দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ জাপানের নাগরিক মাসাজো নোনাকাকে বিশ্বের সবচেয়ে বয়স্ক পুরুষ হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে। গত মঙ্গলবার তাঁকে বিশ্বের সবচেয়ে বয়স্ক পুরুষ হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়।
জাপানের ওই বাসিন্দা মাসাজো নোনাকার বয়স বর্তমানে ১১২ বছর। জাপানের উত্তরাঞ্চলের হোক্কাইদো দ্বীপে মাসাজো নোনাকার বসবাস। তিনিই হচ্ছেন বর্তমান বিশ্বের সবচেয়ে বয়স্ক পুরুষ। গত মঙ্গলবার তাঁকে বিশ্বের সবচেয়ে বয়স্ক পুরুষ হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে মাসাজো নোনাকার পরিবার। গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস হতে সনদও পেয়েছে তাঁর পরিবার। পরিবারের সদস্যরা জানিয়েছেন, নোনাকার এই দীর্ঘ জীবনের মূলে রয়েছে মিষ্টি খাওয়া ও গরম পানি দ্বারা গোসলের অভ্যাস।
গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ড কর্তৃপক্ষ বলেছে, মাসাজো নোনাকার ১৯০৫ সালের ২৫ জুলাই জন্মগ্রহণ করেন। এর কয়েক মাস পূর্বে বিজ্ঞানী আলবার্ট আইনস্টাইনের ‘বিশেষ আপেক্ষিকতা তত্ত্ব’ প্রকাশ পেয়েছিলো।
সংবাদ মাধ্যমের খবরে জানা যায়, পৃথিবীর সবচেয়ে প্রবীণ এই মানুষটির যাপিত জীবন এবং জীবনাচরণ নিয়ে রয়েছে মানুষের ব্যাপক আগ্রহ। জীবনের এতোগুলো বছর পেরিয়ে তিনি বর্তমানে হুইলচেয়ার নিয়ে চলাফেরা করেন। প্রতিদিন সংবাদপত্রও পড়েন। তিনি উষ্ণ পানিতে গোসল করেন। এভাবেই কেটে যাচ্ছে এই প্রবীণের শেষ জীবন।
বিশ্বের সবচেয়ে বয়ষ্ক মানুষের খেতাবধারী নোনাকার নাতনি ইয়কো নোনাকা বলেছেন, ‘তাঁর চলাফেরার জন্য হুইলচেয়ার প্রয়োজন পড়ে। তবে তাঁর শারীরিক অবস্থা বেশ ভালো। তিনি জাপানি বা পাশ্চাত্যের যেকোনো ধরনের মিষ্টি খেতে খুব পছন্দ করেন।’
এদেকে গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসের বরাত দিয়ে এনডিটিভির এক খবরে বলা হয়েছে, জাপানের হোক্কাইদো দ্বীপের আসোরো শহরের কাছে বসবাস করেন মাসাজো নোনাকা। তাঁরা সাত ভাই এবং এক বোন। ১৯৩১ সালে হাটসুনো নামে এক নারীকে বিয়ে করেন মাসাজো নোনাকা। তাঁদের ঘরে রয়েছে ৫টি সন্তান।
উল্লেখ্য, গত ফেব্রুয়ারি মাসে স্পেনে ১১৩ বছরের ফ্রান্সিসকো নুনেজ অলিভারার মৃত্যুর পর আনুষ্ঠানিকভাবে বিশ্বের সবচেয়ে বয়স্ক পুরুষের খেতাবটি পেলেন এই জাপানি মাসাজো নোনাকা।
সবসময়ই জাপানের জনগণের দীর্ঘ আয়ুর খ্যাতি রয়েছে। জাপানের বেশ কয়েকজন ব্যক্তি বিশ্বের সবচেয়ে বয়স্ক মানুষের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত। এদের মধ্যে ২০১৩ সালে মারা যাওয়া ১১৬ বছরের জিরিওমোন কিমুরাও রয়েছেন।
এক তথ্যে গত বছর জাপান সরকার জানিয়েছিলো, দেশটিতে প্রায় ৬৮ হাজার মানুষ শত বছর বয়সী! নিয়ম মেনে খাওয়া-চলাসহ নানাবিধ কারণে জাপানের নাগরিকরা দীর্ঘায়ু হচ্ছে বলে মনে করা হচ্ছে।