দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ চিকিৎসা ও অসহায়ত্ব দূর করতে দেশের চার প্রথিতযশা শিল্পীর পাশে দাঁড়িয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। চার শিল্পীকে প্রধানমন্ত্রীর ৯০ লাখ টাকা অনুদান দিয়েছেন।
চিকিৎসা ও অসহায়ত্ব দূর করতে দেশের চার প্রথিতযশা শিল্পীর পাশে দাঁড়িয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। চলচ্চিত্র অভিনেতা প্রবীর মিত্র, অভিনেত্রী রেহানা জলি, নূতন এবং কণ্ঠশিল্পী কুদ্দুস বয়াতিকে আজ (বৃহস্পতিবার) সকালে গণভবনে ডেকে ৯০ লাখ টাকা অনুদান প্রদান করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
এ সময় চার শিল্পী উপস্থিত হতে প্রধানমন্ত্রীর হাত থেকে এই অনুদানের সঞ্চয়পত্র গ্রহণ করেন। প্রবীর মিত্র ও রেহানা জলি পেয়েছেন ২৫ লাখ করে এবং ২০ লাখ করে পেয়েছেন অভিনেত্রী নূতন ও শিল্পী কুদ্দুস বয়াতি।
শিল্পী ঐক্য জোটের সভাপতি এবং অভিনেতা ডি এ তায়েবের পরামর্শে সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক ও নাট্য নির্মাতা জিএম সৈকতের তত্ত্বাবধানে প্রধানমন্ত্রীর কাছে আবেদন করেন কুদ্দুস বয়াতি বাদে বাকি তিন অভিনেতা। অনুদান গ্রহণের সময় শিল্পী ঐক্য জোটের পক্ষ হতে উপস্থিত ছিলেন নির্মাতা জিএম সৈকত।
অনুদান প্রাপ্তির পর তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় অভিনেতা প্রবীর মিত্র সংবাদ মাধ্যমকে জানান, প্রধানমন্ত্রী সত্যিই একজন অমায়িক মানুষ। এতো ব্যস্ততার পরও উনি, হাজার হাজার মানুষ তার সঙ্গে সাক্ষাৎ করার জন্য অপেক্ষা করছেন, কতো সমস্যা সামনে অথচ তিনি যখন আমাদের হাতে এই সঞ্চয়পত্র তুলে দিলেন তখন তাঁর মুখে হাসি। এতো ঝামেলার মধ্যেও যিনি হাসি মুখে শিল্পীদের কদর করেন তাঁর কাছে কৃতজ্ঞতা জানানোর ভাষা আমার নেই।
প্রধানমন্ত্রীর সাথে কোনো কথা হয়েছে কিনা জানতে চাইলে প্রবীর মিত্র বলেন, এতো মানুষ চারদিকে; এতো ভিড়। এরমধ্যে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলার সুযোগই ছিলো না। তবে সঞ্চয়পত্র হাতে তুলে দেওয়ার সময় তিনি আমাকে বলেছেন, যে টাকা প্রতিমাসে আপনি পাবেন সেটা দিয়ে খুব ভালো চিকিৎসা হয়ে যাবে।
এদিকে প্রধানমন্ত্রী অসহায় এসব শিল্পীদের অনুদান দেওয়ায় শিল্পী ঐক্যজোটের পক্ষ হতে প্রধানমন্ত্রীর প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন সংগঠনটির সভাপতি ডি এ তায়েব এবং সাধারণ সম্পাদক জিএম সৈকত।
প্রধানমন্ত্রীর অনুদান পেয়ে শীঘ্রই আবার নতুন করে চিকিৎসা শুরু করবেন জানিয়ে অভিনেত্রী রেহানা জলি বলেন, আমার জীবনে সবচেয়ে বড় উপকারটা করলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। কারণ অর্থাভাবে আমার চিকিৎসা বন্ধ হয়ে গিয়েছিলো। এখন আবার প্রধানমন্ত্রীর কল্যাণে চিকিৎসা শুরু করতে পারবো এবং সুস্থ হয়ে কাজে ফিরতে পারবো।