দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ মাথাও নাই, আবার চোখ নাই! তাহেল এ কেমন প্রাণী? সম্প্রতি এমন একটি প্রাণীর সন্ধান মিলেছে রাশিয়ার পূর্ব উপকূলে বেরিং সাগরের কূলে।
এবার সমূদ্র উপকূলে পাওয়া গেছে উদ্ভূত এক প্রাণী। হঠাৎ কেও এটি দেখলে মনে করবে হয়তো কোনো প্রাণীর মরদেহ মরে ভেসে উঠেছে। স্থানীয় মানুষও সেই ধারণায় করেছেন। তবে তারা কোনো সিদ্ধান্তে আসতে পারছেন না। কারণ আপাত দৃষ্টিতে একে পুরোদস্তুর প্রাণী মনে হলেও, এর মাথা ও চোখ খুঁজেই পাওয়া যায়নি!
রাশিয়ার পূর্ব উপকূলে বেরিং সাগরের কূলে সম্প্রতি দেখা মিলেছে এমন এক উদ্ভট বস্তুর। এই বস্তু থেকে গন্ধ বের হচ্ছে। একজন মানুষের ওজনের তিনগুণ হতে পারে ওই জিনিসটি।
সাইবেরিয়ান টাইমস বলেছে, কামচাতকা উপদ্বীপের প্রত্যন্ত গ্রাম পাখাচিতে ওই বস্তুর দেখা পাওয়া গেছে। তবে এর ওজন এতোই বেশি যে এটিকে স্থানীয় বাসিন্দারা সরাতেও পারছিল না। স্থানীয়রা কেওই এই বস্তুটি আগে কখনও দেখেনি।
এই উদ্ভূত ঘটনা নিয়ে প্রথম লেখেন সোভেতলানা দিয়াদেনকো। তিনি বলেছেন, ‘সবচেয়ে মজার ব্যাপার হলো এই প্রাণীটি পুরোই নলাকার পশমে আবৃত। এটি কি প্রাচীন কোনো প্রাণী হতে পারে? তবে, সমুদ্রের ছুঁড়ে দেওয়া এই প্রাণীটি নিয়ে একমাত্র বিজ্ঞানীরাই গবেষণা করে উত্তর দিতে পারবেন।’ তিনি মনে করছেন যে এটি পশম ওয়ালা অক্টোপাস।
দিয়ানকো আরও বলেন, ‘এর পশম অনেকটা নলের মতো। যেনো অনেকগুলো সরু নল মৃতদেহটি জড়িয়ে রয়েছে। সত্যিই অদ্ভুত এক প্রাণী।’ দিয়াদেনকো বলেছেন, ‘আমরা গুগলে সন্ধান করেছিলাম, তবে খুঁজে পাইনি। খননকরা জরুরি হয়ে পড়েছে। কারণ হলো বালি দ্বারা প্রাণীটির প্রায় অংশই ঢাকা পড়ে গেছে।’
স্থানীয় অনেকেই বলছেন, এটা গ্লোবস্টার। দেখতে বৃহদাকার অক্টোপাসের মতোই। সামান্য হাড় রয়েছে এই প্রাণীটির। কিন্তু পশম থাকার কথা নয়। অনেকেই বলছেন, তিমি বা শার্ক সমুদ্রের অনেক প্রাণীকে এমনভাবে আক্রমণ করে যে দেখতে অদ্ভুতুরে মনে হয়।
এই অদ্ভুত প্রাণী সম্পর্কে রাশিয়ার ইনস্টিটিউট অব ফিশারিজ অ্যান্ড ওশনগ্রাফির সমুদ্রবিজ্ঞানী সের্গেই করনেভ বলেছেন, তিনি বিশ্বাস করেন কামচাতকার দৈত্যটি তিমির অংশবিশেষও হতে পারে। এটা তিমিরই অংশ, তবে সম্পূর্ণ নয়। তবে আরও গবেষণা করলে সঠিক রহস্য উন্মোচিত হতে পারে।