দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ নির্বাচনে দাঁড়ানোই যেনো তার এক নেশা। তার বিশ্বাস যে তিনি একদিন না একদিন জিতবেনই। আর সে আশায় ২৪ বার প্রার্থী হয়েছেন!
একবার বা দুইবার নয়, গুণে গুণে ২৪ বার নির্বাচনে হেরেও জয়ের আশা ছাড়েননি দেশটির পশ্চিমাঞ্চলীয় শহর পুনের শিবাজি নগর এলাকার বাসিন্দা বিজয় প্রকাশ খন্দকার। গত দুই মাস ধরে ৭৩ বছর বয়সী ওই ব্যক্তি এলাকায় ঘুরে-ঘুরে তার পক্ষে নির্বাচনী সমর্থন আদায়ের চেষ্টা চালিয়েছেন।
বিজয় প্রকাশ খন্দকার বলেন, ‘আমি জনগণকে দেখাতে চাই, পৃথিবীর বৃহত্তম গণতন্ত্রে দলীয় রাজনীতিই একমাত্র উপায় নয়। আমি আমার মতো আরও স্বতন্ত্র প্রার্থী দেখতে চাই। আমি মনে করি এর মাধ্যমে আমরা দুর্নীতি দূর করতে পারবো।’
তিনি যে সংসদীয় আসনে লড়ছেন সেখানে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় ২৩ এপ্রিল। গত ১১ এপ্রিল ভারতের নির্বাচন শুরু হয়। ৭ দফায় ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়ে ভোট গণনা শুরু হবে আগামী ২৩ মে।
স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে অংশ নেওয়া খন্দকার আশা প্রকাশ করেন তিনি এক সময় ভারতের প্রধানমন্ত্রী হবেনই!
বিজয় প্রকাশ খন্দকার বলেন, প্রধানমন্ত্রী হতে পারলে তিনি প্রত্যেক ভারতীয় নাগরিককে ১৭ হাজার রুপী দেবেন। তার মতে, অন্য জায়গায় খরচ কমালে এই অর্থ দেওয়া কোনো কঠিন কাজই নয়!
১৯৮০`র দশকের শেষ পর্যন্ত মহারাষ্ট্র প্রদেশের বিদ্যুৎ সংস্থায় কাজ করেছেন বিজয় প্রকাশ খন্দকার। বিজয় প্রকাশ খন্দকারকে এখন দেখা যায় শহরজুড়ে একটি স্টিলের ঠেলাগাড়ি নিয়ে ঘুরছেন।
সে গাড়িতে তার নির্বাচনী প্রতীকও লাগানো রয়েছে। সেখানে লেখা রয়েছে ‘বুট জুতার বিজয়’। কারণ তার নির্বাচনী প্রতীক হলো বুট জুতা।
তিনি যখন শহরজুড়ে এই ঠেলাগাড়ি নিয়ে ঘুরে বেড়ান তখন যেনো এক মজার পরিবেশ তৈরি করে। অনেকেই তাকে উপেক্ষা করে। আবার অনেকেই তার সঙ্গে সেলফি তুলতে চায়, কদরও করে।
বিজয় প্রকাশ খন্দকার ২৪টি নির্বাচনে অংশ নিয়েছেন। যার মধ্যে রয়েছে স্থানীয় সরকার নির্বাচন থেকে শুরু করে জাতীয় নির্বাচন পর্যন্ত।
২০১৪ সালে ভারতের লোকসভা নির্বাচনে ৩ হাজার স্বতন্ত্র প্রার্থী ছিল। এদের মধ্যে মাত্র ৩ জন জয়লাভ করেছিল। ভারতের নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থীরা সবচেয়ে ভালো ফলাফল করে ১৯৫৭ সালের নির্বাচনে।
তখন ৫৭ জন স্বতন্ত্র প্রার্থী সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়। ভারতের নির্বাচনী আইন অনুযায়ী যেসব প্রার্থী জাতীয় রাজনৈতিক দল হতে মনোনয়ন পায় তাদের নাম ব্যালট পেপারের সবচেয়ে উপরের দিকে থাকে। তারপর থাকে প্রাদেশিক দলগুলোর প্রার্থীদের নাম। সর্বশেষে থাকে স্বতন্ত্র প্রার্থীদের নাম।
বিবিসি’র এক প্রতিবেদনে বলা হয়, নির্বাচনের জন্য বিজয়প্রকাশ খন্দকার তার ডাক নাম পরিবর্তন করে রেখেছেন যেটির প্রথম অক্ষর শুরু হয়েছে ইংরেজি সর্বশেষ বর্ণ ‘জেড’ দিয়ে। ব্যাটল পেপারে নাম সবার শেষে রাখার জন্য তিনি নামের এই পরিবর্তন এনেছেন।
বিজয় প্রকাশ খন্দকার বলেন, ‘ভোটারদের কাছে আবেদন হলো, ব্যালট পেপারে সর্বেশেষ প্রার্থীকে আপনারা ভোট দিন।’
This post was last modified on এপ্রিল ২৩, ২০১৯ 2:00 অপরাহ্ন
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ খাওয়া কমালেই যে ইউরিক অ্যাসিড কমে যাবে তা কিন্তু নয়।…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ যথাযথ সোর্স যাচাই না করে ফোনে হুটহাট অ্যাপ ডাউনলোড করে…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ বলিউডের অন্যতম কমেডি সিনেমার তালিকায় প্রথম দিকেই উঠে আসে ‘হাউসফুল’-এর…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডায় ডোনাল্ড ট্রাম্পের গলফ খেলার সময় হওয়া গোলাগুলির…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ একটি ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, পানিতে জাগুয়ারের আক্রমণ থেকে নিজেকে বাঁচানোর…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ শুভ সকাল। সোমবার, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪ খৃস্টাব্দ, ১ আশ্বিন ১৪৩১…