দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ দুই কোরিয়ার বরফ গলানোর পেছনের নেপথ্যে কে? সেটি জানা নেই অনেকের। যার জন্য আজ দুই কোরিয়ার ভয়ংকর পরিণতি হতে ফিরে আসছে তার কথা জানা একান্ত দরকার।
উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উনের দক্ষিণ কোরিয়া সফরের মধ্যদিয়ে ৭০ বছর ধরে জমানো বরফ গলতে শুরু করেছে বলে মনে করা হচ্ছে। গত দুই দশক ধরেই দুই কোরিয়ার শত্রুতা নির্মূলে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন তিনি। অবশেষে তিনি পেলেন সফলতাও। সেই সফল ব্যক্তিটি হলেন দক্ষিণ কোরিয়ার গোয়েন্দা প্রধান সুহ হোন।
১৮ বছর আগে উত্তর কোরিয়ার সর্বোচ্চ নেতা কিম জং টুকে রাজি করাতে গোয়েন্দা প্রধান সুহ হোন উত্তর কোরিয়া সফর করেছিলেন। ২০০০ সালের ওই সফরে কিমের পুত্রের দুই কোরিয়ার মধ্যে শান্তি স্থাপনের আগ্রহ সত্যিই লক্ষ্য করেছিলেন। এরপর হতেই মূলত দুই দেশের মধ্যে উচ্চ পর্যায়ের আলোচনার ক্ষেত্র তৈরির চেষ্টা করে আসছিলেন সুহ হোন।
জানা যায়, ১৯৫০-৫৩ সালের যুদ্ধের পর কিম জং উন-ই কোনো প্রথম নেতা যিনি দুই কোরিয়ার বিতর্কিত গ্রাম পানমুজামের সেই সীমারেখা অতিক্রম করে দক্ষিণ কোরিয়ায় পা রাখলেন। দক্ষিণ কোরিয়া প্রগতিশীল নেতা মুন জায়ে ইন গত বছর দায়িত্ব নেওয়ার পর সুহ হোনকে দেশটির গোয়েন্দা প্রধান হিসেবে নিয়োগ দেন। নিয়োগ পাওয়ার পরই সুহ হোন বলেছিলেন, দুই কোরিয়ার মধ্যে বৈঠক অত্যন্ত জরুরি।
উল্লেখ্য, ২০০০ ও ২০০৭ সালে অুনষ্ঠিত দুটি আন্তঃরাষ্ট্রীয় সম্মেলনে সুহ হোন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন। দক্ষিণ কোরিয়ায় সুহ হোন বেশ পরিচিত একটি নাম। কারণ তিনিই প্রথম কোনো উত্তর কোরীয় নেতাকে আলোচনায় বসাতে সমর্থ হয়েছিলেন। শুধু তাই নয়, ২০১৪ সালেও দেশ দুটির মধ্যে আলোচনার দ্বার তৈরি হয়।
১৯৯০ সালের শেষের দুই বছর সুহ হোন উত্তর কোরিয়ায় অবস্থান করছিলেন। ওই সময় পিয়ংইয়ংকে পারমাণবিক অস্ত্র হতে দমাতে তিনি প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছিলেন। যদিও তার ওই চেষ্টা ব্যর্থ হয়েছিল।