারের অগ্রগতি এবং কার্যকারিতা পর্যালোচনা করতে হবে। বছর শেষে মূল্যায়নের ভিত্তিতে কার্যকর ব্যবহারকারীকে স্থানীয় ও জাতীয় পর্যায়ে পুরস্কার কিংবা স্বীকৃতির ব্যবস্থা রাখা যেতে পারে বলে ওই নীতিমালায় উল্লেখ করা হয়েছে।