দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ছাত্রলীগ নেতার হামলার শিকার সিলেট সরকারি মহিলা কলেজের ছাত্রী খাদিজার অবস্থা সংকটাপন্ন। গতকাল (মঙ্গলবার) বিকেলে অস্ত্রোপচার পর তাঁকে রাজধানীর স্কয়ার হাসপাতালে ৭২ ঘণ্টার নিবিড় পর্যবেক্ষণে রাখা হয়।
চিকিৎসকেরা বলছেন, খাদিজার শারীরিক অবস্থা অত্যন্ত সংকটাপন্ন। ৭২ ঘণ্টা পার হলে তবেই কিছু বলা যাবে।
গত পরশু (সোমবার) বিকেলে সিলেট সরকারি মহিলা কলেজের ছাত্রী খাদিজা বেগম নার্গিসের ওপর হামলা চালায় শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ও ছাত্রলীগ নেতা বদরুল আলম। তাকে এলোপাথারি ছুরিকাঘাত করা হয়। হামলার পর আহত ছাত্রীকে প্রথমে সিলেট মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল ও পরে রাজধানীর স্কয়ার হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। গতকাল তাঁর শরীরে অস্ত্রোপচার করা হয়। বিকেলে স্কয়ার হাসপাতালের নিউরো সার্জারির জ্যেষ্ঠ পরামর্শক রেজাউস সাত্তার সাংবাদিকদের জানান, জটিল অপারেশনের পর খাদিজাকে ৭২ ঘণ্টার পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে। এরপর তাঁর অবস্থা সম্পর্কে ধারণা পাওয়া যাবে।
সোমবার বিকেলে খাদিজা সিলেট এমসি কলেজের পরীক্ষা শেষে হল থেকে বের হওয়ার পথে চাপাতি দিয়ে তাঁকে কুপিয়ে আহত করে বদরুল। খাদিজাকে প্রথমে সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে এক দফা অস্ত্রোপচার করার পর রাতে তাঁকে রাজধানীর স্কয়ার হাসপাতালে নেওয়া হয়। স্কয়ার হাসপাতালের নিউরো সার্জারির জ্যেষ্ঠ পরামর্শক রেজাউস সাত্তারের অধীনে খাদিজা বর্তমানে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
জানা গেছে, খাদিজাকে কোপানোর পর তাঁর সহপাঠীসহ স্থানীয় জনতা ধাওয়া করে বদরুলকে ধরে পুলিশে সোপর্দ করে। তার বাড়ি সুনামগঞ্জের ছাতক উপজেলায়। বদরুল শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগের সহসম্পাদকের দায়িত্বে রয়েছেন।
সিলেট মহানগর পুলিশের শাহপরান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহজালাল মুন্সি জানিয়েছেন, হামলা চালানোর কথা স্বীকার করেছেন আটক বদরুল। খাদিজার সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কে টানাপোড়েন হতেই ক্ষিপ্ত হয়ে তিনি হামলা করেছেন বলে পুলিশকে বলেছেন।
এদিকে বদরুলের কঠোর শাস্তির দাবিতে সিলেকসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে বিক্ষোভ মিছিল ও মানব বন্ধন অব্যাহত রয়েছে। সর্বস্তরের জনগণ এহেন ঘটনায় ধিক্কার ও দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেছে।