দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ বৌভাত শেষ পর্যন্ত হলো, তবে বিয়ের ১৪ বছর পর! সত্যিই বিচিত্র এই দুনিয়া। দীর্ঘ এক যুগ পার করে এমন বৌভাতের অনুষ্ঠান পাড়া-প্রতিবেশী সকলকেই হতবাক করেছে!
সম্প্রতি আয়োজন করা হলো বৌভাতের। তবে আশ্চর্যের বিষয় হলো যে বৌভাত অনুষ্ঠান হলো সেটি সম্প্রতি কোনো বিয়ের অনুষ্ঠান নয়। ১৪ বছর পূর্বের একটি বিয়ের বৌভাত!
সম্প্রতি এমন এক ব্যতিক্রমী আয়োজন ছিল নাটোর জেলার বাগাতিপাড়া এলাকায়। বরের সঙ্গে ১৪ বছর পূর্বে যারা বরযাত্রী ছিলেন তারাও হাজির হন ওই অনুষ্ঠানে। তারা সকলেই উপহার পেলেন একই রকমের নতুন পোশাক।
জানা যায়, ২০০৪ সালের ৫ নভেম্বরের কথা। সেদিন উপজেলার দয়ারামপুর কাজীপাড়ার মৃত আজিজুর রহমানের ছেলে মাদ্রাসাশিক্ষক কাজী আমানুর রহমানের সঙ্গে একই উপজেলার চকতকিনগর গ্রামের মো: জাহেদ আলীর মেয়ে তাছলিমা খাতুনের বিয়ে হয়েছিলো।
বিয়ে হয়েছিলো রমজান মাসে। তাই রমজানে বিয়ে হওয়ার কারণে সে সময় বৌভাতের আয়োজন করা সম্ভব হয়নি। বিষয়টি নিয়ে বেশ মনোকষ্টে ছিলেন স্বামী আমানুর এবং স্ত্রী তাছলিমাও। তারা স্থির করেছিলেন বৌভাতের আয়োজন একদিন তারা কোরবেনই। তবে তা হয়ে উঠছিলো না।
ইতিমধ্যেই ৩টি সন্তানের বাবা-মা হন এই দম্পতি। বড় মেয়ে আমিনা (১০) পঞ্চম শ্রেণীর ছাত্রী। ছোট দুই ছেলে আলিফ (৫) এবং ২০ দিনের নবজাতক আলভী।
অবশেষে সেই ইচ্ছার বাস্তবায়ন হলো ১৪ বছর পর। বর কাজী আমানুর রহমান পেশায় একজন মাদ্রাসাশিক্ষক। সে সময় তার সঙ্গে বরযাত্রী হয়ে এসেছিলেন তার মাদ্রাসার শিক্ষক-কর্মচারীসহ ২৪ ব্যক্তি।
সেই বরযাত্রীদের বৌভাত অনুষ্ঠানে নিমন্ত্রণ জানানো হয়। তাদের উপহার দেওয়া হয় একই রঙের পাঞ্জাবি-পায়জামা। সঙ্গে ছিলো সাদা টুপি। এতে উচ্ছ্বসিত হন বরযাত্রীরাও। তারা বলেন, এমন ঘটনা ইতিপূর্বে কখনও ঘটেনি।
বর কাজী আমানুর রহমান সংবাদ মাধ্যমকে বলেছেন, নিজের বিয়ের অনুষ্ঠানকে ঘিরে ছিল অনেক দিনের আশা। তবে সে সময় অনুষ্ঠান করা সম্ভব হয়নি। তাই ভেতরে ইচ্ছে থেকেই গিয়েছিলো। অবশেষে সেই ইচ্ছা পূরণ করতে পেরে সত্যিই ভালো লাগছে। এতোদিনে আল্লাহতায়ালা আমার ইচ্ছা পূরণ করেছেন।