দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ এবার কৃষ্ণগহবরের অস্তিত্বের প্রমাণ পাওয়া গেছে! এই কৃষ্ণগহবর নিয়ে বিজ্ঞানীরা দীর্ঘদিন ধরেই চালাচ্ছিলের গবেষণা।
সংবাদ মাধ্যমের খবরে বলা হয়, মিল্কিওয়ে গ্যালাক্সির কেন্দ্রে একটি বড় কৃষ্ণগহ্বর ঘিরে রয়েছে কমপক্ষে ১০ হাজার ছোট ছোট কৃষ্ণগহ্বর! ওইসব কৃষ্ণগহ্বরের প্রত্যেকটিতে রয়েছে আরও অন্ততপক্ষে ৩০০ হতে ৫০০ টি পর্যন্ত গ্রহ-তারকার জুটিও!
সম্প্রতি জার্নাল ন্যাচারে প্রকাশিত প্রতিবেদনে উঠে আসে এসব চাঞ্চলকর তথ্য। মহাকর্ষীয় তরঙ্গের পরবর্তী গবেষণায় যে বিষয়টি সত্যিই এক নতুন মাত্রা যোগ করেছে বলে মনে করছেন গবেষকরা।
খবরে জানানো হয়, পৃথিবী হতে কমপক্ষে ২৪ হাজার-আলোকবর্ষ দূরে এই মিল্কিওয়ে গ্যালাক্সির কেন্দ্রটি অবস্থিত। সেখানেই রয়েছে স্যাগিট্যারিয়াস-এ নামে এই কৃষ্ণগহ্বরটি।
এতোদিন এই কৃষ্ণগহ্বরটির অস্তিত্ব ছিল শুধু ধারণার মধ্যে সীমাবদ্ধ। এবার তার প্রমাণ পেলেন বিজ্ঞানীরা। এই কৃষ্ণগহ্বরকে ঘিরে রয়েছে ১০ হাজারেরও বেশি বিচ্ছিন্ন ছোট ছোট কৃষ্ণগহ্বরও।
যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কের কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের চালর্স হ্যালি এবং তার দল নাসার চন্দ্র এক্স রে টেলিস্কোপের তথ্য বিশ্লেষণ করে এসব কৃষ্ণগহ্বরের সন্ধান পাওয়া যায়।
স্যাগিট্যারিয়াস-এ কৃষ্ণগহ্বরটি গ্যাস এবং ধুলোর আবরণে ঢাকা, যাতে একদিকে লীন হয়, গ্রহ-তারকা এমনকি আলোতেও। অপরদিকে এর ভেতরে সংঘর্ষে জন্ম নেয় নতুন নতুন গ্রহ-তারকা। তৈরি হয় নতুন নতুন জুটি।
গবেষণা বলছে যে, স্যাগিট্যারিয়াস’ কৃষ্ণগহ্বকে ঘিরে থাকা এমন জুটির সংখ্যা ৩০০ হতে ৫০০ পর্যন্ত হতে পারে।
বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, স্বল্প-ভরের কোনো তারকা যখন কৃষ্ণগহ্বরে লীন হয়, তখন বিচ্ছুরণ ঘটে যায় আলোর। তখন ওই আলো ধরা পড়ে টেলিস্কোপে।
আইনস্টাইনের মহাকর্ষীয় তরঙ্গের গবেষণাটিও এই আবিষ্কার তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্ট বিজ্ঞানীরা। তারা বিষয়টি নিয়ে আরও গবেষণা করতে চান। তথ্যসূত্র: একুশে টিভি।
দেখুন ভিডিওটি