দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ অনেক রকম সাপ আছে। আর সেসব সাপের ধরণও এক এক রকমের। তবে এবার এমন এক সাপের সন্ধান পাওয়া গেছে যে সাপ ঘামের গন্ধে মানুষের কাছে আসে!
আমরা সারাদিন কাজের পর ক্লান্ত শরীর নিয়ে বাসায় ফিরি, ঠিক এই সময় শরীরে ঘামের গন্ধ বের হয়। এই গন্ধ নিয়েই বিছানায় ঘুমোতে যাওয়ার পর ঘটতে পারে কোনো দুর্ঘটনা। কারণ হলো মানুষের এই গন্ধে বিছানায় উঠে আসতে পারে ‘কালাচ’ নামে এক সাপ। অবশ্য এই সাপটি অনেকের কাছেই অপরিচিত। অনেকেই হয়তো জানেনই না ক্লান্ত শরীরের ত্বক নিঃসৃত ঘামের গন্ধে নেশাতুর হয়ে পড়ে কালাচ সাপ। তাই অজান্তেই সেই গন্ধ নিতে হাজির হতে পারে বিছানায়।
বিষধর সাপের যে এলিট ক্লাস, তারমধ্যে এই সাপের নামটি তেমন একটা প্রচলিত নয়। অথচ এদের বিষ কিন্তু কেওটে বা অন্য বিষাক্ত সাপের থেকেও বেশি তীব্র। ভারতের পশ্চিমবঙ্গে এই সাপ খুব বেশি পরিচিত। এদের কয়েকটি বৈশিষ্ট্য এমনই যা অন্য বিষধর সাপেদের সঙ্গে একেবারেই মেলে না।
প্রথমত: এই সাপ ফণাহীন। দ্বিতীয়ত: এই সাপ কামড়ালে ব্যথাও হয় না। কামড়ানোর জায়গাটা ফোলেও না। যে কারণে যাকে কামড়ায়, সে ঠিক বুঝতেও পারে না। অথচ পরে আস্তে আস্তে নার্ভবিষের লক্ষণগুলি দেখা যায়। তখন শুরু হয় পেটে ব্যথা, গলায় ব্যথা বা সারা শরীর জুড়ে অস্বস্তি। মনে হয় যেনো জ্বর আসছে গায়ে।এই সাপ কামড় দেওয়ার পর চিকিৎসা সময়মতো শুরু না হলে অবধারিত মৃত্যু। আদতে ভীষণ শান্ত স্বভাবের এই কালাচ সাপ। যার দংশনে নিমেষে অনিবার্য হয়ে যায় মৃত্যু।
শান্ত স্বভাবের হলেও সাপটির বিষ মারাত্মক তীব্র। কাওকে কামড়ালে ব্যথা না হওয়ায় প্রথমাবস্থায় কেও বুঝতেই পারেনা যে তাকে সাপে দংশন করেছে। এমনকি কাটা জায়গাও ফুলবে না। থাকবে না কোনও রকম অনুভূতিও। এই অবস্থায় অনেকের কাছেই সাপের কামড়ের ব্যাপারটি প্রথম পর্যায়ে অজানাই থেকে যায়।
কিন্তু ধীরে ধীরে বিষ মানব দেহের শরীরে ছড়িয়ে পড়লে শুরু হয় গলা ও পেটের ব্যথা এমনকি অস্বস্তি বোধের মতো লক্ষণগুলিও তখন দেখা যায়। সময় মতো চিকিৎসার সুযোগ না হলে পরবর্তী পর্যায়ে মৃত্যু ঘটে। কালাচকে কেও কেও ইন্ডিয়াম ক্রেট, আবার কেও কেও ব্ল্যাক ক্রেট এমনকি ঘামচিতি নামেও ডেকে থাকেন। মানুষের গায়ের ঘামের গন্ধ এদের কাছে খুবই প্রিয়।
ঘামের গন্ধের টানে এই সাপ মাঠ ছেড়ে মানুষের শোওয়ার ঘরে এমনকি বিছানায় উঠে লুকিয়ে পড়ে। ঘুমের ঘোরে গায়ে হাত পা পড়লে তখনই কামড় বসিয়ে পগাড় পার হয়। কোনও কিছুর কামড়ের ঘটনা ঘটুক না কেনো অহেতুক ভীত হওয়া যাবে না। ঠাণ্ডা মাথায় এক মুহূর্তও দেরি না করে তৎক্ষণাত হাসপাতালে চলে যাওয়া জরুরি।
কালাচ সাপের কামড়ের বিশেষ লক্ষণগুলো সম্পর্কে জেনে নিন:
# গলা কিংবা পেটে ব্যথা হবে। এটি হবে সাধারণত সকাল বা ভোরের দিকে। মনে রাখবেন, কালাচ একটা নিশাচর সাপ। তাই এর কামড়ের প্রতিক্রিয়া ভোর বা সকালেই বেশি দেখা যায়।
# শরীরে এক ধরনের অস্বস্তিবোধ মনে হবে। জ্বর জ্বর মনে হবে। এমনকি জ্বরও এসে যাবে।
# সময় গড়াতে থাকলে রোগীর চোখের পাতা পড়ে আসবে। কিছুতেই সে আর চোখ তুলে তাকাতে পারবে না।
# আপনাকে মনে রাখতে হবে, কালাচের কামড়ে ক্ষতস্থান ফোলে না।, আবার ব্যথাও হয় না। তাই এই বিষয়টির দিকে নজর রাখতে হবে। সঠিক সময় চিকিৎসা করালে দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠা সম্ভব হবে, তা নাহলে মৃত্যু অবধারিত।
This post was last modified on সেপ্টেম্বর ২০, ২০১৮ 11:03 অপরাহ্ন
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় পেশাগত দায়িত্ব পালনকালে ইসরায়েলি হামলায় আল…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ আজ ২৬ মার্চ, মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস । ১৯৭১…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ শুভ সকাল। বুধবার, ২৬ মার্চ ২০২৫ খৃস্টাব্দ, ১২ চৈত্র ১৪৩১…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ কৃষ্ণপক্ষের রাত। উত্তাল দিন শেষে সন্ধ্যা…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ এক সময়ের জনপ্রিয় ফিচার ফোন নকিয়া ৩২১০ নতুন রূপে আবারও…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ অ্যালার্জিক রাইনাইটিস হতে ত্বকের অ্যালার্জিও হয়ে থাকে অনেকের। ত্বক শুষ্ক…