দি ঢাকা টাইমস ডেস্ক।। জিদ করে না এমন শিশু খুব কমই হয়। তবে আপনার সন্তান যদি জিদ না করে, তবে আপনি মহা ভাগ্যবান। সধারণত শিশুরা কারণে অকারণে নানা বিষয় নিয়ে জিদ করে। আর আপনি হয়ত এমন জিদকে প্রশ্রয় দিয়েই তার জিদ করে কোন কিছু হাসিল করার ক্ষমতিকে বাড়িয়ে দিয়েছেন। এর ফলে সে যত বড় হবে ততই নানা বিষয় নিয়ে জিদ করবে। আর সেই জিনিস না পেলে বাবা-মায়ের জীবনকে করে তুলবে দূর্বিষহ।
১। জিদকে প্রাধান্য দিবেন নাঃ
যখন আপনার সন্তান জিদ করতে থাকবে, তখন তার দিকে তাকাবেন না। অর্থাৎ আপনি এমন ভাব করবেন যেন কিছুই দেখছেন না। কিছুদিন এমন করলে আস্তে আস্তে সে জিদ করা ছেড়ে দিবে।
যে জিনিস পাওয়ার জন্য সে জিদ করছে, কোনভাবেই তখন সেই বস্তু তাকে দিবেন না। বরং তাকে বোঝান তার জিদ করার কারণেই সে ওই জিনিসটি পেল না। আর পরে দিলেও সে যেন এমনটি না ভাবে যে, তার জিদ করার কারণেই তাকে সেই জিনিসটি দেওয়া হয়েছে।
সন্তান যখন কোন একটি জিনিস পাওয়ার জন্য জিদ করে তখন বাবা-মায়ের মেজাজ ঠান্ডা রাখতে হয়। এমন অবস্থায় কখনও রেগে যাবেন না। এতে ফলাফল আরো খারাপ হতে পারে।
সন্তান যখন জিদ করা শুরু করে তখন অনেক বাবা মা ভয় পেয়ে যান। মনে করেন তার চাহিদা পুরণ না করলে কি না কি করে বসবে। ভুলেও এমনটি ভাববেন না। আপনি যদি এমন ভেবে তার চাহিদার বস্তুটি দেওয়ার ব্যবস্থা করেন, তবে পরবর্তীতে কোন ছোট-খাটো বিষয় নিয়েও সে জিদ করতে থাকবে।
যখন আপনার সন্তান রেগে গিয়ে জিদ করতে শুরু করবে, তখন কৌশলে তাকে অন্য বিষয়ে মনযোগী করার চেষ্টা করুন। তবে তাকে সরাসরি অন্য কিছুতে মনযোগী করতে যাবেন না। তার সামনে আপনি অন্য কারোর সাথে অন্য একটি বিষয় নিয়ে আলোচনা করা বা অন্য কোন কাজ করতে শুরু করুন যে বিষয়টি বা কাজটি তার কাছে প্রিয়। তাহলে দেখবেন সে জিদ করা বাদ দিয়ে সেই বিষয় নিয়ে কথা বলতে শুরু করবে।
আপনার সন্তানের মন যখন ভাল থাকে, তখন তার জিদ করার খারাপ দিক ব্যাখ্যা করুন। জিদ করলে সবাই তাকে কি ভাবে, তার জিদ করার কারণে বাবা-মা কতটা কষ্ট পায় ইত্যাদি বিষয়গুলো তাকে বুঝিয়ে বলুন। সেই সাথে কেন তার জিদ করা জিনিসটি তাকে দেওয়া হয় নি। তা বুঝিয়ে বলুন।
অনেক সময় শিশুরা যখন জিদ করা শুরু করে কান্নাকাটি করে বা চেঁচামেচি শুরু করে, তখন ভুলেও তার আচরণে ব্যঙ্গ করবেন না। এতে তার জিদ আরো বেড়ে যাবে। বরং সে যখন জিদ শুরু করবে, তখন তার দিকে কেউ তাকাবেন না। যখন সে বুঝতে পারবে তার জিদ করা কেউ গুরুত্ব দিচ্ছে না, তখন সে নিজে থেকেই ধীরে ধীরে এমন জিদ করা কমিয়ে দিবে।
আপনি তার জন্য যেটা ভাল মনে করছেন, সে কেন সেটা তার জন্য খারাপ মনে করছে তা বোঝার চেষ্টা করুন। এবং তার মন যখন ভাল থাকে, তখন সেই জিনিসের ভাল এবং খারাপ গুণাগুন বুঝিয়ে বলুন।
This post was last modified on মে ১৯, ২০১৯ 10:42 পূর্বাহ্ন
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ আপনার ব্যক্তিত্ব কীরকম তা বলে দিতে পারে আপনার আঙুলের আকৃতি!…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ শুভ সকাল। রবিবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৪ খৃস্টাব্দ, ১৫ বৈশাখ ১৪৩১…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ পেঁপেতে উপস্থিত ‘পেপসিন’ ও ‘প্যাপাইন’ নামক উৎসেচকগুলো পরিপাকে বিশেষ সহায়ক।…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ সম্প্রতি ডেলটা নামে আইফোনের একটি নতুন ইমুলেটর অ্যাপ তৈরি হয়েছে।…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ দক্ষিণী সিনেমা ‘পুষ্পা’র তুমুল জনপ্রিয়তার পর মুক্তি পেতে চলেছে ‘পুষ্পা-২’।…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ছোট বেলায় কিশোর পত্রিকার পাতায় আমরা অনেকেই এমন খেলা খেলেছি।…
View Comments
আপনার সব গুলো পোস্টেই একটা অন্য রকম ফ্লো খুজে পাই। ধন্যবাদ