দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ মানুষ মারা গেলে আর বেঁচে উঠার কোনোই কারণ নেই। কিন্তু পৃথিবীতে এমন কিছু খবর সকলকেই তাজ্জব বানিয়ে দেই। তেমনই একটি গল্প হলো মর্গের ফ্রিজে নারীর জীবন ফিরে পাওয়ার গল্প!
মানুষ মারা গেলে আর বেঁচে উঠার কোনো সম্ভাবনা নেই, সেটি নিশ্চিত। তবে সম্প্রতি দক্ষিণ আফ্রিকার একটি হাসপাতাল মর্গের ফ্রিজে এক ‘মৃত নারী’ জেগে ওঠার ঘটনায় তাজ্জব বনে গেছেন সবাই।
বিবিসির এক খবরে বলা হয়েছে, বেঁচে যাওয়া ওই নারীকে বর্তমানে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। তবে এখন পর্যন্ত ওই নারীর নাম-ঠিকানা জানা যায়নি।
খবরে জানা যায়, গত ২৪ জুন একটি সড়ক দুর্ঘটনায় মারাত্মকভাবে আহত হন ওই নারী। এরপর তাকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে প্যারামেডিকসরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন। পরে ওই নারীকে আফ্রিকার গাওটেং প্রদেশের একটি মর্গে রাখা হয়।
জানা যায়, ওই মর্গের একজন কর্তব্যরত কর্মী ফ্রিজে রাখা মরদেহের খোঁজ নিতে গিয়ে দেখেন যে, ওই নারী শ্বাস নিচ্ছেন। এই ঘটনার পর ফরেনসিক কর্মকর্তাদের নির্দেশে তাকে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়।
এই বিষয়ে অ্যাম্বুলেন্স কোম্পানি ডিস্ট্রেস অ্যালার্টের অপারেশন ম্যানেজার গেরিট ব্র্যান্ডনিক সংবাদ মাধ্যমকে জানান, আমরা সব ঠিকঠাক মতোই আমাদের কাজ করেছি। তবে আমাদের কোনো ধারণা নেই যে কীভাবে এই ঘটনাটি ঘটলো।
গেরিট ব্র্যান্ডনিক দুঃখপ্রকাশ করে বলেছেন, আমাদের কোম্পানির কর্মচারী এই ঘটনায় খুবই মর্মাহত হয়েছেন। আমাদের কাজই হলো মানুষকে বাঁচিয়ে তোলা। আমরা কোনোভাবেই জীবিত মানুষকে মৃত করার জন্য এই ব্যবসা করিনা। এই ঘটনার জন্য আমরা গভীরভাবে দুঃখপ্রকাশ করছি।
আলোড়ন সৃষ্টি করা এই ঘটনা সম্পর্কে তিনি আরও বলেছেন, পালস, হার্টবিট সব পরীক্ষা করেই আমরা ওই নারীকে মৃত ঘোষণা করেছিলাম। ইতিমধ্যেই অ্যাম্বুলেন্স সেবাদানকারী এই সংস্থাটি ঘটনাটির জন্য একটি তদন্ত কমিটিও গঠন করেছে।
উল্লেখ্য, দক্ষিণ আফ্রিকায় এই ধরনের ঘটনা এটিই প্রথম নয়। ৭ বছর পূর্বে ৫০ বছর বয়সী এক ‘মৃত’ ব্যক্তি ইস্টার্ন কেপ মর্গে চিৎকার করে ওঠেন! সে সময়ও বিষয়টি নিয়ে ব্যাপক চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়।