The Dhaka Times Desk বর্তমান সময়ে টিভির জনপ্রিয় অভিনেত্রী বাঁধন। তিনি একের পর এক সুন্দর সুন্দর নাটক দর্শকদের উপহার দিচ্ছেন। এবার সেই জনপ্রিয় অভিনেত্রী এবার মরণোত্তর চক্ষুদানে অঙ্গীকার করলেন।
সম্প্রতি সন্ধানী জাতীয় চক্ষুদান সমিতির ৩৪তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে জনপ্রিয় অভিনেত্রী আজমেরী হক বাঁধন আনুষ্ঠানিকভাবে রাজধানীর কাঁটাবন অঞ্চলে অবস্থিত প্রতিষ্ঠানটির দফতরে গিয়ে মরণোত্তর চক্ষুদানের অঙ্গীকার করেছেন। এছাড়াও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব সৈয়দ হাসান ইমাম এবং লায়লা হাসান চক্ষুদান করেছেন।
বাংলাদেশ ডেন্টাল সোসাইটির নির্বাচিত সদস্য বাঁধন বলেছেন, ‘আমি সব সময় চেয়েছি ভালো কিছু করার জন্য, ভালো কিছুর সঙ্গে থাকার জন্য। সেজন্যই আমি যতোটুকু পারি ততোটুকু দিয়ে মানুষের পাশে থাকার চেষ্টা করি। আমার এই চক্ষুদার তারই একটি অংশ। আমি যখন থাকবো না তখন আমার এই দুই চোখ দিয়ে যদি অন্য একটি মানুষ পৃথিবী দেখতে পারে তাহলে সেটিই হবে আমার জন্য বড় পাওয়া।’
বাঁধন আরও বলেন, ‘আমার ডেন্টাল কলেজের স্যারকেও আমি ধন্যবাদ দিতে চাই। কেনোনা তিনিই আমাকে এমন একটি ভালো কাজে যুক্ত হবার সুযোগ করে দিয়েছেন।’
অভিনেত্রী বাঁধন আরও বলেন, ‘আমি মারা যাওয়ার ৬-৭ ঘণ্টার মধ্যেই চোখের কর্ণিয়া সংগ্রহ করবে সন্ধানী। সেই কর্ণিয়া আরেকজন অন্ধ মানুষের চোখে প্রতিস্থাপন করলে সে ফিরে পাবে দৃষ্টি!
তাই এটা ভাবতেই আমার বর্তমান পৃথিবী আরও আলোকিত মনে হয়। আমিতো মরে যাবো, অথচ আমার চোখ দিয়ে আরেকজন মানুষ পৃথিবীর রূপ দেখতে পাবে- এরচেয়ে আনন্দের খবর আর কী-ই বা হতে পারে? এই সুন্দর বার্তাটা দেশের প্রতিটি মানুষের কাছে পৌঁছানো প্রয়োজন। আমি এখন থেকে সেই কাজটিই আন্তরিকতার সঙ্গে করতে চাই।’
উল্লেখ্য, এই মরণোত্তর চক্ষুদান একটি স্বেচ্ছাসেবী কার্যক্রম। তিনি চান তাদের দেখে যদি দেশের আরও মানুষ মরণোত্তর চক্ষু দান করতে উৎসাহী হয়, তাহলে হয়তো অনেক অন্ধ মানুষ পৃথিবী দেখতে পাবে- এমনটিই মনে করেন অভিনেত্রী বাঁধন।