দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ পৃথিবীর বাইরে প্রাণের অস্তিত্ব নিয়ে নানা প্রশ্ন রয়েছে দীর্ঘদিনের। এবার সমুদ্রে পাওয়া এক ভয়াল জীব নিয়ে রহস্য সৃষ্টি হয়েছে।
বিজ্ঞানীরা মহাবিশ্বে পৃথিবীর বাইরে প্রাণের অস্তিত্ব নিয়ে নিত্য সন্ধান চালিয়ে যাচ্ছেন। এখন পর্যন্ত কোনও মহাজাগতিক প্রাণীর অস্তিত্বের বিষয়ে এখনও তেমন কোনো কিছু জানা যায়নি। তবে এলিয়েন হান্টাররা চুপচাপ বসে নেই। তারা বিশ্বাস করেন যে, মহাবিশ্বে আমরা একা নই, অন্য কোনও দূরবর্তী গ্রহে হয়তো বসবাস করছে অন্য কোনও ধরনের জীব। তারা মাঝে-মধ্যেই পৃথিবীতে হানা দেয় বলে তাদের ধারণা। সেই সব জীবের পৃথিবীতে আগমনের নানা অদ্ভুত প্রমাণও বিজ্ঞানীরা বিভিন্ন সময় আবিষ্কার করেছেন। এবার সেই ধরনেরই একটি প্রমাণ খুঁজে পেয়েছেন বিজ্ঞানীরা রাশিয়ার একটি সমুদ্র হতে।
রোমান ফেদোরোস্তভ রাশিয়ার একজন সামুদ্রিক প্রাণী বিশেষজ্ঞ। রাশিয়ার বিভিন্ন সমুদ্রে বোট নিয়ে ঘুরে বেড়ানো ও নিত্যনতুন সামুদ্রিক প্রাণী আবিষ্কার করাই তাঁর এক বড় নেশা। অজস্র বিচিত্র প্রাণী তিনি সমুদ্রগর্ভ হতে আবিষ্কার করেছেন। সেই সমস্ত প্রাণী নিয়ে গবেষণাও করেছেন তিনি। সেই রোমান ফেদোরোস্তভের জালেই কিছুদিন পূর্বে ধরা পড়ে এক বিচিত্র ও রহস্যময় জীব।
ইস্ট সাইবেরিয়ান সি-তে সে সময় বোট নিয়ে ঘুরছিলেন রোমান। জাল ফেলেছিলেন সমুদ্রে। হঠাৎই তিনি জালে প্রবল আলোড়ন লক্ষ করেন। জাল টেনে তুলতেই দেখা যায় যে, তার জালে আটকে রয়েছে এক অদ্ভুত-দর্শন জীব। জীবটির চোয়ালে ধারালো দাঁত ও মুখের ভিতর লাল রঙের আভা।
এই ভয়াল চেহারার জীবের ছবি রোমান শেয়ার করেন নিজের টুইটার অ্যাকাউন্টে। সেইসঙ্গে তিনি জানিয়েছেন, এটি জীব কী না, তা তিনি জানেন না। সেই সুযোগেই ভয়ঙ্কর সামুদ্রিক জীবটিকে নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় লেখা-লেখি শুরু হয়।
দাবি করা হয়, এটি আসলে গ্রহান্তরের এক জীব। কোনও একটি মহাকাশযানে চড়ে হয়তো এই জীবটি এসেছিল পৃথিবীতে। তারপর কোনও যান্ত্রিক গোলযোগের কারণে সেই মহাকাশযান ভেঙে পড়ে ইস্ট সাইবেরিয়ান সমুদ্রে। তাতেই সলিল সমাধি ঘটে এই জীবের। সেই মৃতদেহটিই ধরা পড়েছে রোমানের জালে। অনেকেই এই প্রাণীর ছবি দেখে অজানা আতঙ্কে শিহরিত হয়ে ওঠেন। এই প্রাণী মাংসাশী কি না, বা মানুষকে এটি খেয়ে হজম করতে পারে কি না- এমন প্রশ্নও তুলেছেন অনেকেই।
ফেসবুক-টুইটারে ভাইরাল হয়ে গেছে সেই ছবি। অবশ্য এই বিষয়ে রোমানের কোনও মন্তব্য জানা যায়নি। সমুদ্র বিশেষজ্ঞ, হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ইয়ান স্টুয়ার্ট প্রাণীটির ছবি দেখে বলেছেন যে, ‘ছবিটি হয়তো ফোটোশপড। যদি তা না-ও হয়ে থাকে, তাহলেও এটিকে এলিয়েন বা গ্রহান্তরের প্রাণী বলে মনে করার কোনও কারণ ঘটেনি। তবে সেইসঙ্গে তিনি এও বলেছেন, সমুদ্রের তলায় এখনও অনেক জীব রয়েছে, যাদের সন্ধান বিজ্ঞান পায়নি এখনও। এটি সেরকমই অনাবিষ্কৃত কোনও জীবের ছবিও হতে পারে বলে মন্তব্য করেন তিনি।