দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ আমাদের আশপাশে নানা ধরনের নেতিবাচক চিন্তাশীল কাজ কর্ম হচ্ছে এবং নেতিবাচক চিন্তাশীল ব্যক্তিদের কারণে আমরা ইতিবাচক চিন্তা করা ভুলেই গেছি। কোন বিষয় নিয়ে ভাবতে গেলেই আগে নেতিবাচক চিন্তা মাথায় চলে আসে। তবে জীবনকে সুন্দর এবং আরামদায়ক করতে হলে আমাদের এই নেতিবাচক চিন্তা দূর করে ইতিবাচক চিন্তা করতে হবে।
নেতিবাচক নিন্তা সর্বদা আমাদেরকে খারাপ কাজের প্রতি ঠেলে দেয় এবং জীবনকে অস্থির করে তোলে। অন্যদিকে ইতিবাচক চিন্তা আমাদের মন, শরীর এবং পরিবেশকে সুন্দর রাখে এবং ভাল কিছু করার প্রতি আগ্রহ বৃদ্ধি করে দেয়। আজ আমরা জানবো ইতিবাচক চিন্তা করার কিছু কৌশল এবং এর সুফল।
আপনার বন্ধু বা নিকটতম ব্যক্তিরা যদি নেতিবাচক মনের হয়, তবে আপনি শিগ্রই তাদের মত নেতিবাচক চিন্তাশীল হয়ে যাবেন, এটাই স্বাভাবিক। কারণ একটা কথা আছে, “ সৎ সঙ্গে সর্গ বাস, অসৎ সঙ্গে সর্বনাশ।” তাই আজ থেকেই নেতিবাচক চিন্তাশীলদের ত্যাগ করে ইতিবাচক চিন্তাশীলদের সাথে চলাফেরা শুরু করুন। তাহলে আপনি শিগ্রই ইতিবাচক চিন্তাশীল হয়ে পড়বেন।
যারা নিজেকে ক্ষমা করতে পারে না তারা সুখি হতে পারে না। মানুষ মাত্রই ভুল করে, এটা মানুষের একটি স্বাভাবিক অভ্যাস। কোন ভুলের কারণে বড় কোন ক্ষতি হলেও নিজেকে ক্ষমা করার অভ্যাস গড়ে তুলুন। নিজেকে ক্ষমা না করলে আপনি হতাশ হয়ে পড়বেন। তাই হতাশাকে দূরে রাখতে হলে আপনাকে অবশ্যই নিজেকে ক্ষমা করতে হবে।
কার কি আছে আপনার সেটা নেই এমন চিন্তা না করে, আপনার যা আছে তাই নিয়ে সন্তুষ্ট থাকার অভ্যাস করুন। অনেকেই আছে অন্যের সম্পদ দেখে নিজেকে খুব ছোট ভাবে। যার ফলে সে অচিরেই নেতিবাচক চিন্তা শুরু করে দেয়। নিজের যা আছে তাই নিয়ে সুখে থাকার চেষ্টা করুন। তবে হ্যা, আপনার কোনটা নেই এবং সেইটা আপনা কতটা উপযোগ সৃষ্টি করতে পারে তা চিন্তা করতে পারেন এবং সেইটা অর্জনের চেষ্টা করতে পারেন। তবে কখনই সেইটা নিয়েন আফসোস করবেন না।
মনকে তৃপ্তি দিতে ইতিবাচক বই পড়তে পারেন। মাঝে মাঝে কিছু ইতিবাচক গান শুনুন। নেতিবাচক বই এবং গান আমাদের মনকে নেতিবাচক কাজের প্রতি তাড়িত করে। অনেকেই কোন কাজে ব্যর্থ হয়ে সারাদিন নেতিবাচক গান শুনে নিজের মনকে নষ্ট করে ফেলে। যার ফলে সে সহজে স্বাভাবিক জীবন যাপন করতে পারে না। তাই নেতিবাচক গান এবং নেতি বাচক বই পরিহার করে ইতিবাচকের প্রতি আগ্রহী হওয়ার চেষ্টা করুন।
অন্যকে সাহায্য করার মধ্যে যে আনন্দ লুকিয়ে থাকে তা আপনি অন্য কোথাও পাবেন না। আপনার কোন সাহায্যে যদি অন্যের মুখে হাসি ফোটে তবে আপনার মন দারুনভাবে পুলকিত হয়। এমন কাজ আপনাকে ইতিবাচক চিন্তা করতে সাহায্য করবে।
সর্বদা ভাগ্যের প্রতি বিশ্বাস রাখুন। যাদের ভাগ্যের প্রতি বিশ্বাস নেই, তারাই হতাশায় ভোগে। আল্লাহ আমাদের অমঙ্গল কোন কিছু করেন না। নিজেদের কিছু ভুলের কারণেই আমাদেরকে নানা সমস্যায় পরতে হয়। তাই হতাশ না হয়ে বিশ্বাসকে অটুট রাখুন।
উপরের এই পরামর্শগুলো মেনে আপনি হতে পারেন একজন সঠিক ইতিবাচক চিন্তাশীল ব্যক্তি। একজন ইতিবাচক চিন্তাশীল ব্যক্তিই পারে নিজেকে, সমাজকে এবং দেশকে উন্নত করতে।
This post was last modified on নভেম্বর ১৯, ২০১৮ 2:05 অপরাহ্ন
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ অনেকের বেশ বদভ্যাস রয়েছে। রাতের খাবার শেষ করা মাত্রই তারা…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ দেশের বৃহত্তম মেরিটাইম এবং অফশোর প্রদর্শনী ‘বাংলাদেশ ইন্টারন্যাশনাল মেরিন অ্যান্ড…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ বর্তমান ডিজিটাল যুগে সংবাদ মাধ্যমের গুরুত্ব ও প্রসার আগের যেকোনো…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ভারতের মুম্বাইয়ে ‘বরবাদ’ সিনেমার শুটিং এর সময় আহত হয়েছেন ঢাকাই…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ আইরিশ আইনপ্রণেতারা দেশটির পার্লামেন্টে একটি প্রস্তাব অনুমোদন করেছেন। যেখানে ইহুদিবাদী…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ রান্না করতে গিয়ে গরম তেলে মোবাইল ফোন পড়তেই ঘটে গেল…