দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ মঙ্গলগ্রহ নিয়ে বিজ্ঞানীদের গবেষণার যেনো শেষ নেই। এবার মঙ্গলগ্রহ নেমে এসেছে ওমানের মরুভূমিতে! এমন একটি খবর সকলকেই বিস্ময়ের মধ্যে ফেলে দিয়েছে। আসলে বিষয়টি কী?
মঙ্গলগ্রহ নিয়ে বিজ্ঞানীদের গবেষণার শেষ নেই। সেই আদিযুগ হতেই যেনো শুরু হয়েছে গবেষণা। মহাকাশ বিজ্ঞানীরা মনে করেন, পৃথিবীর উপর চাপ কমাতে, খুব শীঘ্রই অন্য গ্রহে মনুষ্য বসতি গড়ে তোলা জরুরি। তা না হলে, বিপদ ঘটবে পৃথিবীর।
এখন পর্যন্ত মঙ্গলগ্রহে প্রাণের প্রমাণ সঠিকভাবে পাওয়া না গেলেও, সেখানকার আবহাওয়া যে পৃথিবীবাসীর জন্য অনুকূল, সেটি মেনে নিয়েছেন বিজ্ঞানীরা। আর সেই অনুযায়ী জায়গাও খোঁজা শুরু করেছে নাসার মহাকাশযান।
যদি এমন হয় যে লাল গ্রহই যদি নেমে আসে পৃথিবীর মাটিতে? তাহলে কেমন হবে?
গ্লোবাল ওয়ার্মিং-এর গুঁতোয় বিশ্বের তাপমাত্রা ক্রমেই বেড়ে চলেছে প্রতিবছর। তার উপর রয়েছে মঙ্গলের চাপ। কারণ হলো এর তাপমাত্রা প্রায় ৫১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গাছগাছালির কোনও অস্তিত্বই পাওয়া যায়নি এর মাটিতে। সব মিলিয়ে বলা যায় বেশ চিন্তার বিষয়!
সংবাদ মাধ্যমের খবরে জানা যায়, সম্প্রতি ২০০ -এর বেশি মহাকাশ বিজ্ঞানী একজোট হয়ে বেশ কিছু পরীক্ষা চালিয়েছেন ওমানের ধোফার মরুভূমিতে। বিশ্বের ২৫টি দেশ হতে তাঁরা সেখানে বসবাস করবেন একটি মাস অর্থাৎ ফেব্রুয়ারির ১ হতে ২৮ তারিখ পর্যন্ত।
বিজ্ঞানীরা দাবি করেছেন যে, ধোফার মরুর এই অঞ্চলের ভূ-প্রকৃতি নাকি মঙ্গলগ্রহের মতোই! বালি এবং পাথুরে এই অঞ্চলে যদিও এখানে গুটি কয়েক প্রাণী দেখা গেছে। আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম ‘ডেইলি মেইল’-এর প্রতিবেদন অনুযায়ী, মোট ১৯টি পরীক্ষা চালানো হবে এই এক মাসের মধ্যে।
জানা গেছে, ৫০ কিলোগ্রাম ওজনের স্পেস-স্যুট পরেই মরুভূমিতে বর্তমানে ঘোরাফেরা করছেন বিজ্ঞানীরা। এই স্পেস-স্যুটের নাম হলো ‘পার্সোনাল স্পেসশিপ’। কারণ হলো এই পোশাকটি পরেই একজন মানুষ স্বাভাবিকভাবে শ্বাস-প্রশ্বাস নিতে পারবেন। আবার খেতেও পারবে। এমনকী বেশ কিছু বৈজ্ঞানিক কাজকর্মও করতে পারবেন।
এ পর্যন্ত জানা গেছে যে, ২০৩০ সালে মানুষের পা পড়বে মঙ্গলগ্রহে। তাই বলা যায় যে, এখনও সময় রয়েছে খানিকটা। সম্পূর্ণ প্রস্তুতি নিয়ে তবেই মানুষ পাড়ি দেবে ভিনগ্রহে অর্থাৎ মঙ্গলগ্রহে।