দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ গত ২০ দিনে বাংলাদেশের দেড় হাজার ফেসবুক আইডি বন্ধ করা হয়েছে। আইডিগুলো হতে উগ্র মতবাদ, ঘৃণাসূচক মন্তব্য, বিকৃত ছবি এবং উসকানিমূলক কথাবার্তা ছাড়ানো হচ্ছিলো বলে অভিযোগ উঠেছিলো। টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার সংবাদ মাধ্যমকেকে এই কথা দিয়েছেন।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, দেশের বিশিষ্ট ব্যক্তি, রাজনৈতিক নেতাসহ পরিচিতজনদের নামে ফেক আইডি (ভুয়া) খোলা হয়েছিল বলেও প্রমাণ রয়েছে সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলোর কাছে। এসব তথ্য-প্রমাণের ভিত্তিতেই দেশ থেকে নির্বাচিত ফোকাল পয়েন্টদের মাধ্যমে ফেসবুক কর্তৃপক্ষকে ফেক আইডি, পেজ, গ্রুপের লিংক বন্ধ করতে অনুরোধ করা হয়েছিলো।
এই বিষয়ে জানতে চাইলে ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার একটি সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, ‘সম্প্রতি আমরা দেড় হাজার ফেসবুক আইডি বন্ধ করাতে সক্ষম হয়েছি। যেগুলো বন্ধ করা হয়েছে সেগুলো হতে অপপ্রচার চালানো হচ্ছিল। জঙ্গিরাও বিভিন্ন আইডি ব্যবহার করছিলো।’
মোস্তাফা জব্বার আরও বলেন, ‘অনেকেই বলেছেন, যেহেতু পর্নো সাইট বন্ধ করছি সে কারণে ফেসবুক আইডিগুলোর সঙ্গে পর্নোগ্রাফির কোনও সম্পর্ক রয়েছে কিনা। আসলে যে আইডি বন্ধ করা হয়েছে সেগুলোর সঙ্গে পর্নোগ্রাফির কোনও সম্পর্ক নেই।’
মন্ত্রী আরও বলেন, ‘ফেসবুকের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক আগের চেয়ে আরও উষ্ণ হয়েছে। আমরা কিছু বললে বা অনুরোধ করলে তারা শোনেন। তাদের কমিউনিটি স্ট্যান্ডার্ডের সঙ্গেও মেলায়। আমাদের অনুরোধ বোঝার চেষ্টা করে ও দ্রুত কাজ করার চেষ্টা করে। এটা অনেক বড় অর্জন বলে আমি মনে করছি।’
শীঘ্রই আরও আইডি ব্লক করা হবে বলে উল্লেখ করে তিনি বলেন,‘ইতিমধ্যেই সেগুলোও চিহ্নিত করা হয়েছে। আমাদের টিম দিনরাত কাজ করছে।’
জানা যায়, ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের অধীনে ডট (ডিপার্টমেন্ট অব টেলিকম) সাইবার দুনিয়া মনিটর করতে জোরালোভাবে কাজ করে যাচ্ছে। ডটের অধীনে শুরু হয়েছে সাইবার সিকিউরিটি মনিটরিং প্রকল্পটি। এই প্রকল্পের প্রায় অর্ধেক ইতিমধ্যেই বাস্তবায়িত হয়েছে। সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, এই প্রকল্প সক্রিয় হওয়াতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম আগের চেয়ে আরও ভালোভাবে মনিটর করা সম্ভব হচ্ছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো বলেছে, ক্ষমতাসীন দলের আইটি মনিটরিং সেল রয়েছে। সেই সেল এসব বিষয়ে সক্রিয়ভাবে কাজ করছে। এছাড়াও নির্বাচনের সময় গঠিত ‘সোশ্যাল মিডিয়া মনিটরিং সেল’ এখনও কাজ করে যাচ্ছে। সেসবের মিলিত সুফল পাওয়া যাচ্ছে বর্তমানে। তাছাড়া আইন শৃঙ্খলাবাহিনী, টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিটিআরসি, ন্যাশনাল টেলিকম মনিটরিং সেল (এনটিএমসি) সহ সংশ্লিষ্ট বিভাগগুলোও আগের চেয়ে এখন মনিটরিংয়ে আরও বেশি সক্রিয় হওয়ায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এসব চিহ্নিত করা খুব সহজ হচ্ছে।
This post was last modified on ফেব্রুয়ারী ২৩, ২০১৯ 12:08 অপরাহ্ন
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ আমরা জানি করলা খেলে সুস্থ থাকে শরীর। তবে সঙ্গে বা…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ এই বছরের জুন মাসে শেষ হচ্ছে সফটওয়্যার ও তথ্যপ্রযুক্তি সার্ভিস…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ শাহ আবদুল করিম এবং হাসন রাজার ভাটির দেশ থেকে ইট-পাথরের…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ বাংলাদেশের অভূতপূর্ব অগ্রগতি দেখে নিজেদের দিকে তাকালে ‘লজ্জা’ পান বলে…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ আপনার মোবাইলে চার্জ নেই? হাতের কাছে চার্জারও নেই? তবে চিন্তার…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ শুভ সকাল। শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪ খৃস্টাব্দ, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১…