দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ শুভ সকাল। শুক্রবার, ৯ নভেম্বর ২০১৮ খৃস্টাব্দ, ২৫ কার্ত্তিক ১৪২৫ বঙ্গাব্দ, ৩০ সফর ১৪৪০ হিজরি। দি ঢাকা টাইমস্ -এর পক্ষ থেকে সকলকে শুভ সকাল। আজ যাদের জন্মদিন তাদের সকলকে জানাই জন্মদিনের শুভেচ্ছা- শুভ জন্মদিন।
ইসলামি স্থাপত্য শিল্পের এক অন্যন্য স্থাপনা হলো পাকিস্তানের ঐতিহাসিক বাদশাহী মসজিদ। ঐতিহাসিক এই মসজিদটি এখনও মানুষকে ইতিহাসের কথা স্মরণ করিয়ে দেয়।
১৬৫৮ খ্রিষ্টাব্দ হতে ১৭০৭ খ্রিষ্টাব্দে মৃত্যুর আগ পর্যন্ত মুঘল সাম্রাজ্যের শাসক ছিলেন সম্রাট আওরঙ্গজেব। তিনি ছিলেন সম্রাট বাবর, হুমায়ুন, আকবর, জাহাঙ্গীর ও শাহজাহানের পর ষষ্ঠ মুঘল সম্রাট। তিনি সম্রাট শাহজাহানের ছেলে। তার শাসনামলে বিভিন্ন যুদ্ধের মাধ্যমে মুঘল সাম্রাজ্যের বিস্তার ঘটে। মুঘল বাদশাহদের মধ্যে গোটা ভারতবর্ষে রাজত্ব করা একমাত্র ব্যক্তিত্ব হলেন আওরঙ্গজেব। তাঁর নির্দেশেই পাকিস্তানের রাজধানী লাহোরে নির্মিত হয় ‘বাদশাহী মসজিদ’।
ইতিহাস সূত্রে জানা যায়, এক সময় লাহোর ভারতবর্ষের সৌন্দর্যের প্রতিনিধিত্ব করতো। সে কারণে পর্যটকরা লাহোরে ভিড় জমাতো। আওরঙ্গজেবের শাসনামলে লাহোর ছিল খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি এলাকা। সেজন্য তিনি বাদশাহী মসজিদটি নির্মাণে লাহোরকে মনোনীত করেন।
সেই সময়ের বাদশাহী মসজিদ
বাদশাহী মসজিদটি দেখতে অনেকটা দিল্লি জামে মসজিদের মতোই। আবার তাজমহলের সঙ্গেও এর যথেষ্ট মিল খুঁজে পাওয়া যায়। ৩টি গম্বুজ ও ৮টি মিনার রয়েছে এই মসজিদটিতে। এই ৮টি মিনারের ৪টি প্রধান মিনার। বাকি ৪টি মিনার চার কোনায় অবস্থিত।
বাদশাহী মসজিদটির আয়তন ২২ হাজার ৮২৫ বর্গফুট; তবে এর প্রাঙ্গণের আয়তন ২৫ হাজার ৭৮৪ বর্গফুট। মসজিদটির ভেতরে একসঙ্গে ৫৫ হাজার ও বাইরে ৯৫ হাজার মুসল্লি নামাজ আদায় করতে পারেন। সব মিলে একসঙ্গে ১ লাখ ১০ হাজার মুসল্লি এই বাদশাহী মসজিদটিতে নামাজ আদায় করতে পারেন।
তথ্য সূত্র: www.priyo.com এর সৌজন্যে।