দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ নিউজিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চে মসজিদে হামলার পর বৈষম্যবাদী মন্তব্য করার জন্য অস্ট্রেলিয়ার এক সিনেটরের মাথায় ডিম ভাঙা হয়েছিল। সেই ‘ডিম বালক’কে পুলিশ সতর্ক করেছে।
গতমাসে অস্ট্রেলিয়ার সিনেটর ফ্রেজার অ্যানিংয়ের মাথায় ডিম ভাঙার ভিডিওটি নেট দুনিয়ায় ভাইরাল হওয়ার পর অস্ট্রেলিয়ায় একটি বিতর্ক ছড়িয়ে পড়েছিল। এই ঘটনার জন্য দু`জনের কোনো একজনকে আইনের আওতায় আনা উচিত কিনা, শুধু তাই নয় আইনের আওতায় আনা হলে কাকে আনা হবে। যে ডিম ভেঙেছে তাকে নাকি যে পাল্টা হামলা করেছে সে? তবে ওই সিনেটরের মাথায় ডিম ভাঙার পর তিনি তার আত্মরক্ষার তাড়না থেকেই হামলাকারীর ওপর চড়াও হয়েছিলেন বলে সিদ্ধান্ত দিয়েছে পুলিশ। খবর বিবিসির।
অ্যানিংয়েরে মাথায় ডিম ভেঙে ‘ডিম বালক’ বা ‘এগ বয়’ উপাধি পেয়ে জনপ্রিয়তা লাভ করা ১৭ বছর বয়সী ওই কিশোরকে পুলিশ সতর্ক করেছে, তবে পুলিশ জানিয়েছে যে তার বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ আনা হবে না।
নিউজিল্যান্ডের মসজিদ হামলার ঘটনায় সেখানকার মুসলিম অভিবাসীদের দায়ী করে এক বিবৃতি দেওয়ার পর অ্যানিংয়ের বিরুদ্ধে ব্যাপক জনরোষও তৈরি হয়েছে।
সম্প্রতি ওই মন্তব্যের জন্য অ্যানিংকে তিরস্কার করেছে অস্ট্রেলিয়ার সিনেট। এরপর টেলিভিশনে প্রচারিত হতে থাকা এক সংবাদ সম্মেলনে সিনেটরের পেছন থেকে তার মাথায় ডিম ভাঙেন কিশোর ‘এগ বয়’ উইল কনোলি।
ওই ঘটনার তৎক্ষণাৎ প্রতিক্রিয়ায় অ্যানিংয়ের সমর্থকরা আক্রমণকারী বালককে প্রতিহত করার আগে সিনেটর নিজেও ওই বালককে আঘাত করেন।
মঙ্গলবার কর্তৃপক্ষ জানায় যে, ওই বালককে আঘাত করার অপরাধে সিনেটরকে ‘অভিযুক্ত না করার’ সিদ্ধান্ত নিয়েছে তারা।
‘পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে বোঝা যায় যে, ৬৯ বছর বয়সী সিনেটরের প্রতিক্রিয়াটি মূলত আত্মরক্ষামূলক ছিল এবং তার বিরুদ্ধে অভিযোগ আনার কোনো যৌক্তিক কারণও নেই।’
ডিম নিয়ে আক্রমণ করা কিশোরটির বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ নেওয়া না হলেও তাকে `আনুষ্ঠানিকভাবে সতর্ক’ করা হবে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
সেই সময় ডিম দিয়ে আক্রমণ করার জন্য অনেকেই ওই কিশোরের সমালোচনা করলেও অনলাইনে তার ব্যাপক প্রশংসাও করা হয়। খুব দ্রুতই তাকে ‘ডিম বালক’ উপাধিতে ভূষিত করা হয়।
ওই সময় তার আইনি সহায়তার জন্য প্রয়োজন হতে পারে বলে একটি অনলাইন প্রচারণায় ৮০ হাজার অস্ট্রেলিয়ান ডলারের (৪৩ হাজার পাউন্ড) বেশি অর্থও তোলা হয়।
সেই সময় বিনামূল্যে কনসার্টের টিকিট পাওয়ার পাশাপাশি অস্ট্রেলিয়ার সেলেব্রিটিদের দ্বারা প্রশংসিতও হয় ওই কিশোর উইল কনোলি।
বিভিন্ন দেশের রাস্তায় আঁকা কিছু দেওয়ালচিত্র বা ম্যুরালেও গুরুত্বের সঙ্গে স্থান পায় কিশোরটি। গতমাসে স্থানীয় গণমাধ্যম টেন নেটওয়ার্ককে কিশোরটি বলেছেন, ‘আমি বুঝতে পারি যে, আমি যা করেছি তা সঠিক কাজটি নয়।’
‘তবে এই ডিমটিই মানুষকে একত্রিত করেছে।’ সিনেটর অ্যানিং অবশ্য তার মন্তব্যের জন্য ক্ষমা চাননি; যদিও তার ওই মন্তব্যের পর তার বিরুদ্ধে ব্যাপক জনরোষ তৈরি হয় এবং তার পদত্যাগ চেয়ে তৈরি করা এক গণ আবেদনপত্রে ১৪ লাখ মানুষ স্বাক্ষরও করেন।
তবে সিনেটের পক্ষ হতে অ্যানিংয়ের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিকভাবে নিন্দা জানানো হয়। ‘ভয়াবহ অপরাধের দায় ভুক্তভোগীদের ওপর চাপানো ও ধর্মের ভিত্তিতে মানুষকে দোষারোপ’ করার দায়ে তার বিরুদ্ধে নিন্দা জ্ঞাপন করে অস্ট্রেলীয় সিনেট।
This post was last modified on এপ্রিল ১০, ২০১৯ 9:22 পূর্বাহ্ন
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ মধ্যপ্রাচ্যে ইরান এবং ইসরায়েলের উত্তেজনা স্থায়ী সংঘাতে পরিণত হওয়ার শঙ্কার…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ এই ছবিতে দেখা যাচ্ছে লাইব্রেরিতে টেবিলের সামনে বই নিয়ে বসে…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ শুভ সকাল। সোমবার, ১৩ মে ২০২৪ খৃস্টাব্দ, ৩০ বৈশাখ ১৪৩১…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ শরীরচর্চার সব উপায়ের মধ্যে হাঁটাকেই বেশি গুরুত্ব দেন অনেকেই। তবে…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ স্কুল, শিক্ষার্থী ও কমিউনিটির মধ্যে ঐক্য এবং একাত্মতা উদযাপনে আইএসডি…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ আইফার্মার লিমিটেডের প্রধান কার্যালয়ে গত ৮ মে আইফার্মার লিমিটেড ও…