দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ আরাকান রাজ্যে রোহিঙ্গাদের উপর অত্যাচার-নির্যাতন করে দেশ থেকে বিতাড়িত করার মতো নির্মমতার কারণে মিয়ানমারের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের জন্য মার্কিন সিনেটে বিল উত্থাপিত হয়েছে।
বিবিসি বাংলার এক খবরে বলা হয়েছে, মিয়ানমারের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের প্রস্তাব করে মার্কিন সিনেটে এই সংক্রান্ত একটি বিল আনা হয়েছে। রোহিঙ্গা সংখ্যালঘুদের ওপর নিপীড়ন বন্ধে দেশটির সেনাবাহিনীর ওপর চাপ সৃষ্টি করতেই এই বিল আনা হয়। রিপাবলিকান ও ডেমোক্র্যাট উভয় পাটির সিনেটররা মিলে যৌথভাবে এই বিল এনেছেন। গত বৃহস্পতিবার উপস্থাপিত হওয়া এই বিলটিতে মিয়ানমারের সামরিক বাহিনীর সঙ্গে সহযোগিতা করা কিংবা তাদের দেওয়া সহায়তা কাটছাঁট করার কথা বলা হয়।
তাছাড়া মিয়ানমারের ঊর্ধ্বতন সামরিক কর্মকর্তাদের চিহ্নিত করার কথা রয়েছে, যাদের ওপর মার্কিন ভিসা নিষেধাজ্ঞা আরোপ কিংবা পুনর্বহাল করা হবে।
সেইসঙ্গে মিয়ানমারের ওপর আমদানি এবং বাণিজ্যের ক্ষেত্রে বিধিনিষেধ আরোপের আহ্বান জানানো হয়েছে। চুনি ও পান্নার মতো মূল্যবান পাথর আমদানির ওপর নতুন করে নিষেধাজ্ঞা আরোপের কথাও বলা হয়েছে ওই প্রস্তাবে।
এই বিষয়ে পরে এক বিবৃতিতে সিনেটের সশস্ত্র বাহিনী বিষয়ক কমিটির চেয়ারম্যান জন ম্যাককেইন বলেছেন, ‘মিয়ারমারে নিরপরাধ নারী-পুরুষ এবং শিশুদের হত্যা ও বাস্তুচ্যুত করার জন্য যেসব সামরিক কর্মকর্তা দায়ী, তারা এই বিলের আওতায় পড়বে। এটা স্পষ্ট করে দেওয়া হচ্ছে যে, যুক্তরাষ্ট্র তাদের এসব নৃশংসতার পক্ষে কখনও দাঁড়াবে না।’
এ বিষয়ে ডেমোক্র্যাট সিনেটর এলিয়ট এঞ্জেল বলেছেন, ‘মার্কিন আইনপ্রণেতারা এই বিষয়টির ব্যাপারে একটা স্পষ্ট বার্তা দিতে চাইছেন। সহিংসতা অবশ্যই বন্ধ হতে হবে, দোষীদের বিচারের আওতায় আনতে হবে। বার্মার সামরিক এবং নিরাপত্তা বাহিনীর ওপর অর্থবহ বেসামরিক নিয়ন্ত্রণও আনতে হবে।’
উল্লেখ্য, গত ২৫ আগস্ট হতে মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে সেনাবাহিনী ও বৌদ্ধ মিলিশিয়াদের গণহত্যার মুখে এ পর্যন্ত প্রায় সোয়া ৬ লাখ রোহিঙ্গা বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে। অব্যাহত এই গণহত্যায় কয়েক হাজার নিরীহ রোহিঙ্গা নিহত হয়েছে। হাজার হাজার রোহিঙ্গা নারী গণধর্ষণের শিকার হয়েছেন। এমন অবস্থায় বিশ্বের প্রায় সব দেশ সোচ্চার মিয়ানমারের বিরুদ্ধে।