দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ কিংবদন্তি শিল্পী আইয়ুব বাচ্চুর একমাত্র ছেলে আহনাফ তাজোয়ার এলআরবির হয়ে প্রথমবারের মতো ঢাকায় মঞ্চ মাতালেন। গেয়ে উঠলেন আইয়ুব বাচ্চুর সেই বিখ্যাত গান ‘চলো বদলে যাই’।
এলআরবির হয়ে প্রথমবারের মতো ঢাকার দর্শক শ্রোতার জন্য মঞ্চ মাতালেন কিংবদন্তি শিল্পী আইয়ুব বাচ্চুর একমাত্র ছেলে আহনাফ তাজোয়ার। ঢাকার মঞ্চ হতে তার নাম দেওয়া হয়েছে জুনিয়র আইয়ুব বাচ্চু।
গান বাংলা মিউজিক চ্যানেলের আয়োজনে দেশব্যাপী চলছে ‘শেকড়ের সন্ধান’ সিরিজের ওপেন কনসার্ট। মোট ৭টি কনসার্ট আয়োজনের দায়িত্ব পেয়েছেন কৌশিক হোসেন তাপস। সবগুলো কনসার্টেই পারফর্ম করার কথা ছিলো আইয়ুব বাচ্চু এবং তার ব্যান্ড দল এলআরবি’র!
এই ৭টি বিভাগীয় শহরের মধ্যে অন্যতম আকর্ষণীয় কনসার্টটি ছিলো রাজধানী ঢাকায়। এদিন দল নিয়ে পারফর্ম করার কথা আইয়ুব বাচ্চুরও। তবে ভাগ্যের নির্মম পরিহাসে তিনি আর নেই এই পৃথিবীতে। তাঁর গানের মতোই উড়াল দিয়ে আকাশে চলে গেছেন তিনি। তবে তিনি পেশাদারিত্বের চূড়ায় দাঁড়িয়ে এও বলে গেছেন যে, ‘শো মাস্ট গো অন’! সেই নীতি অবলম্বন করেই যেনো সম্প্রতি তার অনুপস্থিতিতেই এলআরবি পারফর্ম করলো চট্টগ্রামে।
চট্টগ্রামের পর এবার ঢাকার পালা। শুক্রবার সন্ধ্যা গড়িয়ে তখন রাতের শুরুটা ছিলো যেনো অন্য এক রকম। বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামে একে একে মঞ্চ মাত করলেন নামিদামি সব শিল্পীরা। তবে সবাই অপেক্ষা করছেন এলআরবির কখন আসবে। আইয়ুব বাচ্চুহীন এলআরবি কেমন, এটা দেখতেই যেনো হাজার হাজার মানুষ এক পায়ে ঠাঁই দাঁড়িয়ে ছিলেন। অবশেষে এলো সেই ক্ষণটি!
কৌশিক হোসেন তাপস মঞ্চে ডাকলেন এলআরবির সদস্যদেরকে। ডেকে আনলেন আইয়ুব বাচ্চুর উত্তরসুরি আহনাফকে। তার নাম দিলেন জুনিয়র আইয়ুব বাচ্চু। তুমুল কড়তালি শুরু হলো। মাইক্রোফোন হাতে নিয়ে আহনাফও বললেন, আমার বাবাকে গানেই স্মরণ করতে চাই আমি।
এই মঞ্চে ডেকে আনা হলো ‘মাইলস’-এর প্রতিষ্ঠাতা সদস্য মানাম আহমেদকেও। আইয়ুব বাচ্চুকে নিয়ে বন্ধুত্বের নানা স্মৃতিকথা শোনালেন তিনি। আহনাফকে উদ্দেশ্য করে তিনি বললেন, আইয়ুব বাচ্চুর ছেলে মানে আহনাফ আমারও ছেলে। আমি বিশ্বাস করি একদিন আহনাফও আইয়ুব বাচ্চুর মুখ উজ্জ্বল করবেন।
এ সময় এলআরবি দুটি গানে পারফর্ম করলো। মাসুদ গেয়ে উঠলেন, ‘আর কতো এভাবে আমাকে কাঁদাবে’ এরপর গানে কণ্ঠ দিলেন আইয়ুব বাচ্চুর ছেলে। তিনি গেয়ে উঠলেন আইয়ুব বাচ্চুর সেই বিখ্যাত গান ‘চলো বদলে যাই’। এইসময় তাদের সঙ্গে কিবোর্ড বাজাতে দেখা গেছে মানাম আহমেদকে। দর্শকরা যেনো আহনাফকে পেয়ে আবেগে আপ্লুত হয়ে পড়েন, তারপর তারকষ্ঠে আইয়ুব বাচ্চুর গান শুনে মেতে উঠেন আনন্দঅশ্রুতে। সৃষ্টি হয় এক অন্যরকম পরিবেশের।