দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ আরাকান রোহিঙ্গা স্যালভেশন আর্মি যাকে বলা হয় আরসা, তারা বলেছেন তারা মিয়ানমারের রাখাইনে শান্তি প্রতিষ্ঠায় সরকারের যেকোনো শান্তি আলোচনায় অংশ নিতে প্রস্তুত রয়েছেন।
গোলোযোগপূর্ণ এই রাজ্যটিতে গত এক মাসের একপাক্ষিক অস্ত্রবিরতির শেষ পর্যায়ে এসে বিদ্রোহী সংগঠনটির পক্ষ হতে শান্তি আলোচনায় যোগ দেওয়ার ইচ্ছাপোষণ করা হলো। গত ১০ সেপ্টেম্বর হতে অস্ত্রবিরতি পালন করছে এই সংগঠনটি।
জানা গেছে, আগামীকাল (সোমবার) মধ্যরাতে মাসব্যপী এই অস্ত্রবিরতি শেষ হবে। অস্ত্রবিরতির সময় শেষ হওয়ার পর বিদ্রোহী সংগঠনটি কোন পথ বেছে নেবে সেটি স্পষ্ট না হলেও তারা বলেছেন, ‘রোহিঙ্গাদের ওপর নির্যাতন এবং নিপীড়ন বন্ধে আরসা দৃঢ় প্রতিজ্ঞ’।
গতকাল (শনিবার) এক বিবৃতিতে আরসা বলেছে, “যেকোনো পর্যায়ে বার্মিজ সরকার শান্তির পক্ষ নিলে আরসা তাকে স্বাগত জানিয়ে অংশ নিবে।” তবে সরকারিভাবে এই ব্যপারে তাৎক্ষণিকভাবে কোনো প্রতিক্রিয়া জানানো হয়নি বলে সংবাদ মাধ্যমের খবরে বলা হয়।
তবে গত ১০ সেপ্টেম্বর অস্ত্রবিরতি ঘোষণার পর মিয়ানমার সরকার বলেছিলো যে, সস্ত্রাসীদের সঙ্গে আলোচনার কোনো নীতি তাদের একেবারেই নেই।
উল্লেখ্য, ২৫ আগস্ট মিয়ানমারের রাখাইনে ৩০টি তল্লাশি চৌকিতে এই বিদ্রোহী সংগঠনটির অতর্কিত হামলার পর মিয়ানমারের সেনাবাহিনী পাল্টা অভিযান শুরু করে। সেই নির্যাতনের হাত হতে রক্ষা পেতে ইতিমধ্যে ৫ লাখের বেশি রোহিঙ্গা সীমান্ত পেরিয়ে বাংলাদেশে পালিয়ে এসেছে।
মিয়ানমার সরকারের কর্মকাণ্ডকে ‘জাতিগত নিধনযজ্ঞের প্রকৃষ্ট উদাহরণ’ হিসেবে বর্ণনা করে জাতিসংঘ বলেছে, রাখাইনে চলছে নির্বিচারে নিধনযজ্ঞ।