দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ শুনতে একটু আজগুবি মনে হলেও গবেষকরা এমন একটি তথ্য দিয়েছেন যে, হাতের লেখাই বলে দেবে আপনি কোন দেশের নাগরিক!
এমনিতেও হাতের লেখার অনেক ইতিহাস রয়েছে। অপরাধি শনাক্ত করা থেকে শুরু করে অনেক কিছুতেই হাতের লেখার কৃতিত্ব রয়েছে। তবে এবার একটু ব্যতিক্রমি কথা বলেছেন বিজ্ঞানীরা। তারা দীর্ঘদিন ধরে গবেষণা করে এমন কিছু তথ্য উপাত্ত হাজির করেছেন তাতে করে তাদের বক্তব্যকে কেও খণ্ডাতে পারবে না। গবেষকরা বলেছেন, হাতের লেখাই বলে দেবে আপনি আসলে কোন দেশের নাগরিক!
বিজ্ঞানীরা বলেছেন, আপনি কী লিখছেন, তা দেখে জানা যাবে আপনার নাগরিকত্ব। কোন দেশের মানুষ আপনি, আপনার হাতের লেখাটি দেখে সরাসরি বিষয়টি বলে দেওয়া যাবে। হাতের লেখা দেখেই অনায়াসে বলে দেওয়া যাবে, কোথায় আপনি বেড়ে উঠেছেন। অন্তত এমন দাবি করছেন বিজ্ঞানীদের একাংশ।
ধরুন আপনি একজন বাংলাদেশী, তবে কাওকে চিঠি লিখলেন চিনা ভাষায়। তবে তাতেও লাভ নেই। কোন দেশে আপনি বড় হয়েছেন, তা নাকি সহজেই বলে দেবে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স! বাংলাদেশ, মালয়েশিয়া, ভারত, চীন, ইরান এই দেশগুলিকে ভিত্তি করেই মূলত গবেষণা চলছে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্সের মাধ্যমে।
সংবাদ মাধ্যমের খবরে জানা যায়, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কর্নেল বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা এইসব দেশগুলির নাগরিকদের হাতের লেখার ভিত্তিতে একটি নির্দিষ্ট গাণিতিক ফর্মূলা কিংবা ‘অ্যালগরিদম’ বানিয়েছেন। প্রতিটি দেশ হতে প্রথম দফায় ১০০ জন নাগরিকের হাতের লেখা বিশ্লেষণ করেছেন তারা। সেইসব তথ্য দিয়েই ওই আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স সফ্টওয়্যার বানানো হয়েছে।
জানা গেছে, এই নয়া আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্সের গবেষণায় ক্লাউড অফ লাইন ডিস্ট্রিবিউশন নামে একটি পদ্ধতির মাধ্যমে যে কোনো ব্যক্তির হাতের লেখার ওঠাপড়া (কার্ভ অ্যান্ড লাইনস) দেখেই খুব সহজেই চিনে নেওয়া যাচ্ছে তার নাগরিকত্ব। চীনের একজন নাগরিক সরল রেখায় ইংরেজি লিখবেন। তবে ভারত কিংবা বাংলাদেশের নাগরিকদের ক্ষেত্রে রোমান হরফ বেশ খানিকটা বাঁকা, এমনটিই বলছে এই গবেষণাটি। দেশের নিরাপত্তায় এই ধরনের গবেষণা অনেক বেশি কাজে আসবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞরা। এতে করে জাল নাগরিক ধরার ক্ষেত্রেও কাজে আসতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।