দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ইস্তাম্বুলের সৌদি কনস্যুলেটে সাংবাদিক জামাল খাশোগি হত্যার কারণে বাদশা সালমানের বিরুদ্ধে অভ্যুত্থান আসন্ন বলে মন্তব্য করেছেন সৌদি প্রিন্স খালিদ।
তুর্কিস্থানের ইস্তাম্বুলে সৌদি কনস্যুলেটে সাংবাদিক জামাল খাশোগি হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত থাকার করণে সৌদি বাদশাহ সালমান ও তার উত্তরাধিকার যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান বিরুদ্ধে অভ্যুত্থান আসন্ন বলে মন্তব্য করেছেন সৌদি আরবের ভিন্নমতাবলম্বী প্রিন্স খালিদ বিন ফারহান আল সৌদ। মিডল ইস্ট মনিটর নামক একটি পত্রিকায় তিনি এমন একটি মন্তব্য করেছেন।
প্রিন্স খালিদ বিন ফারহান বলেছেন, আমি আশা করি খুব শীঘ্রই এমন একটি অভ্যুত্থান ঘটবে। আর আসন্ন সময়ই আমি বাদশা সালমান ও যুবরাজের অভ্যুত্থানের সাক্ষী হবো।
প্রিন্স খালিদ আরও বলেন, সাংবাদিক জামাল খাশোগি তার স্মৃতিগুলো লেখার চিন্তা করেছিলেন, তাই তাকে হত্যার অন্যতম কারণ সেটি। জামাল খাশোগি হত্যায় সরাসরি যে নির্দেশদাতা হিসেবে কাজ করেছে তিনিই হলেন যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান।
তুরস্কের প্রধান প্রসিকিউটর বলেছেন, পূর্ব পরিকল্পনা অনুসারে সাংবাদিক জামাল খাশোগি তুরস্কে অবস্থিত সৌদি কনস্যুলেটের ভিতরে প্রবেশ করার সঙ্গে সঙ্গেই তাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়। তাকে হত্যার পর মরদেহটি টুকরো টুকরো করা হয়।
এই ব্যাখ্যা সত্য নয় বলে দাবি করেছে তুরস্ক। দেশটি খাশোগি হত্যাকাণ্ডের প্রকৃত সত্য ও বিস্তারিত সৌদি সরকারকে প্রকাশ করতে হবে বলে হুঁশিয়ারি করে দিয়েছে।
এই বিষয়ে কোনো রকম ধামাচাপা যুক্তি গ্রহণ করা হবে না বলেও জানিয়ে দিয়েছেন তারা। এমনকি সৌদি যদি এই বিষয়ে সত্য প্রকাশ না করে, সেক্ষেত্রে তুরস্ক বিস্তারিত প্রকাশ করবে বলেও হুঁশিয়ারি করে দিয়েছে।
উল্লেখ্য, গত ২ অক্টোবর তুরস্কের ইস্তাম্বুলে সৌদি কনস্যুলেটে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র নিতে গিয়ে নিখোঁজ হন সাংবাদিক জামাল খাশোগি। প্রথমে সৌদি আরব স্বীকার না করলেও পরে সৌদি সরকার স্বীকার করে, কনস্যুলেটের ভেতরে ‘ধস্তাধস্তিতে’ খাশোগি নিহত হয়েছেন।