দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ বর্তমানে বিশেষ করে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রার্থী হতে গিয়ে আরও বেশি করে আলোচনায় চলে আসেন হিরো আলম। এবার নিজের ভাস্কর্য দেখে আবেগে আপ্লত হিরো আলম।
আশরাফুল হোসেন আলম ওরফে হিরো আলম জানান, ৩ ডিসেম্বর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে হিরো আলমের ভাস্কর্যের একটি ছবি ভাইরাল হয়। সেই ছবির সূত্র ধরে ভাস্কর্যের সন্ধান করতে থাকেন তিনি নিজেই। পরের দিন ৪ ডিসেম্বর ফেসবুকের মাধ্যমেই ভাস্কর্যের সন্ধান পান হিরো আলম।
ওইদিন বিকেলে নিজের ভাস্কর্য দেখতে সরেজমিনে জগন্নাথ হলে চলে যান হিরো আলম। উত্তম কুমার শর্মা তৈরি করছেন তার ওই আবক্ষ ভাস্কর্য। সে রাজবাড়ি জেলার বালিয়াকান্দি উপজেলার নারায়নপুর গ্রামের নিপেন্দ্রনাথ শর্মার ছেলে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের ভাস্কর্য বিভাগের এম এফ এ ১ম বর্ষের শিক্ষার্থী উত্তম কুমার শর্মা।
উত্তম কুমার শর্মা তৈরি করছেন হিরো আলমের আবক্ষ ভাস্কর্যটি। ইতিমধ্যে ভাস্কর্যের কাজ অনেকটাই এগিয়েও গেছে।
নিজের ভাস্কর্য দেখতে সরেজমিনে ঢাবির জগন্নাথ হলের জ্যোতির্ময় ভবনে শিক্ষার্থী উত্তম কুমারের সঙ্গে ওই দিন (৪ ডিসেম্বর) বিকেলে দেখা করেন হিরো আলম।
এই সময় তারসঙ্গে ছিলেন ডিজিটাল আন্তর্জাতিক মানবাধিকার ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান আতিকুর রহমানসহ বেশ কয়েকজন গণমাধ্যমকর্মীও। চোখের সামনে নিজের ভাস্কর্য দেখে প্রথমে চমকে ওঠেন আশরাফুল হোসেন আলম রওফে হিরো আলম। এই সময় আবেগে আপ্লত হন হিরো আলম।
হিরো আলমকে কাছে পেয়ে আনন্দে আত্মহারা হয়ে পড়েন শিক্ষার্থী উত্তম কুমারও। জগন্নাথ হল চত্বরে হিরো আলমকে দেখতে পেয়ে সেলফির হুড়োহুড়ি শুরু করে দেয় ঢাবির শিক্ষার্থীরাও। এই সময় বেশ উৎফুল্ল ছিলেন হিরো আলম।
ঢাবির চারুকলা অনুষদের ভাস্কর্য বিভাগের শিক্ষার্থী উত্তম কুমার শর্মা জানিয়েছেন, হিরো আলমের ভাস্কর্য নির্মাণ করে শুধু সম্মান ও ভালোবাসাই প্রদর্শন নয়, সকল শিল্পী সমাজকেও শিল্পকর্ম নির্মাণের মাধ্যমে সম্মানিত করতে পেরেছি। হিরো আলমকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, এই সরল সহজ মানুষটিকে সাম্প্রতিক অসৎ ধান্দাবাজ স্বার্থপর রাজনীতির বিপরীতে এক স্বচ্চতার প্রতীক হিসেবে ধরা যায়।
উত্তম কুমার আরও জানান, তিনি নিজ আগ্রহে ভাস্কর্যটি তৈরির উদ্যোগ নেন। ভাস্কর্যটি আসলে কোথায় স্থাপন করা হবে, আদৌ স্থাপন করা হবে কি-না, সেই বিষয়টি নিশ্চিত করতে পারেননি। তবে আপাতত জগন্নাথ হলে নিজের কাছেই ভাস্কর্যটি রাখবেন বলে জানিয়েছেন এই তরুণ ভাস্কর।