দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ একটি মোরগের দাম ১২ হাজার টাকা! এমন কথা শুনলে আপনিও আশ্চর্য হবেন সেটিই স্বাভাবিক। তবে ঘটনাটি সত্য। তবে এই মোরগটি যেনো তেনো মোরগ নয়, লড়াকু মোরগ।
অসাধারণ মোরগ হওয়ায় এই লড়াকু মোরগের দাম এতো বেশি। ‘কাটিং মাস্টার’ বলে খ্যাত এই মোরগটি ইতিমধ্যে লড়াই করে বিজয়ী হয়ে মালিককে পুরস্কার এনে দিয়েছে। সে কারণেই এই মোরগটির এতো দাম, এতো কদর।
তবে এই মোরগের দাম উঠেছে কোথায় জানেন? ১২ হাজার টাকার এই মোরগের খোঁজ পাওয়া গেছে অনলাইনে পণ্য কেনাবেচার খ্যাতিমান ওয়েবসাইট বিক্রয় ডটকম এ। কোরবানির পশু খুঁজতে গিয়ে দামি এই মোরগের দেখা পাওয়া গেছে। এতো দামের কারণেই মোরগটি সকলেরই কাছেই আগ্রহের বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। যেখানে একটি মোরগের দাম বড়জোর ৫০০ টাকা, সেখানে একটি মোরগের দাম ১২ হাজার টাকা।
জানা যায়, মোরগটির মালিক হলেন সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলার মো: আব্দুল জব্বার। তিনি পেশায় একজন কৃষক হলেও পশু-পাখি পালন তার এক নেশা।
সংবাদ মাধ্যমকে আব্দুল জব্বার বলেছেন, ‘এই মোরগটি লাক্ষ্মা জাতের মোরগ। এটির বয়স ১৪ মাস। এই মোরগটি দিয়ে দুইটি মোরগ লড়াইয়ে জয়ী হয়েছি। পুরস্কার হিসেবে পেয়েছি ২টি মোবাইল ফোন।
মালিক জব্বার ভালোবেসে মোরগটির নাম দিয়েছেন ‘কাটিং মাস্টার’। এই নামেই তিনি ফেসবুকে একটি পেজ খুলেছেন। ওই পেজে মোরগটির অনেক ছবি পাওয়া গেছে। মোরগটির রঙ লাল হলেও লেজটা কালো রঙের। উচ্চতা ২৮ ইঞ্চি। লাল ঠোঁট ও ঝুঁটিতে লড়াকু ভাব রয়েছে মোরগটির।
দুইবার চ্যাম্পিয়ন হওয়া এই মোরগ বিক্রির কারণ জানতে চাইলে আব্দুল জব্বার জানিয়েছেন, তিনি আরেকটি ভালো জাতের মোরগ কিনতে চান। একটি মোরগ তিনি পছন্দও করেছেন। যার দাম বিক্রেতা হাঁকছেন ৪০ হাজার টাকা!
আব্দুল জব্বার জানান, বিক্রয় ডটকমে মোরগের বিজ্ঞাপন দেখে অনেকেই মোরগটি কেনার আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। তবে দামে তার মোটেও পোষাচ্ছে না। পরে দাম এক হাজার টাকা কমিয়ে ১১ হাজার করেছেন। কিন্তু একজন ক্রেতা সর্বোচ্চ ১০ হাজার টাকা পর্যন্ত দিতে রাজি হয়েছিলেন বলে তিনি জানিয়েছেন সংবাদ মাধ্যমকে।
উল্লেখ্য, পশুপাখি প্রেমী হিসেবে এলাকায় আব্দুল জব্বারের খ্যাতি রয়েছে দীর্ঘদিনের। তার একটি হাসের খামারও রয়েছে। খামারের আয় দিয়েই দিন চলে এই শৌখিন তরুণের- তেমনটিই জানিয়েছেন তিনি।