দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ যুদ্ধবিধ্বস্ত গাজায় মানবিক সংকট মোকাবিলায় জরুরি সহায়তা পৌঁছাতে সব সীমান্ত খুলে দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘ ও আন্তর্জাতিক রেড ক্রস কমিটি।

গতকাল মঙ্গলবার (১৪ অক্টোবর) জেনেভায় এক সংবাদ সম্মেলনে সংস্থাগুলো এই আহ্বান জানিয়েছে। জাতিসংঘ ও আন্তর্জাতিক রেড ক্রস কমিটি বলেছে যে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের পরিকল্পনা মোতাবেক গাজায় যুদ্ধবিরতি কার্যকর করতে দুর্ভিক্ষপীড়িত অঞ্চলটিতে সাহায্য পৌঁছে দিতে এখন সীমান্ত খুলে দেওয়া অত্যন্ত জরুরি।
রেড ক্রসের মুখপাত্র ক্রিশ্চিয়ান কার্ডন জেনেভায় সাংবাদিকদের বলেছেন, গত কয়েক ঘণ্টা ধরে আইসিআরসি-সহ মানবিক সংস্থাগুলো এটিই দাবি করে আসছে যে- বিপুল পরিমাণ চাহিদার কারণে সবগুলো প্রবেশপথই খোলা রাখা দরকার।
জাতিসংঘের সাহায্য সংস্থা ওসিএইচএ’র মুখপাত্র জেন্স লেয়ার্কে আরও বলেছেন, সবগুলো প্রবেশপথই উন্মুক্ত থাকা দরকার। আমাদের সব সীমান্ত খোলা থাকা প্রয়োজন।
তিনি আরও জানান, কিছু সীমান্ত আংশিকভাবে ধ্বংস হয়ে গেছে ও গাজার অভ্যন্তরে ট্রাক চলাচলের জন্য রাস্তা পরিষ্কার করাও প্রয়োজন।
গত ২২ আগস্ট জাতিসংঘ গাজায় দুর্ভিক্ষ ঘোষণা করে। বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করেছিলেন যে, সেখানে প্রায় ৫ লাখ মানুষ ‘বিপর্যয়কর’ হুমকির মুখে রয়েছেন।
জেন্স লেয়ার্কে বলেন, এই মুহূর্তে গাজায় পাঠানোর জন্য জাতিসংঘের কাছে ১ লাখ ৯০ হাজার মেট্রিক টন ত্রাণসামগ্রী প্রস্তুত আছে।
>>>>>>>>>>>>>>
ডেঙ্গু প্রতিরোধ করবেন যেভাবে
মশা বাহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।
লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে-
১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর
২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।
সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-
১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।
২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।
৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।
৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।
৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।
৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।
৭. ত্বকে র্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।
রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :
১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।
২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।
এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
অপরদিকে
জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:
১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।
২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।
৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।
৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।
৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।
৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।
৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।
৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org