ফেসবুক ব্যবহার শিশুদের আত্মহত্যার প্রবণতা বাড়াতে পারে

দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের মধ্যে ফেসবুক হলো সবচেয়ে জনপ্রিয় একটি মাধ্যম। আমাদের দেশে ফেসবুক তাইতো খুব কম সময়ের মধ্যেই হয়ে উঠেছে জনপ্রিয়। কিন্তু ফেসবুক ব্যবহারের কারণে শিশুদের আত্মহত্যার প্রবণতা বাড়াতে পারে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

আমাদের দেশে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের মধ্যে সবচেয়ে জনপ্রিয় হলো ফেসবুক। দেশে বা দেশের বাইরে আপনি যে কোনো জায়গা হতে নেট ব্যবহার করে ফেসবুক প্রিয়জনের সঙ্গে কথা বলা, ছবি, ভিডিও এবং গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাঠাতে পারেন।ফেসবুক যেমন যোগাযোগ খুব ভালো মাধ্যম তেমনি এই ফেসবুকের ক্ষতিকর অনেকগুলো দিকও রয়েছে।

যেমন এই ফেসবুকের মাধ্যমে আপনি যদি কোনো ব্যক্তির আপত্তিকর কোনো ছবি বা মন্তব্য করেন তবে আপনার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া যাবে। আধুনিক জীবনে ফেসবুক এখন এক নতুন বাস্তবতা। যে কোনো খবর মুহূর্তের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ে এই ফেসবুকের মাধ্যমে।

Related Post

টাইমলাইন, নিউজফিড ভরে যায় প্রয়োজনীয়, অপ্রয়োজনীয় সংবাদ, ছবি ও ঘটনাতে। আর এই সুযোগটি করে দিচ্ছে ইন্টারনেট। সারাবিশ্বে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীদের ৭০ শতাংশ মানুষ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের সঙ্গে সংযুক্ত রয়েছে। তরুণদের মধ্যে এই হার আরও অনেক বেশি, প্রায় ৯০ শতাংশ। বাংলাদেশে যারা ইন্টারনেট ব্যবহার করে তাদের মধ্যে ৮০ শতাংশ মানুষের রয়েছে এই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক অ্যাকাউন্ট।

ফেইসবুক, টুইটার, ইন্সটাগ্রামসহ যোগাযোগের অন্যান্য সাইটে অনেক সময় ব্যয় করছে শিশুরা, যা অত্যন্ত ক্ষতিকর একটি বিষয়। ইন্টারনেট ব্যবহারের মাধ্যমে মুহূর্তের মধ্যে নিষিদ্ধ কিংবা আপত্তিকর অনেক বিষয় জানা সম্ভব। তাছাড়া আমাদের শিশুরা প্রতিদিন ফেসবুকের পেছনে অনেক সময় ব্যয় করে ফেলছে। যে কারণে তাদের পড়ালেখায় তারা মনোযোগ হারিয়ে ফেলছে। এক কথায় বলা যায় শিশুরা ফেসবুকে আসক্ত হয়ে পড়ছে।

শিশুরা যদি প্রতিদিন দুই ঘণ্টার বেশি সময় ফেসবুকে ব্যয় করে তাহলে তাদের ক্রুটিপূর্ণ মানসিক বিকাশের ঝুঁকি রয়েছে বেশি। মানসিক চাপ বেড়ে যাওয়া এমনকি আত্নহত্যার প্রবণতা থাকারও আশঙ্কা দেখা দিতে পারে। এমনি তথ্য উঠে এসেছে নতুন এক গবেষণায়।

এই বিষয়ে গবেষণা করেন কানাডার ওট্টাওয়া পাবলিক হেলথ’য়ের হুগেসস সাম্পাসা-কানিঙ্গা ও রোসামান্ড লুয়েস। গবেষণার জন্য ‘অনটারিও স্টুডেন্ট ড্রাগ ইউজ অ্যান্ড হেলথ সার্ভে’য়ের সপ্তম হতে দ্বাদশ গ্রেডের শিক্ষার্থীদের তথ্য পর্যবেক্ষণ করা হয়েছে।

গবেষণা দেখা যায় যে, বেশিরভাগ শিক্ষার্থীই দৈনিক দুই ঘণ্টার বেশি সময় সোশাল নেটওয়ার্কিং সাইট ব্যবহার করে থাকে।

গবেষণায় দেখা যায়, শিশুর ফেসবুক ব্যবহারের এই ফলাফল বাবা-মায়ের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণএকটি বিষয়। এছাড়া ওয়েবসাইটগুলোতে মানসিক স্বাস্থ্যসেবা বাড়ানোর উদ্যোগের পরামর্শও দেওয়া হয়েছে।

তবে সোশাল নেটওয়ার্কিং সাইটগুলোর বিষয়ে ক্যালিফোর্নিয়ার স্যান ডিয়েগোর ইন্টার‌্যাক্টিভ মিডিয়া ইনস্টিটিউটের ব্রেন্ডা কে. উইডারহোল্ড বলেছেন, সোশাল নেটওয়ার্কিং সাইটগুলো কারও জন্য সমস্যা আবার কারও জন্য সমাধান হিসেবেও দেখতে পাওয়া যায়। তরুণরা এই সাইটগুলো ব্যবহার করেন, তাই তাদের কাছে মানসিক স্বাস্থ্যসেবা পৌঁছে দিতে এটি একটি কার্যকর মাধ্যমও বটে।

সাইবারসাইকোলজি, বিহেইভিয়ার অ্যান্ড সোশাল নেটওয়ার্কিং জার্নালে এই গবেষণাটি প্রকাশিত হয়েছে।

This post was last modified on মার্চ ১৯, ২০১৯ 2:58 অপরাহ্ন

স্টাফ রিপোর্টার

Recent Posts

সঠিক নিয়ম মানলে আম খেয়ে পেটের কোনো সমস্যা হবে না

দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ পরিমাণে একটু বেশি আম খেলেই গ্যাসের মতো সমস্যা হয় অনেকের।…

% দিন আগে

বাংলা ভাষার প্রথম স্মার্টওয়াচ এবার বাজারে এলো

দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ বাজারে এলো বাংলা ভাষার স্মার্টওয়াচ। দেশীয় প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান আজওয়া টেকের…

% দিন আগে

আবারও অনিরুদ্ধর সিনেমায় অভিনয় করবেন জয়া

দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ বলিউডের বহুল আলোচিত সিনেমা ‘পিংক’ এর নির্মাতা অনিরুদ্ধ রায় চৌধুরীর…

% দিন আগে

হামাসকে সাত দিনের সময় দিলো ইসরায়েল!

দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ জিম্মি চুক্তিতে রাজি হতে ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাসকে মাত্র সাত…

% দিন আগে

আলাদিনের আশ্চর্য প্রদীপ কিন্তু নয়: মরুভূমিতে খুঁজতে হবে এক সাহেবী কেতার ল্যাম্পশড!

দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ এবারের ছবিটি একটু ভিন্ন ধরনের এই ছবির ভিতরে লুকিয়ে চুরিয়ে…

% দিন আগে

কক্সবাজার আইকনিক রেলওয়ে স্টেশন

দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ শুভ সকাল। শনিবার, ৪ মে ২০২৪ খৃস্টাব্দ, ২১ বৈশাখ ১৪৩১…

% দিন আগে