দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ভারতে এমআরআই মেশিনে যুবকের করুণ মৃত্যু হয়েছে। রাজেশ মারুর নামে ওই ব্যক্তি মুম্বাইয়ের একটি হাসপাতালে এক আত্মীয়ের পরীক্ষা করাতে যান।
এমআরআই মেশিন যে কারো মৃত্যুর কারণ হতে পারে, তা জানা ছিল না ভারতে রাজেশ মারুর। তিনি মুম্বাইয়ের একটি হাসপাতালে এক আত্মীয়ের পরীক্ষা করাতে যান। এই সময় তিনি মেশিনে আটকে মৃত্যুবরণ করেন।
নায়ার চ্যারিটেবল হাসপাতালে এমআরআই করাতে গেলে রাজেশকে বলা হয় একটি অক্সিজেন সিলিন্ডার নিয়ে আসতে। গত শনিবার সে সিলিন্ডার নিয়েই সন্ধ্যায় এমআরআই কক্ষে প্রবেশ করেন। এমআরআই মেশিনে যে শক্তিশালী চুম্বক থাকে, তা তিনি জানতেন না।
৩২ বছরের যুবক রাজেশ এমআরআই স্ক্যানের প্রস্তুতি চলার সময় অক্সিজেন সিলিন্ডার নিয়ে সেখানে প্রবেশ করা মাত্র মেশিন তাকে টেনে নেয়। ঘটনাটি এতো দ্রুত ঘটে যায় যে, তার সেসময় কিছুই করার ছিল না।
মেশিনের প্রবল টানে রাজেশের হাত ঢুকে যায় মেশিনে। অক্সিজেন সিলিন্ডারও লিক হয়ে গ্যাস তার নাকমুখ দিয়ে ঢুকে যায়। ওই অবস্থাতেই রাজেশকে ভেতরের দিকে টানতে থাকে এমআরআই মেশিনটি। পিষে যায় রাজেশের দেহ।
রাজেশের চিৎকারে ছুটে আসেন হাসপাতাল কর্মীরা। মেশিন বন্ধ করে বের করে আনা হয় রক্তাক্ত অবস্থায় রাজেশকে। তবে ততক্ষণে যা ঘটার ঘটে গেছে। মিনিট দশেকের মধ্যেই রাজেশের মৃত্যু হয়। এই ঘটনায় চিকিৎসকসহ বেশ কয়েকজনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।
রাজেশের নিকট আত্মীয় হরিশ সোলাঙ্কির অভিযোগ করেছেন যে, ওয়ার্ড বয় তাদেরকে ভেতরে ডেকে নিয়ে যায়। তাকে অক্সিজেন সিলিন্ডার ভেতরে নেওয়া বারণ থাকার কথা বললেও সে জানায় যে, ওতে কিছু হবে না, মেশিনও বন্ধ রয়েছে। এমনকি চিকিৎসক বা টেকনিশিয়ানরাও কিছু বলেনি সে সময়। তার পরেই ভেতরে ঢুকে ঘটে এই ঘটনাটি। এমআরআই করাতে মাকে হাসপাতালে নেওয়ার পর তার শ্বাসকষ্টের কারণেই অক্সিজেন সিলিন্ডার আনতে বলা হয়।