দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ গত ২৯ নভেম্বর ডিম পাড়ার জন্য যুক্তরাষ্ট্রের মিডওয়ে অ্যাটোল অভয়ারণ্যে সঙ্গী আকেআকামাইয়েকে নিয়ে ফিরে আসে উইসডম নামে একটি অ্যালবাট্রস পাখি। পৃথিবীর সবচেয়ে বয়স্ক ওই অ্যালবাট্রস ৬৮ বছর বয়সে ডিম দিয়েছে!
বিজ্ঞানীরা পাখিদের নিয়ে নানা গবেষণা করে থাকেন। এমনই একটি গবেষণার অংশ ছিলো এই পাখিটি। তবে সেই গবেষণা আজকের নয়, বহু বছর আগের গবেষণা। জীববিজ্ঞানী চ্যান্ডলার রবিনস এই গবেষণাটি পরিচালনা করেছিলেন। তিনি পাখিদের বিশেষ ডিম দেওয়া ও বাচ্চা ফুটানো হতে শুরু করে তাদের জীবন যাপনের ওপরে নানা গবেষণা চালান। যে পাখিটির কথা আজ বলা হবে সেটিও তাঁর একটি গবেষণা।
গত ২৯ নভেম্বর ডিম পাড়ার জন্য যুক্তরাষ্ট্রের মিডওয়ে অ্যাটোল অভয়ারণ্যে সঙ্গী আকেআকামাইয়েকে নিয়ে ফিরে আসে উইসডম নামে একটি অ্যালবাট্রস পাখি। পৃথিবীর সবচেয়ে বয়স্ক ওই অ্যালবাট্রস ৬৮ বছর বয়সে ডিম দিয়েছে!
সংবাদ মাধ্যমের খবরে জানা যায়, প্রশান্ত মহাসাগরের তীর ঘেঁষা অভয়ারণ্যটি হাওয়াই দ্বীপপুঞ্জ হতে ১৫শ’ কিলোমিটার উত্তর-পশ্চিমে অবস্থিত। যেখানে ইতিমধ্যে একটি ডিমও দিয়েছে এই পাখিটি।
জীববিজ্ঞানী চ্যান্ডলার রবিনস ১৯৫৬ সালে একটি সাধারণ লেসান অ্যালবাট্রসকে চিহ্নিত করেন। তিনি পাখিটির নাম দেন উইসডম। ৫ বছরের কিছু বেশি বয়সী পাখিটির পায়ে তখন পরানো হয় একটি রিং। পরবর্তী সময় অর্থাৎ এই উইসডম নামে অ্যালবাট্রস পাখিটিকে আর কখনও দেখা যায়নি। ২০০২ সালের শেষ দিকে রবিনস আবারও পাখিটিকে খুঁজে পান। এরপর হতেই বিশেষজ্ঞরা পাখিটির ওপর নজরদারি চালিয়ে আসছেন।
বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, অ্যালবাট্রস পাখি প্রতিবছর একটি ডিম পাড়ে এবং ৬ মাস পর্যন্ত বাচ্চাকে আগলে রাখে। বছরের বাকি সময় এরা দূর-দূরান্তে উড়ে বেড়ায়। ওয়াইল্ডলাইফ এজেন্সির ধারণা, দম্পতির এই মা পাখিটি এই পর্যন্ত অন্তত ৪০টি ডিম পেড়েছে।
৭ ফুট দীর্ঘ ডানার জন্য এই পাখিটিকে বলা হয় আকাশের দানব। তাদের এই দীর্ঘ ডানা মেলে তারা সমুদ্রে হাজার হাজার মাইল পাড়ি দেয়। এই পাখির জীবনটাই কাছে সমুদ্রে। এই অ্যালবাট্রস কেবল সমুদ্রেই ঘুরে বেড়ায়।
২০১১ সালে সুনামিতে হাজার হাজার পাখি মারা গেলেও বেঁচে যায় উইসডম। ২০১৫ সালে উইসডম এবং আকেআকামাইয়ের একটি ডিম নষ্ট হয়েছিল। এরপর ২০১৬ এবং ২০১৭ সালে মা হয়েছিল উইসডম। আবারও ডিম দিলো এই উইসডম নামে অ্যালবাট্রস পাখি- তাও প্রায় ৬৮ বছর বয়সে!