দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ কোন জায়গার গড় জলবায়ুর দীর্ঘমেয়াদী ও অর্থপূর্ণ পরিবর্তনকে জলবায়ু পরিবর্তন বলা হয়। বর্তমান সময়ে মনুষ্যজনিত গ্রীন হাউজ ইফেক্টের ফলে পৃথিবীর উষ্ণায়নকে জলবায়ু পরিবর্তনের একটি অন্যতম কারণ ধরা হয়। জলবায়ুর পরিবর্তনই ডেকে আনবে ভবিষ্যৎ এ নানাবিধ প্রাকৃতিক দূর্যোগ, হুশিয়ারি উচ্ছারণ করেছে বিশ্ব ব্যাংক। পহেলা জুন টোকিও ইন্টারন্যাশনাল কনফারেন্স অনুষ্ঠানে বিশ্বব্যাংকের প্রেসিডেন্ট জিম ইয়ং কিম এই বিষয়ে আলোকপাত করেন।
বিশ্বব্যাংক বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করবেন বলে জানা যায়, যাতে বন্যা ঠেকানোসহ পানি ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে এশীয় শহরগুলোর মান উন্নয়ন করা যায় এবং তার পাশাপাশি প্রকৃতিকেও বাঁচানো যায় সামগ্রিক বৈশ্বিক উষ্ণতা থেকে।
উষ্ণ স্থান জায়গা বলে পরিচিত ব্যাংকক, জাকার্তা, হোচিমিন সিটিতে মাঝে মাঝেই বেড়ে যায় সামুদ্রিক পানির উচ্চতা আবার বৃষ্টিও সৃষ্টি করে নাগরিক জলাবদ্ধতা। ব্যাংক জানিয়েছে আজকে যা ঝুকিপূর্ন লাগছে না, ভবিষ্যৎ এ তাই প্রচুর ঝুকিপূর্ণ হয়ে যাবে, আর তাই আগামী ২০ বছরের উন্নয়ন কৌশল ঠিক করেছে বিশ্বব্যাংক যাতে কিছুটা হলেও নিরাপত্তা নিশ্চিত করা যায়। তবে বিশ্বব্যাংক এও জানিয়েছেন যে তাদের সমীক্ষা অনুযায়ী ২০৩০ সাল নাগাদ ব্যাংকক ডুবে যাবে। অন্যদিকে হোচিমিন সিটির জন্য কয়েক যুগ আগে বানানো বাঁধ এখন অকার্যকর হিসাবে পরিগনিত হচ্ছে এবং ১৫৬ বিলিয়ন টাকা লাগবে একে আবার কার্যকর করে তুলতে – জানিয়েছেন বিশ্ব ব্যাংকের ভাইস প্রেসিডেন্ট।
এদিকে ভয়ের কথা হচ্ছে, যে চিন্তা ও সুবিধার জন্য বাঁধ বানানো হয়েছিলো তার কিছুই এখন আর অবশিষ্ট নেই, বরং তারা এর নির্মাণের পেছনে যা খরচ করেছিলেন তা সবই ধুয়ে মুছে গেছে এবং তারা যে চিন্তা করেছিলেন তার দ্বিগুণ পানির ঢেউ এখন ধেয়ে আসবে ২০৩০ সালের মধ্যে হোচিমিন সিটিতে । এদিকে পরিবেশ বিপর্যয়ের জন্য দায়ী গ্রীনহাউস গ্যাস কমানো চেষ্টায় যে গবেষণা চলছে তাতে বিশ্বব্যাংক আর্থিক সহায়তা দান করেছেন। তাতে তারা ব্যর্থ হলে বেশীর ভাগ মানুষই গৃহহীন হয়ে পড়বে সেই স্থানে। কিন্তু পরিকল্পনা আর কথা যতই চলুক না কেন বিশ্বের উষ্ণতা কিন্তু বেড়েই চলেছে।
