Categories: সাধারণ

বাঁচার আকুতি এবং জাতির কাছে কিছু প্রশ্ন

দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ আমাদের দেশে মানুষ বেঁচে থাকতে মূল্যায়ন করা হয় না। অথচ মরনের পর তাকে মূল্যায়ন করা হয়। কণ্ঠশিল্পী মিলার ফেসবুকে কিছু বক্তব্য এই বিষয়টিকে নাড়া দিয়েছে।

শিল্পী মিলার ওই বক্তব্যগুলো শোনার পর সে কথায় মনে হলো। যেমন আমাদের দেশে বেঁচে থাকতে অনেককেই পুরস্কার দেওয়া হয় না, মারা গেলে তখন তাকে পুরস্কার দেওয়া হয়। অর্থাৎ সেই ব্যক্তি আর দেখে যেতে পারেন না তিনি কি করেছেন বা জাতির জন্য করতে পেরেছেন।

যেমন আগে প্রায় দেখা যেতো কোনো ব্যক্তি মারা গেলে তার নামে রাস্তার নাম করণ করা হতো। যদিও এই রীতি মাঝে ভঙ্গ করা হয় ঢাকা সিটি করপোরেশনের পক্ষ থেকে। যেমন ভাষা সৈনিক আব্দুল মতিন জীবিত অবস্থাতেই তাঁর নামে করা সড়কের উদ্বোধন করে গেছেন জিগা তলায়। কিন্তু আগে আমরা দেখেছি কোনো খ্যাতিমান ব্যক্তি মারা গেলে তারপর তার নামে সড়ক করা হয়। কিন্তু তিনি বেঁচে থাকতে সেটি করা হতো না। সেটি মোটেও ঠিক নয়।

Related Post

যেমন কণ্ঠশিল্পী মিলাও ঠিক সেভাবেই সেদিন ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। তার উপরে চলা অত্যাচার-নির্যাতন সম্পর্কে বলতে গিয়ে তিনি বলেছেন, “কত কত জীবিত ‘নুসরাত’ যে আইন এর কাছে দাঁড়ান দিনের পর দিন। তবে না মেরে ফেলা পর্যন্ত তাদের জন্য কোনও আওয়াজই উঠবে না।”

মিলা এও বলেন, “আজকে এইটাও বলে ফেললাম…. এর চাইতে কাপড় পরা অবস্থায় আমার গায়ে আগুন দিয়ে দিতো। আমি যাই বললাম তাতে পুরা মিডিয়া, শিল্পীরা, আমার ভক্তরা রাস্তায় নেমে সত্যিই প্রতিবাদ করার কথা।

কাপড় ছাড়া ওই ছেলেকে রাস্তায় নামিয়ে জুতার বাড়ি দিয়ে মারার কথা ছিলো, তাইনা? আমার এই পোস্টটাই তো সবার শেয়ার করার কথা তাইনা? কেও করবে নাহ্…. কেও নাহ… কারণ আমি বেঁচে আছি..এই মিলা কেনো এখনও প্রতিদিন চিৎকার করে কাঁদে এর উত্তর পাও তোমরা? আমি দেশের জাতীয় পর্যায়ের শিল্পী!”

একটি বিষয় সত্যিই চোখে পড়ে আর সেটি হলো বিচারের জন্য মানুষের দ্বারে দ্বারে ঘুরলেও কোনো বিচার পান না। অথচ মারা গেলে সবাই সরব হন। এমন ঘটনা আমাদের দেশে মাঝে মধ্যেই ঘটে। তবে একটি কথা সত্য এখন সোস্যাল মিডিয়ার কারণে অনেক কিছুই প্রকাশ্যে চলে আসে। যে কারণে কেও পার পায় না শেষ পর্যন্ত। অন্যায়-অত্যাচার দেখলে মানুষ সোচ্চার হয় এবং প্রতিবাদ করে এটি একটি ভালো দিক। অন্তত এইগুলোর কারণে শেষ পর্যন্ত বিচারের মুখোমুখি হতে হয় অত্যাচারকারী ব্যক্তিকে। বিচার কতোটা হয় সেই বিষয়ের দিকে না হয় নাই গেলাম। কারণ এমন অনেক নজির আমাদের রয়েছে। সাংবাদিক দম্পতি সাগর-রুনি, তনু সহ এমন অনেক নজির আমাদের সামনে রয়েছে। শেষ কথা হলো বিচারের বাণী যেনো নীরবে নীভৃতে না কাঁদে, সেটিই আমাদের সকলের প্রত্যাশা।

This post was last modified on এপ্রিল ২০, ২০১৯ 1:46 অপরাহ্ন

স্টাফ রিপোর্টার

Recent Posts

ডায়াবেটিস রোগিরা ‘ইনস্ট্যান্ট নুডলস’ খেলে কি রক্তে শর্করার মাত্রা বেড়ে যেতে পারে?

দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ‘ইনস্ট্যান্ট নুডলস’ স্বাদে মিষ্টি না হলেও এই ধরনের খাবারে শর্করার…

% দিন আগে

বাংলাদেশ, নেপাল ও ভুটানের কান্ট্রি ম্যানেজার হিসেবে সাব্বির আহমেদকে নিয়োগ দিলো ভিসা

দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ পেমেন্ট প্রযুক্তিতে বিশ্বের নেতৃস্থানীয় প্রতিষ্ঠান ভিসার বাংলাদেশ, নেপাল এবং ভুটানের…

% দিন আগে

বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো ইন্টারন্যাশনাল ডিজ্যাবিলিটি আর্ট ফেস্টিভ্যাল

দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ অন্তর্ভূক্তিমূলক থিয়েটার ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধী শিল্পীদের নিয়ে ব্রিটিশ কাউন্সিলের দীর্ঘমেয়াদী প্রচেষ্টার…

% দিন আগে

বিয়ের প্রস্তুতি নিচ্ছেন শাকিব খান!

দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ঢাকাই সিনেমার জনপ্রিয় অভিনেতা শাকিব খান। অপু বিশ্বাস ও বুবলীকে…

% দিন আগে

৬ মাসে ইসরায়েলি বর্বরতায় গাজায় নিহত ১৩ হাজার শিশু

দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ গাজা উপত্যকায় গত ৬ মাসে নিহত শিশুদের সংখ্যা আঁতকে উঠার…

% দিন আগে

আপনার চরিত্র কেমন তা আপনার আঙুলের আকৃতিই বলে দেবে!

দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ আপনার ব্যক্তিত্ব কীরকম তা বলে দিতে পারে আপনার আঙুলের আকৃতি!…

% দিন আগে