দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ফেলানী হত্যার রিট শুনানি ফের পিছিয়ে দিয়েছে ভারতের সুপ্রিম কোর্ট। ফেলানী হত্যার বিষয়ে ফেলানীর বাবা ও মানবাধিকার সুরক্ষা মঞ্চের (মাসুম) করা রিট মামলার শুনানি আবারও ৩ সপ্তাহ পিছিয়েছে।
ভারতের সুপ্রিম কোর্টে ফেলানী হত্যার বিষয়ে ফেলানীর বাবা ও মানবাধিকার সুরক্ষা মঞ্চের (মাসুম) করা রিট মামলার শুনানি করার কথা ছিল। এই নিয়ে তিন তিন বার শুনানির দিন পিছিয়ে দেওয়া হয়।
গতপরশু (বৃহস্পতিবার) এই মামলার শুনানির তারিখ নির্ধারিত করা ছিল। তবে সরকার পক্ষের সময় চাওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে শুনানির দিন এবার ৩ সপ্তাহ পিছিয়ে দেওয়া হয়েছে। মামলা উপলক্ষে মানবাধিকার সুরক্ষা মঞ্চ মাসুমের সহ-সভাপতি কিরীটি রায় দিল্লিতে হাজির হন। তিনি সংবাদ মাধ্যমকে জানিয়েছেন, এবারও শুনানি পিছিয়ে দেওয়া হয়েছে।
তবে এবার সরকার পক্ষ সময় চাওয়াতেই আদালত শুনানি পিছিয়ে দেওয়ার কথা জানিয়েছেন তিনি। ইতিপূর্বে গত বছরের ২৫ অক্টোবরও শুনানি হওয়ার কথা থাকলেও তা হয়নি।
২০১১ সালের ৭ জানুয়ারি বাবার সঙ্গে সীমান্ত পার হতে গিয়ে কুড়িগ্রামের অনন্তপুর সীমান্তে বিএসএফ সদস্য অমিয় ঘোষের গুলিতে প্রাণ হারান বাংলাদেশী এই কিশোরী ফেলানী। দেশ ও বিদেশে তীব্র সমালোচনার মুখে একে একে দুবার বিএসএফ তার নিজস্ব আদালতে বিচারের মুখোমুখি করা হয় অভিযুক্ত অমিয় ঘোষকে। তবে দু’বারই অমিয় ঘোষকে নির্দোষ বলে রায় দেওয়া হয়।
এদিকে ভারতের জাতীয় মানবাধিকার কমিশন মাসুমের করা আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে কমিশন রায় দিয়ে জানান যে, নিরস্ত্র ফেলানীকে গুলি করে হত্যার কোনো যুক্তিই ছিল না। কমিশন ফেলানীর পরিবারকে ৫ লক্ষ রুপি ক্ষতিপূরণ দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল। তবে ভারতের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক সেই নির্দেশ মানেনি। এরপরেই ফেলানীর বাবা নুরুল ইসলাম নুরু ও মানবাধিকার সুরক্ষা মঞ্চ ফেলানী হত্যার বিচার এবং ক্ষতিপূরণ চেয়ে ভারতের সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করেন । সেইসঙ্গে তারা সিবিআই বা কোনো নিরপেক্ষ সংস্থাকে দিয়ে হত্যার তদন্ত করার আবেদন জানিয়েছেন।
ভারতের সুপ্রিম কোর্ট ২০১৫ সালের ১৩ জুলাই আবেদনটি গ্রহণ করে ভারত সরকার, পশ্চিমবঙ্গ সরকার, বিএসএফ ও সিবিআইকে নোটিশ জারি করে। আদালত মামলাটি গ্রহণ করায় আবেদনকারীরা সুবিচার পাবেন বলে আশা প্রকাশ করলেও বিগত দেড় বছরেও মামলার শুনানি না হওয়ায় হতাশ হচ্ছেন সকলেই।