The Dhaka Times Desk পেঁয়াজের দাম বাড়তে বাড়তে শুধু দেশেই নয় বিশ্ব রেকর্ড হয়ে গেছে। পেঁয়াজ নিয়ে রীতি মতো লংকা কাণ্ড চলছে পুরো দেশজুড়ে। এমন এক পরিস্থিতিতে সম্প্রতি হবিগঞ্জের চুনারুঘাটে একটি ভারতীয় পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ৬৪ টাকায়!
পেঁয়াজের দাম বাড়তে বাড়তে শুধু দেশেই নয় বিশ্ব রেকর্ড হয়ে গেছে। পেঁয়াজ নিয়ে রীতি মতো লংকা কাণ্ড চলছে পুরো দেশজুড়ে। এমন এক পরিস্থিতিতে সম্প্রতি হবিগঞ্জের চুনারুঘাটে একটি ভারতীয় পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ৬৪ টাকায়!
ওই পেঁয়াজ বিক্রির ঘটনাটি ঘটেছে হবিগঞ্জের চুনারুঘাটে। জানা গেছে চুনারুঘাট উপজেলা ছাত্রলীগের নেতা জোনায়েদ আহমেদ পলক নাকি একটি পেঁয়াজ কিনেছেন ৬৪ টাকা দিয়ে। ভারতীয় বড় সাইজের এই পেঁয়াজটি ১৭০ টাকা কেজি হিসেবে ৩২৪ গ্রাম ওজন হয়েছে। সেই হিসেবে এর দাম পড়েছে ৬৪ টাকা। চুনারুঘাট গ্রামাঞ্চলের অধিকাংশ দোকানেই এখন পেঁয়াজ নেই। আর এই সুযোগে দেশি পেঁয়াজ এখন ২০০ টাকা কেজি ছাড়িয়েছে। দেশীয় পেঁয়াজ দাম বেশি হলেও ভারতীয় বড় পেঁয়াজ ১৭০ হতে ১৯০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
মাত্র ৩ দিনের ব্যবধানে ১৪০ টাকার পেঁয়াজ বাড়তে বাড়তে বর্তমানে ২০০ হতে ২২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। বৃহস্পতিবার রাতে শহরের বিভিন্ন দোকানে বড় পেঁয়াজ ডিমের মতো করে ৪টি (এক হালি), বা ৬টি (হাফ ডজন) হিসেবেও বিক্রি হয়েছে।
তবে পৌর শহরের অধিকাংশ দোকানে খোঁজ নিয়ে দেখা যায় যে, পেঁয়াজের চরম সংকট সৃষ্টি হয়েছে। গ্রামের বাজারে বর্তমানে পেঁয়াজ পাওয়াই যাচ্ছে না।
আড়তদাররা জানিয়েছেন যে, দাম বেশি হওয়ায় পেঁয়াজ কোনো দোকানী আনছেন না। দাম সহনশীল না হলে কোনো পাইকাররাই পেঁয়াজের বড় কোনো চালানও আনবেন না। খুচরা মুদি দোকানদাররা জানিয়েছেন, সকালে এক দাম আর বিকালে আরেক দাম। যে কারণে পেঁয়াজ বিক্রি ছেড়ে দিয়েছি। তাছাড়া কখন আবার প্রশাসনের কোন লোক এসে বলবে ভাউচার দাও ইত্যাদি নানা ঝামেলাতো আছেই। তাই পেঁয়াজ বিক্রিই ছেড়ে দিয়েছি। এমন অবস্থা শুধু হবিগঞ্জ নয়, খোদ রাজধানী ঢাকাতেও দেখা গেছে। রাজধানীর এলাকাভিত্তিক বিশেষ করে মুদি দোকানগুলোতেও পাওয়া যাচ্ছে না পেঁয়াজ। দোকানদারকে জিজ্ঞাসা করলে ওই এক উত্তর। দাম উঠা-নামা করছে এবং আইনি জটিলতার ভয়ে বিক্রিই ছেড়ে দিয়েছেন দোকানীরা।
উল্লেখ্য, বাংলাদেশে সাধারণভাবে ২০ থেকে ৩০ টাকা কেজি দরে পেঁয়াজ বিক্রি হয়ে থাকে। এবার সকল রেকর্ড ছাড়িয়ে গেছে। পেঁয়াজের দাম উঠে প্রায় ৩শ’ টাকায় দাঁড়িয়েছে।