প্রাকৃতিক বিপর্যয় দেখা দিলে বেশি ক্ষয়ক্ষতির মাত্রা বৃদ্ধি পাবে আফ্রিকা ও বেশীর ভাগ এশীয় দেশগুলোতে। হারিয়ে যাবে আফ্রিকার সকল ফসলের ক্ষেত ও পশুপালনের আবাস। তবে বিজ্ঞানীরা খরা থেকে বাঁচতে পারে এমন বীজ ও উদ্ভিদের উপর কাজ করছেন। আর এশিয়াতে বাড়বে পানির উচ্চতা, গলবেবরফ, ডুববে শহর ও দেশ। হারিয়ে যেতে পারে ভিয়েতনামের মত দেশও। আর এটা নিয়েই চিন্তিত বিশ্ব ব্যাংকের প্রেসিডেন্ট, তিনি জানান ২০ বছরে কতটা উন্নয়ন করতে পেরেছি আমরা তার চেয়েও বড় ব্যাপার ,বরং কতদূর আমরা আগাতে পারি তা নিয়েই এখন চিন্তিত আমরা। বানানো হচ্ছে টিকে থাকার মত বড় বড় শক্ত অবকাঠামো। খরচও এগিয়ে চলছে তড়তড়িয়ে, আর খাতায় বাড়ছে ব্যয়ের বড় বড় অংক ।
এদিকে আমাদের জন্যও আছে ভয়ের খবর। আগামী শতাব্দীর মধ্যে জলবায়ুর পরিবর্তনের ফলে বিশ্বের তাপমাত্রা কয়েক ডিগ্রী বেড়ে গেলে আবহাওয়ার যতগুলো নেতিবাচক রূপ রয়েছে, তার প্রায় সবগুলোর প্রভাব বাংলাদেশের ওপর পড়বে। বন্যা, খরা, ঝড়, জলোচ্ছ্বাসের মতো প্রাকৃতিক দুর্যোগগুলো সবচেয়ে বেশি আঘাত হানবে যেসব দেশে, তার মধ্যে বাংলাদেশ অন্যতম। এইসব বিপদ থেকে রক্ষা পেতে আর প্রাকৃতিক দূর্যোগ মোকাবেলা এবং এতে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ কমিয়ে আনতে বিভিন্ন পদক্ষেপ নিতে বাংলাদেশকে কয়েকশ কোটি টাকা অনুদানও দিয়েছে বিশ্বব্যাংক। যতই বিপদ আসুক, হাল ছেড়ে দেওয়া যাবে না আমাদের, আমাদের অবশ্যই দূর্যোগ প্রতিরোধ করা সহ খাদ্য, শিক্ষায় স্বয়ংসম্পূর্নতা অর্জন এবং তৈরি করতে হবে মানবজীবনে উন্নয়নমুখীতার জোয়ার।
তথ্যসূত্রঃ ওয়াশিংটন পোস্ট
This post was last modified on জুন ২২, ২০১৩ 11:09 পূর্বাহ্ন
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ আমেরিকান পপশিল্পী গায়িকা টেইলর সুইফটের খ্যাতি রয়েছে সর্বত্র। বহু আগে…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ২০২৫ সালের এসএসসি ও সমমান পরীক্ষা হবে এপ্রিল মাসের মাঝামাঝি…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ বাসের ভিতর থাকা মহিলা কন্ডাক্টরের সঙ্গে কথা বলছেন ঝুলে থাকা…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ শুভ সকাল। শনিবার, ২ নভেম্বর ২০২৪ খৃস্টাব্দ, ১৭ কার্তিক ১৪৩১…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ যেমন এক দিকে রয়েছে সংসারের দায়িত্ব, অপরদিকে পেশাগত জায়গায় কাজের…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ প্রযুক্তি ব্র্যান্ড ইনফিনিক্স বাংলাদেশে হট ৫০ সিরিজের নতুন ফোন ‘ইনফিনিক্স…