দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ইন্টারনেটের খরচ নিয়ে আমাদের বেশ বেগ পেতে হয়। তবে কিছু পদ্ধতি অনুসরণ করলে আপনার ডেটা সেভ করা সম্ভব। আজ স্মার্টফোনে ইন্টারনেটের খরচ বাঁচানোর পদ্ধতি জেনে নিন।
ইন্টারনেটের খরচ নিয়ে আমাদের বেশ সমস্যায় পড়তে হয়। অনেক সময় দেখা যায় খুব দ্রুত গতিতে ডেটা খরচ হয়ে যাচ্ছে। তবে বিভিন্ন উপায় অবলম্বন করে স্মার্টফোন ইন্টারনেটের খরচ কমানো সম্ভব। আজ জেনে নিন কয়েকটি পদ্ধতি।
আমাদের অনেকেরই জানা নেই যে আমরা যখন স্মার্টফোন ব্যবহার করি তখন ডেটা অন করে রাখার কারণে তখনও ডেটা খরচ হতে থাকে! আমাদের অ্যানড্রয়েড ফোনটির বেশির ভাগ অ্যাপস ই সার্ভিস সচল রাখার জন্য ব্যাকগ্রাউন্ড ডেটা ব্যবহার হয়। যেমন হোয়াটসঅ্যাপ, ভাইবার, প্লে-স্টোর, গুগল অ্যাপস, মেসেঞ্জার ইত্যাদি অ্যাপসে। এই অ্যাপসগুলো আপনি অন্য কাজ করার সময়ও অকারণে ডেটা কাটতেই থাকে। এই ডেটা খরচ হতে বাঁচতে আপনার সেটিংস অপশনে গিয়ে ডেটা ইউজেস>তারপর রেস্টিক্ট ব্যাকগ্রাউন্ড ডেটা অপশনে টিক দিয়ে দিতে হবে। তখন আপনার নোটিফিকেশন বারে একটি বিস্ময়সূচক চিহ্ন দেখা যাবে। এর অর্থ হলো অ্যাপগুলি আর ব্যাকগ্রাউন্ডে ডেটা চুরি করতে পারবে না।
আপনি যেহেতু স্মার্টফোন ব্যবহার করেন সেহেতু নিশ্চয়ই ইন্টারনেটভিত্তিক কোনো একটি বা একাধিক ইনস্টেন্ট মেসেজিং অ্যাপ ব্যবহার করবে সেটিই স্বাভাবিক। এর মধ্যে এমন একটি অ্যাপ থাকতে পারে যা সব সময় চালু রাখা একান্ত দরকার। যদি ব্যাকগ্রাউন্ড ডেটা বন্ধ করে রাখেন তাহলে সবগুলি অ্যাপ একত্রে ব্যাকগ্রাউন্ডে বন্ধ হয়ে থাকবে। এই সমস্যা হতে বাঁচতে সেটিংস>ডেটা ইউজেস এ গিয়ে দেখতে পাবেন সবগুলি অ্যাপই দেখাচ্ছে। কোন অ্যাপ কি পরিমাণ ডেটা খরচ করছে সেটিও আপনি দেখতে পারবেন। এখন একটু সময় নিয়ে অ্যাপসগুলোতে ক্লিক করে ভেতরে প্রবেশ করুন ও যে অ্যাপগুলো আপনার চালু রাখা দরকার সেগুলো বাদ দিয়ে বাকিগুলো রেস্টিক্টেড করে দিতে পারেন।
বেশ কিছু অ্যাপস রয়েছে যেগুলো অনেক লো ডেটা খরচ করে আপনাকে ব্রাউজিংয়ের সুযোগ করে দেয়। যেমন- অপেরা মিনি, অপেরা নিউ, ইউসি ব্রাউজার- এ ডেটা সেভিংস মুড রয়েছে। এই মুড ব্যবহার করে আপনি ৮০ শতাংশ পর্যন্ত ব্রাউজিং খরচ বাঁচাতে পারেন অনায়াসে। ইনস্ট্যান্ট মেসেজিং এর ক্ষেত্রেও সঠিক অ্যাপ নির্বাচন করুন। যেমন- ভয়েস কলিংয়ের ক্ষেত্রে হোয়াটসঅ্যাপ-এ ডেটা খরচ খুবই কম হয়ে থাকে। তাই দেখেশুনে সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে হবে।
বিভিন্ন সিকিউরিটি অ্যাপস ব্যবহার করেও ডেটা খরচ কমিয়ে ফেলা যায়। এই অ্যাপগুলোর মাধ্যমে আপনি জানতে পারবেন কোন অ্যাপগুলি আপনার ডেটা চুরি করছে। সেটিংসের মাধ্যামে পারমিশন ছাড়া সেগুলো ডেটা ব্যাবহার করতে পারবে না। প্লে-স্টোরে সি এম সিকিউরিটি ও ৩৬০ সিকিউরিটি ইত্যাদি বিভিন্ন অ্যাপ রয়েছে। এই অ্যাপগুলোর দ্বারা ডেটা প্রটেকশন ছাড়াও ভাইরাস বা হ্যাকিং হতে সুরক্ষিত থাকবে।
স্মার্টফোনে ইন্টারনেট ব্যবহারের ক্ষেত্রে কিছু সেটিংস রয়েছে যেগুলিকে ব্যবহার করা অত্যন্ত জরুরি। যেমন আপনার স্মার্টফোনটিকে ওয়াইফাই্ হটস্পট হিসেবে ব্যবহার করা সম্ভব। ওয়াইফাই-ভিত্তিক কিছু অ্যাপস যেমন শেয়ার ইট ব্যবহারের সময় অজান্তেই স্বয়ংক্রিয়ভাবে অনেকসময় হটস্পট চালু হয়ে যেতে পারে। যে কারণে আপনার অজান্তে অন্য কেও আপনার ডেটা ব্যবহারের সুযোগ পেয়ে যাবে। এমনকি ওয়াইফাই নেটোওয়ার্ক ব্যবহারের মাধ্যমে আপনার স্মার্টফোনটি হ্যাকও হতে পারে। তাই সবকিছু চেক করুন। হটস্পটে সব সময় পাসওয়ার্ড ব্যবহার করুন। অবশ্যই প্রয়োজন না থাকলে ব্যবহার শেষে আপনার ডেটা কানেকশন বন্ধ রাখুন, তাতে আপনার স্মার্টফোন নিরাপদ থাকবে।
This post was last modified on জুন ২৪, ২০২০ 12:26 অপরাহ্ন
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ এই ছবিতে দেখা যাচ্ছে লাইব্রেরিতে টেবিলের সামনে বই নিয়ে বসে…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ শুভ সকাল। সোমবার, ১৩ মে ২০২৪ খৃস্টাব্দ, ৩০ বৈশাখ ১৪৩১…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ শরীরচর্চার সব উপায়ের মধ্যে হাঁটাকেই বেশি গুরুত্ব দেন অনেকেই। তবে…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ স্কুল, শিক্ষার্থী ও কমিউনিটির মধ্যে ঐক্য এবং একাত্মতা উদযাপনে আইএসডি…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ আইফার্মার লিমিটেডের প্রধান কার্যালয়ে গত ৮ মে আইফার্মার লিমিটেড ও…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ দেশের অন্যতম শীর্ষ ওটিটি প্ল্যাটফর্ম বঙ্গ’তে শীঘ্রই আসছে জনপ্রিয় মার্কিন…