দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ চলন্ত বিমানের দরজা খুলে গেলে কী অবস্থা হতে পারে তা একবার ভাবুন? তবে এবার সত্যিই নাইজেরিয়ার একটি এয়ারলাইনের বিমান অবতরণের পর সেটির জরুরি বহির্গমন বা ইমারজেন্সি এক্সিট দরজা খুলে পড়ে!
বিবিসির এক খবরে বলা হয়, নাইজেরিয়ার একটি এয়ারলাইনের বিমান অবতরণের পর সেটির জরুরি বহির্গমন বা ইমারজেন্সি এক্সিট দরজা খুলে পড়ে। ওই বিমানটি লাগোস হতে আবুজায় অবতরণের পর এমন অপ্রত্যাশিত ঘটনাটি ঘটে।
যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে এমনটি ঘটেছে সেটি মানতে নারাজ ডানা এয়ার নামের ওই বিমান সংস্থাটির কর্মকর্তারা। উল্টো এর জন্য বিমানটির একজন যাত্রীকে দোষীর কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়েছেন তারা। তারা বলছেন, ‘দরজা খুলতে কোনো একজন যাত্রীর সচেতন চেষ্টা ছাড়া’ এমনটি কখনও ঘটতেই পারে না।
তবে বিমানটিতে থাকা একজন যাত্রী তা অস্বীকার করেছেন। লাগোসের বাসিন্দা ওই যাত্রী দাপো সানও বলেছেন, ফ্লাইটে প্রচুর শব্দ পাচ্ছিলাম। ফ্লোর প্যানেলটিও খুব কাঁপছিল। আমি খেয়াল করলাম যে জরুরি বহির্গমন দরজার হুকটি আলগা হয়ে গেছে।
তিনি বলেন যে, যখন বিমানটি অবতরণ করলো তখন সেটি পার্কিং পয়েন্টের দিকে যেতে শুরু করে। এসময় আমরা ছোট একটা শব্দ শুনতে পেলাম। এরপরই প্রচণ্ড বাতাস এবং শব্দ শুনতে পেলাম। এটা সত্যিই ভয়াবহ ছিল।
দাপো আরও বলেন যে, বিমানের ক্রুরা এই সময় যাত্রীদের ওপর দোষ চাপাতে থাকেন। তারা এমনকি আমাদের ছবি ও ভিডিও তুলতে বাধা দেয়।
ওলা ব্রাউন নামে জনৈক যাত্রী টুইটারে লিখেছেন, আপনি কি কখনও পুরো ফ্লাইট জুড়ে দরজার ঘর্ঘর শব্দ শুনেছেন? এটা খুব বিরক্তিকর ব্যাপার ছিল। আমি ভেবেছিলাম দরজার স্ক্রু মনে হয় আলগা ছিল। তবে এভাবে দরজাটাই খুলে পড়বে সেটা কখনও ভাবিনি! এক বিবৃতিতে ডানা এয়ার দরজার কোনো ধরনের ত্রুটির বিষয়টি পুরোপুরি অস্বীকার করেছে।
উল্লেখ্য, ইতিপূর্বে ২০১২ সালে ডানা এয়ারের একটি বিমান লাগোসে এক দোকানে ঢুকে পড়েচিলো। ওই ঘটনায় বিমানে অবস্থান করা ১৫৩ জন আরোহীর সকলেই নিহত হন। তাছাড়া নাইজেরিয়ার বিমান নিরাপত্তার রেকর্ডও খুব একটা ভালো না। গত বছর রানওয়েতে বড় ধরনের সংস্কারের জন্য আবুজা বিমানবন্দর ৬ সপ্তাহের জন্য বন্ধ রাখা হয়েছিলো।